এসএম মোজাম্মেল হক
বরিশালে কথ্যভাষায় কিছু শব্দ ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। যা বাংলাদেশের বাংলা অভিধানেও স্থান পেয়েছে। এই শব্দগুলো একান্তই বরিশাল এলাকার মানুষের মুখের কথা। এ পর্বে যে আঞ্চলিক শব্দগুলো দেয়া হলো তা মূলত বরিশালের উজিরপুর উপজেলা থেকেই সংগৃহিত।
টেক্কা (তাসের টেক্কা, পাল্লা দেওয়া-‘মোর সাথে পাল্লা দিতে চাস?’) টিহা (লোহার দা-কাঁচিতে ধারালো একটা অংশ ব্যবহার করা হয়), টিগিট (টিকিট), টেংরি (গাছের নতুন শাখা, হাত-পা ভেঙে দেয়া-‘মোর সাথে পাঙা লইসনা কইলাম, তোর টেংরি ভাইঙ্গা দিমুনি’) টংঘর/টোঙ (খেতের মধ্যে /পাশে পাহারার ছোট ঘর), টনটন করা (ব্যথা করা), ট্যাঁডা (মাছ মারার অস্ত্র), টিসকারী (টিপ্পনি), টাহা (টাকা), টাহি (টাকি মাছ), টরহি (নারিকেলের ছোট অবস্থা, বন্দরের নাম), টাউক্কা (টাক মাথা)।
ঠোঙ্গা (কাগজের ঠোঙ্গা), ঠাহর (চোখে দেখা), ঠোনহা (গালে টোকা বা হালকা ঘুষি মারা), ঠুড্ডা (কাঁচা কথার লোক),
ঠাহুর (ঠাকুর), ঠাডা (বজ্রপাত), ঠোঙ্গা (কাগজের বাক্স), ঠিহা (চুক্তিবদ্ধ), ঠনঠন (শূন্য), ঠাশি খাওয়া/দেওয়া (নাজেহাল করা, ঘাড় নোয়াইয়া চেপে ধরা)।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শব্দগুলো সংগ্রহ করেছেন এসএম মোজাম্মেল হক, হস্তিশুন্ড, বামরাইল, উজিরপুর, বরিশাল। সংগ্রহের তারিখ-২০২৩।