ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

বুস্টার ডোজে গুরুতর অসুস্থতা থেকে ৮৫% সুরক্ষা

  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বুস্টার ডোজ করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর তা পর্যালোচনা করে দেখা যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক বলছেন, টিকার এই অতিরিক্ত ডোজ গুরুতর অসুস্থতা থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। এই হার করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে প্রচলিত টিকাগুলো যে সুরক্ষা দেয়, তার চেয়ে খানিকটা কম। তা সত্ত্বেও বুস্টার ডোজের সুরক্ষা অসংখ্য মানুষকে হাসপাতালের বাইরে রাখতে পারবে। ওমিক্রন সম্বন্ধে জানা সামান্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক বুস্টারের কার্যকারিতা বিষয়ে এ ধারণা দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। গবেষকরা বলছেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট বিষয়ে আরও তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তাদের মডেলিং নিয়ে ‘ব্যাপক মাত্রার অনিশ্চয়তা’ থেকেই যাচ্ছে। ওমিক্রনের তীব্রতা কেমন হতে পারে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনও অন্ধকারে। মানবদেহকে কীভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে টিকা তা শিখিয়ে দিলেও বাজারে এখন যেসব টিকা রয়েছে সেগুলো জিনের বিন্যাস অনেকবার বদলানো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা সন্দিহান। এ কারণেই যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে লোকজনকে বুস্টার ডোজ নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যা শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়িয়ে ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করবে। অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে কোষে প্রবেশে ও আরও ভাইরাস তৈরিতে বাধা দেয়। ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষণায় ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বাজারে থাকা ভ্যাকসিনগুলো তুলনামূলক কম কার্যকর হবে বলেও ধারণা দেওয়া হয়েছে। বুস্টার নিলেও তা ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ৮৫.৯ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এ সুরক্ষার হার ছিল ৯৭ শতাংশ। মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনায় টি সেলের মতো অন্যান্য অংশও আছে, এগুলোও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। তবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার এসব অংশের প্রভাব নিয়ে মডেলিংয়ে কোনো পর্যালোচনা করা হয়নি। “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে রোগটা কতটা তীব্র হতে পারে তা নিয়ে অনিশ্চয়তাটা থেকেই যাচ্ছে, এটা বুঝতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। আমাদের গবেষণার ফলে মূলত বুস্টার ডোজের গুরুত্বই উঠে এসেছে,” বলেছেন গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক আজরা ঘানি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বুস্টার ডোজে গুরুতর অসুস্থতা থেকে ৮৫% সুরক্ষা

আপডেট সময় : ১০:৩৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : বুস্টার ডোজ করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর তা পর্যালোচনা করে দেখা যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক বলছেন, টিকার এই অতিরিক্ত ডোজ গুরুতর অসুস্থতা থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। এই হার করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে প্রচলিত টিকাগুলো যে সুরক্ষা দেয়, তার চেয়ে খানিকটা কম। তা সত্ত্বেও বুস্টার ডোজের সুরক্ষা অসংখ্য মানুষকে হাসপাতালের বাইরে রাখতে পারবে। ওমিক্রন সম্বন্ধে জানা সামান্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক বুস্টারের কার্যকারিতা বিষয়ে এ ধারণা দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। গবেষকরা বলছেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট বিষয়ে আরও তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তাদের মডেলিং নিয়ে ‘ব্যাপক মাত্রার অনিশ্চয়তা’ থেকেই যাচ্ছে। ওমিক্রনের তীব্রতা কেমন হতে পারে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনও অন্ধকারে। মানবদেহকে কীভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে টিকা তা শিখিয়ে দিলেও বাজারে এখন যেসব টিকা রয়েছে সেগুলো জিনের বিন্যাস অনেকবার বদলানো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা সন্দিহান। এ কারণেই যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে লোকজনকে বুস্টার ডোজ নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যা শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়িয়ে ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করবে। অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে কোষে প্রবেশে ও আরও ভাইরাস তৈরিতে বাধা দেয়। ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষণায় ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বাজারে থাকা ভ্যাকসিনগুলো তুলনামূলক কম কার্যকর হবে বলেও ধারণা দেওয়া হয়েছে। বুস্টার নিলেও তা ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ৮৫.৯ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এ সুরক্ষার হার ছিল ৯৭ শতাংশ। মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনায় টি সেলের মতো অন্যান্য অংশও আছে, এগুলোও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। তবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার এসব অংশের প্রভাব নিয়ে মডেলিংয়ে কোনো পর্যালোচনা করা হয়নি। “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে রোগটা কতটা তীব্র হতে পারে তা নিয়ে অনিশ্চয়তাটা থেকেই যাচ্ছে, এটা বুঝতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। আমাদের গবেষণার ফলে মূলত বুস্টার ডোজের গুরুত্বই উঠে এসেছে,” বলেছেন গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক আজরা ঘানি।