ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

বুলবুলের খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার ‘আল্টিমেটাম’ শাবি শিক্ষার্থীদের

  • আপডেট সময় : ১২:১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

সিলেট প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের খুনিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে তার সহপাঠীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম দেন। এ সময় চার দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আশ্রাফুল ইসলাম আকাশ বলেন, “দাবিগুলো মধ্যে একটি হলো, ২৪ ঘণ্টার ভেতরে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা।”
বাকি দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিহতের পরিবারকে অতি দ্রুত সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও প্রদানের উপায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে, ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং বুলবুলের স্মৃতি রক্ষার্থে তার হত্যার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও বুলবল চত্বর ঘোষণা করতে হবে।
লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম অধ্যাপক, অধ্যাপক শামীমা তাসমিম, অধ্যাপক মো. আশরাফ সিদ্দিকী, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সামিউল ইসলামসহ বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের ভেতরে অজ্ঞাত হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল। বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সামনের টিলায় বুলবুলকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। বুলবুলের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে উদ্ধার করেছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম জয়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বুলবুলের সহপাঠীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে যান তারা। পরে এ ঘটনায় রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে বন্ধুদের নিয়ে ক্যাম্পাসের গাজীকালুর টিলা এলাকায় বেড়াতে গিয়ে দুষ্কৃতিদের ছুরিকাঘাতে আহত হয় বুলবুল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সন্দেহভাজন হিসেবে বহিরাগত তিনজনকে পুলিশ আটক করে বলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান। এদিকে বুলবুলের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে জানাজা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বুলবুলের খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার ‘আল্টিমেটাম’ শাবি শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ১২:১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

সিলেট প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের খুনিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে তার সহপাঠীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম দেন। এ সময় চার দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আশ্রাফুল ইসলাম আকাশ বলেন, “দাবিগুলো মধ্যে একটি হলো, ২৪ ঘণ্টার ভেতরে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা।”
বাকি দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিহতের পরিবারকে অতি দ্রুত সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও প্রদানের উপায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে, ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং বুলবুলের স্মৃতি রক্ষার্থে তার হত্যার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও বুলবল চত্বর ঘোষণা করতে হবে।
লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম অধ্যাপক, অধ্যাপক শামীমা তাসমিম, অধ্যাপক মো. আশরাফ সিদ্দিকী, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সামিউল ইসলামসহ বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের ভেতরে অজ্ঞাত হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল। বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সামনের টিলায় বুলবুলকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। বুলবুলের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে উদ্ধার করেছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম জয়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বুলবুলের সহপাঠীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে যান তারা। পরে এ ঘটনায় রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে বন্ধুদের নিয়ে ক্যাম্পাসের গাজীকালুর টিলা এলাকায় বেড়াতে গিয়ে দুষ্কৃতিদের ছুরিকাঘাতে আহত হয় বুলবুল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সন্দেহভাজন হিসেবে বহিরাগত তিনজনকে পুলিশ আটক করে বলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান। এদিকে বুলবুলের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে জানাজা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।