আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুরকিনা ফাসোতে বিদ্রোহীদের হামলায় ১৯ মিলিটারি পুলিশ ও একজন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। গত রোববার তিন দেশের সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তামন্ত্রী ম্যাক্সিম কোনে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজার, এই তিন দেশের সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চলগুলোতে বিদ্রোহী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো। বুরকিনা ফাসোর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে কোনে বলেন, “সকালে মিলিটারি পুলিশের একটি দল কাপুরুষোচিত ও বর্বর হামলার শিকার হয়েছে। তারপরও নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে তারা।”
ইনাতার সোনার খনির নিকটবর্তী মিলিটারি পুলিশের ওই ফাঁড়িটিতে ২২ জনকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর দুই দিন আগে একই এলাকায় আরেকটি হামলার ঘটনায় সাত পুলিশ নিহত হয়েছিল। তিন দেশের ওই সীমান্ত এলাকায় আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয় উপস্থিতি আছে। সেখানে ফ্রান্স, শাদ, নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো শত শত সেনা মোতায়েন করে জঙ্গিদের দমন করার চেষ্টা করছে। গত রোববার সকালে বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তা বাহিনীর দুই জন কর্মকর্তা ও একজন কূটনীতিক রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, ফাঁড়ির ওই হামলার ঘটনায় অন্তত ৩০ জন মিলিটারি পুলিশ নিহত হয়েছেন আর নিহতের সংখ্যা আরও বেশিও হতে পারে। এটি বুরকিনা ফাসোর সেনাদের ওপর চালানো অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা।
গত রোববার এক বিবৃতিতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেছে, “মিলিটারি পুলিশের ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।” কিন্তু বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি তারা।
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলায় নিহত ২০
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ