ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

বুমরাহকে টানা দুই টেস্টের বেশি না খেলানোর পরামর্শ বন্ডের

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: পিঠের চোট কোনো ফাস্ট বোলারের ক্যারিয়ারকে কতটা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, সেটা শেন বন্ডের চেয়ে আর কে ভালো জানেন! নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নিউ জিল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং গ্রেট বলছেন, পিঠে অস্ত্রোপচারের জায়গায় আরেকটি চোট জাসপ্রিত বুমরাহর ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে। তাই ভারতীয় ফাস্ট বোলারকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে সাবধানে এগোনোর পরামর্শ দিলেন তিনি। গত জানুয়ারিতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পিঠের সমস্যায় বোলিং করতে পারেননি বুমরাহ।

এরপর থেকে তিনি মাঠের বাইরে আছেন। তাকে ছাড়াই সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বোর্ডের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পুনর্বাসনে আছেন বুমরাহ। কবে নাগাদ পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন কিংবা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে কখন থেকে তিনি আইপিএলে খেলতে পারবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বুমরাহর পিঠে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তারপর এই প্রথম পিঠে চোট পেয়েছেন তিনি। মুম্বাইয়ের বোলিং কোচ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে বুমরাহর সঙ্গে কাজ করেছেন বন্ড। বর্তমানে রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং কোচ হিসেবে ভারতে আছেন তিনি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপে সাবেক কিউই ফাস্ট বোলার বলেন, বুমরাহর ওয়ার্কলোড ভালোভাবে সামলানো উচিত, যাতে এই চোট আবার ফিরে না আসে।

২৯ বছর বয়সে বন্ডের পিঠে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। একই বয়সে অস্ত্রোপচার হয়েছে বুমরাহরও। লাগাতার চোটের ছোবল সত্ত্বেও বন্ড ৩৪ বছর বয়স পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান এবং অবসর নেন; প্রথমে টেস্ট থেকে, এরপর ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে সব সংস্করণ থেকে। টি-টোয়েন্টি থেকে দ্রুত টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলে ফাস্ট বোলারদের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে বলে মনে করেন বন্ড। বুমরাহকে নিয়ে তার আশঙ্কাটা এখানেই। ২৫ মে আইপিএল শেষ হওয়ার এক মাস পরই পাঁচ টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত।
“দেখুন, আমি মনে করি বুমস (বুমরাহ) ঠিক থাকবে, তবে এটা (ওয়ার্কলোড) সামলানোর বিষয়। ভবিষ্যৎ সফর এবং সূচির দিকে তাকালে, তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ কোথায়, আসলে বিপদের সময়টা কোথায়? প্রায়ই এমন হয় যে, (আইপিএল থেকে) টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (যাওয়া) ঝুঁকিপূর্ণ।”

“যখনই সংস্করণের পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি থেকে টেস্ট ম্যাচে যাওয়াটা চ্যালেঞ্জিং। যদি ওয়ানডে সিরিজে খেলেন, তাহলে খুব খারাপ নয়। সেখানে সপ্তাহে তিনটি ম্যাচ খেলবেন, একটি অনুশীলন সেশন থাকবে, প্রায় ৪০ ওভার বোলিংয়ের মধ্যে থাকবেন, একটি টেস্ট ম্যাচের কাছাকাছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে, বিশেষ করে আইপিএলে যখন সপ্তাহে তিনটি ম্যাচ খেলবেন, সেখানে দুই দিনের ভ্রমণ থাকে, একটি অনুশীলন সেশন পেতে পারেন, ভাগ্যবান হলে ২০ ওভার বোলিং করবেন, যা টেস্ট ম্যাচের অর্ধেক বা অর্ধেকেরও কম।” গত অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের বোলিং আক্রমণকে প্রায় একাই টানেন বুমরাহ। অসাধারণ পারফরম্যান্সে উইকেট নেন রেকর্ড ৩২টি, বোলিং গড় ছিল ১৩.০৬। ১৫১.২ ওভার বোলিংয়ের ধকল যায় তার ওপর দিয়ে। তাতেই বিদ্রোহ করে বসে শরীর। ইংল্যান্ড সফরে ২৮ জুন থেকে ৩ অগাস্টের মধ্যে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত।

অস্ট্রেলিয়া সফরের মতো ইংল্যান্ডে বুমরাহকে অত বেশি খেলানো উচিত হবে না বলে মনে করেন বন্ড। “পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য সে খুবই মূল্যবান। আপনারা ইংল্যান্ডে পাঁচটি টেস্ট খেলবেন, আমি হলে তাকে টানা দুটির বেশি ম্যাচ খেলাতে চাইতাম না। আইপিএলের শেষ ভাগ থেকে একটি টেস্ট ম্যাচে যাওয়া বড় ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তাই তারা কীভাবে বিষয়টি সামলাবে, তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।” ইংল্যান্ড সফরের আগে আইপিএলই হবে বুমরাহর একমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের মঞ্চ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বুমরাহকে টানা দুই টেস্টের বেশি না খেলানোর পরামর্শ বন্ডের

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: পিঠের চোট কোনো ফাস্ট বোলারের ক্যারিয়ারকে কতটা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, সেটা শেন বন্ডের চেয়ে আর কে ভালো জানেন! নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নিউ জিল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং গ্রেট বলছেন, পিঠে অস্ত্রোপচারের জায়গায় আরেকটি চোট জাসপ্রিত বুমরাহর ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে। তাই ভারতীয় ফাস্ট বোলারকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে সাবধানে এগোনোর পরামর্শ দিলেন তিনি। গত জানুয়ারিতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পিঠের সমস্যায় বোলিং করতে পারেননি বুমরাহ।

এরপর থেকে তিনি মাঠের বাইরে আছেন। তাকে ছাড়াই সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বোর্ডের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পুনর্বাসনে আছেন বুমরাহ। কবে নাগাদ পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন কিংবা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে কখন থেকে তিনি আইপিএলে খেলতে পারবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বুমরাহর পিঠে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তারপর এই প্রথম পিঠে চোট পেয়েছেন তিনি। মুম্বাইয়ের বোলিং কোচ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে বুমরাহর সঙ্গে কাজ করেছেন বন্ড। বর্তমানে রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং কোচ হিসেবে ভারতে আছেন তিনি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপে সাবেক কিউই ফাস্ট বোলার বলেন, বুমরাহর ওয়ার্কলোড ভালোভাবে সামলানো উচিত, যাতে এই চোট আবার ফিরে না আসে।

২৯ বছর বয়সে বন্ডের পিঠে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। একই বয়সে অস্ত্রোপচার হয়েছে বুমরাহরও। লাগাতার চোটের ছোবল সত্ত্বেও বন্ড ৩৪ বছর বয়স পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান এবং অবসর নেন; প্রথমে টেস্ট থেকে, এরপর ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে সব সংস্করণ থেকে। টি-টোয়েন্টি থেকে দ্রুত টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলে ফাস্ট বোলারদের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে বলে মনে করেন বন্ড। বুমরাহকে নিয়ে তার আশঙ্কাটা এখানেই। ২৫ মে আইপিএল শেষ হওয়ার এক মাস পরই পাঁচ টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত।
“দেখুন, আমি মনে করি বুমস (বুমরাহ) ঠিক থাকবে, তবে এটা (ওয়ার্কলোড) সামলানোর বিষয়। ভবিষ্যৎ সফর এবং সূচির দিকে তাকালে, তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ কোথায়, আসলে বিপদের সময়টা কোথায়? প্রায়ই এমন হয় যে, (আইপিএল থেকে) টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (যাওয়া) ঝুঁকিপূর্ণ।”

“যখনই সংস্করণের পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি থেকে টেস্ট ম্যাচে যাওয়াটা চ্যালেঞ্জিং। যদি ওয়ানডে সিরিজে খেলেন, তাহলে খুব খারাপ নয়। সেখানে সপ্তাহে তিনটি ম্যাচ খেলবেন, একটি অনুশীলন সেশন থাকবে, প্রায় ৪০ ওভার বোলিংয়ের মধ্যে থাকবেন, একটি টেস্ট ম্যাচের কাছাকাছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে, বিশেষ করে আইপিএলে যখন সপ্তাহে তিনটি ম্যাচ খেলবেন, সেখানে দুই দিনের ভ্রমণ থাকে, একটি অনুশীলন সেশন পেতে পারেন, ভাগ্যবান হলে ২০ ওভার বোলিং করবেন, যা টেস্ট ম্যাচের অর্ধেক বা অর্ধেকেরও কম।” গত অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের বোলিং আক্রমণকে প্রায় একাই টানেন বুমরাহ। অসাধারণ পারফরম্যান্সে উইকেট নেন রেকর্ড ৩২টি, বোলিং গড় ছিল ১৩.০৬। ১৫১.২ ওভার বোলিংয়ের ধকল যায় তার ওপর দিয়ে। তাতেই বিদ্রোহ করে বসে শরীর। ইংল্যান্ড সফরে ২৮ জুন থেকে ৩ অগাস্টের মধ্যে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত।

অস্ট্রেলিয়া সফরের মতো ইংল্যান্ডে বুমরাহকে অত বেশি খেলানো উচিত হবে না বলে মনে করেন বন্ড। “পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য সে খুবই মূল্যবান। আপনারা ইংল্যান্ডে পাঁচটি টেস্ট খেলবেন, আমি হলে তাকে টানা দুটির বেশি ম্যাচ খেলাতে চাইতাম না। আইপিএলের শেষ ভাগ থেকে একটি টেস্ট ম্যাচে যাওয়া বড় ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তাই তারা কীভাবে বিষয়টি সামলাবে, তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।” ইংল্যান্ড সফরের আগে আইপিএলই হবে বুমরাহর একমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের মঞ্চ।