ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও শিশু ধর্ষণের দায়ে তিন আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড

  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ বছর আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে বাড়ির ম্যানেজার আব্দুল গাফফার এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মো. বাচ্চুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ৬ বছর আগে রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার নামে আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।

দণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাভোগ করতে হবে।

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকে (বাচ্চু ও বাচ্চু মিয়া হাওলাদার) ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি গাফফার পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি রাশেদুল ইসলাম।

বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মা-বাবা কর্মস্থলে যান। বিকেল ৩টার দিকে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাশেম রোডের বাসায় আসামিরা ১২ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তারা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুল গাফফার তাকে ডেকে নিয়ে তারসঙ্গে যেতে বলে। তখন ভুক্তভোগী তার সঙ্গে না গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

শিশু ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে একটি গ্যারেজে রান্না করতেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে বাচ্চু মিয়া শিশুকে দোকান থেকে ঠান্ডা এনে দিতে বলেন। শিশুটি তার কাছে গেলে বাচ্চু মিয়া তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা তাকে খুঁজতে যান। সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে পান তিনি। পরে মেয়েটি মাকে বলে, বাচ্চু তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ওইদিনই রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক এস.এম. মুকুল মিয়া। ১৬ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

এসি/আপ্র/২৭/১০/২০২৫

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান ফায়ার সার্ভিস ডিজির

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও শিশু ধর্ষণের দায়ে তিন আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ বছর আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে বাড়ির ম্যানেজার আব্দুল গাফফার এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মো. বাচ্চুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ৬ বছর আগে রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার নামে আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।

দণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাভোগ করতে হবে।

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকে (বাচ্চু ও বাচ্চু মিয়া হাওলাদার) ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি গাফফার পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি রাশেদুল ইসলাম।

বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মা-বাবা কর্মস্থলে যান। বিকেল ৩টার দিকে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাশেম রোডের বাসায় আসামিরা ১২ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তারা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুল গাফফার তাকে ডেকে নিয়ে তারসঙ্গে যেতে বলে। তখন ভুক্তভোগী তার সঙ্গে না গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

শিশু ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে একটি গ্যারেজে রান্না করতেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে বাচ্চু মিয়া শিশুকে দোকান থেকে ঠান্ডা এনে দিতে বলেন। শিশুটি তার কাছে গেলে বাচ্চু মিয়া তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা তাকে খুঁজতে যান। সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে পান তিনি। পরে মেয়েটি মাকে বলে, বাচ্চু তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ওইদিনই রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক এস.এম. মুকুল মিয়া। ১৬ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

এসি/আপ্র/২৭/১০/২০২৫