ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

বুদ্ধিজীবী দিবসে ফখরুল-জিএম কাদেরের কণ্ঠে একই সুর!

  • আপডেট সময় : ০২:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিপরীত মেরুর রাজনীতি করলেও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একই সুরে কথা বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শহীদদের মাগফিরাত কামনা করতে গিয়ে দুই নেতা একই সুরে কথা বলেন। বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনা ও স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, যে উদ্দেশ্যে বীর শহীদরা জীবন দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। একই সময়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্ভাগ্যের কথা ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম, অগণিত শহীদ প্রাণ দিয়েছে, বুদ্ধিজীবীরা প্রাণ দিয়েছেন, সে লক্ষ্য গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত পাইনি। বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেষ হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের রাজনীতি চলবে। আমরা বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবো। আমরা তেমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেমন বাংলাদেশ গড়তে বীর শহীদরা জীবন উৎসর্গ করেছেন।
জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে তখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এটা ছিলো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বৈষম্য ও শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। আমাদের সামনে স্পষ্ট ছিলো পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তখন বাঙালিদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছিল পাকিস্তানিরা। আমাদের বঞ্চিত করতো সকল অধিকার থেকে। জি এম কাদের বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমরা বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে পারিনি আমরা। এখন বাঙালি-বাঙালি বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যমে আমরা জানতে পারি দেশ থেকে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, ড. প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, শেখ মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বুদ্ধিজীবী দিবসে ফখরুল-জিএম কাদেরের কণ্ঠে একই সুর!

আপডেট সময় : ০২:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিপরীত মেরুর রাজনীতি করলেও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একই সুরে কথা বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শহীদদের মাগফিরাত কামনা করতে গিয়ে দুই নেতা একই সুরে কথা বলেন। বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনা ও স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, যে উদ্দেশ্যে বীর শহীদরা জীবন দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। একই সময়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্ভাগ্যের কথা ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম, অগণিত শহীদ প্রাণ দিয়েছে, বুদ্ধিজীবীরা প্রাণ দিয়েছেন, সে লক্ষ্য গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত পাইনি। বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেষ হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের রাজনীতি চলবে। আমরা বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবো। আমরা তেমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেমন বাংলাদেশ গড়তে বীর শহীদরা জীবন উৎসর্গ করেছেন।
জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে তখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এটা ছিলো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বৈষম্য ও শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। আমাদের সামনে স্পষ্ট ছিলো পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তখন বাঙালিদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছিল পাকিস্তানিরা। আমাদের বঞ্চিত করতো সকল অধিকার থেকে। জি এম কাদের বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমরা বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে পারিনি আমরা। এখন বাঙালি-বাঙালি বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যমে আমরা জানতে পারি দেশ থেকে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, ড. প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, শেখ মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।