ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

বুকে ব্যথার পাঁচ কারণ জানালেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য

  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুকে ব্যথা নিয়ে সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক মিলনায়নে সেমিনারটির আয়োজন করে সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটি।
সেমিনারে জানানো হয়, বুকে ব্যথা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে মারাত্মক সমস্যা থাকতে পারে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। যারা বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন তাদের অযথা বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে রোগের উপসর্গ অনুযায়ী পরীক্ষা করে চিকিৎসা করা উচিত। তবে বুকে আঘাত পেলে সেটাকে কিছুতেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।
অধিকাংশ বুকে ব্যথা সাধারণ কারণে হলেও একটি অংশের কারণ হৃদরোগ। হৃদরোগজনিত বুকে ব্যথা সঠিক সময়ে ধরতে না পারলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। বুকে ব্যথা নিয়ে যত রোগী বহির্বিভাগে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তাদের শতকরা পাঁচ ভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত থাকেন। আবার হৃদরোগজনিত বুকে ব্যথার রোগীদের একটি বড় অংশ হাসপাতালে আসার সুযোগই পান না। আবার এলেও সঠিক চিকিৎসা পান না।
চিকিৎসাবঞ্চিত এসব রোগীদের বেশিরভাগই নারী। আবার বয়স্ক, ডায়ালাইসিসের রোগী, অপারেশন পরবর্তী রোগীরাও হৃদরোগের উচ্চঝুঁকিতে থাকেন। আক্রান্তদের সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানোও একটি বড় সমস্যা বলে সেমিনারে জানানো হয়। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান পাঁচটি কারণে বুকে ব্যথা হয়। হৃদরোগের কারণে, ফুসফুসে সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়া অ্যান্ড ভাইরাল ইনফেকশন, স্ট্রেস বা অস্থিরতা ও টেন্ডনের মাংসপেশীতে ব্যথার কারণেও বুকে ব্যথা হয়। আমরা ১ ধরনের কার্ডিয়াক ও চার ধরনের নন-কার্ডিয়াক কারণে বুকে ব্যথা চিহ্নিত করি।
তিনি আরও বলেন, কী কারণে ব্যথা হচ্ছে সেটা বিচার না করে দ্রুত হাসপাতালে আসতে হবে। তা না হলে রোগীকে অনেক সময় বাঁচানো যায় না। আমরা প্রায়ই দেখি, ঘুমের মধ্যে মানুষ মারা যায়। এদের অনেকে রাতে বুকে ব্যথা হলে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সে ঘুম আর ভাঙে না।
তিনি বলেন, বুকের ব্যথা পরীক্ষার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমাদের রয়েছে। তাই ব্যথা নিয়ে বাসায় বসে থাকার দরকার নেই। বুকের ব্যথা নির্ণয়ের জন্য যেসব মেশিন বর্তমানে রয়েছে সেগুলোকে আরও আধুনিক করতে যা করা দরকার তা-ই করবো।
বুকে ব্যথা হলে করণীয় নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করেন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফেরদৌস উর রহমান, ফুসফুসজনিত বুকে ব্যথা নিয়ে আলোচনা করেন রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজাশিস চক্রবর্তী ও হৃদরোগজনিত বুকে ব্যথায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মাদ ফয়সাল ইবনে কবির।
সেমিনারে বুকে ব্যথা নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক ডা. সজলকৃষ্ণ ব্যানার্জী, বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সাব কমিটির সভাপতি নাক, কান, গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। সঞ্চালনা করেন রেসাপিরোটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বুকে ব্যথার পাঁচ কারণ জানালেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুকে ব্যথা নিয়ে সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক মিলনায়নে সেমিনারটির আয়োজন করে সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটি।
সেমিনারে জানানো হয়, বুকে ব্যথা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে মারাত্মক সমস্যা থাকতে পারে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। যারা বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন তাদের অযথা বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে রোগের উপসর্গ অনুযায়ী পরীক্ষা করে চিকিৎসা করা উচিত। তবে বুকে আঘাত পেলে সেটাকে কিছুতেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।
অধিকাংশ বুকে ব্যথা সাধারণ কারণে হলেও একটি অংশের কারণ হৃদরোগ। হৃদরোগজনিত বুকে ব্যথা সঠিক সময়ে ধরতে না পারলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। বুকে ব্যথা নিয়ে যত রোগী বহির্বিভাগে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তাদের শতকরা পাঁচ ভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত থাকেন। আবার হৃদরোগজনিত বুকে ব্যথার রোগীদের একটি বড় অংশ হাসপাতালে আসার সুযোগই পান না। আবার এলেও সঠিক চিকিৎসা পান না।
চিকিৎসাবঞ্চিত এসব রোগীদের বেশিরভাগই নারী। আবার বয়স্ক, ডায়ালাইসিসের রোগী, অপারেশন পরবর্তী রোগীরাও হৃদরোগের উচ্চঝুঁকিতে থাকেন। আক্রান্তদের সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানোও একটি বড় সমস্যা বলে সেমিনারে জানানো হয়। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান পাঁচটি কারণে বুকে ব্যথা হয়। হৃদরোগের কারণে, ফুসফুসে সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়া অ্যান্ড ভাইরাল ইনফেকশন, স্ট্রেস বা অস্থিরতা ও টেন্ডনের মাংসপেশীতে ব্যথার কারণেও বুকে ব্যথা হয়। আমরা ১ ধরনের কার্ডিয়াক ও চার ধরনের নন-কার্ডিয়াক কারণে বুকে ব্যথা চিহ্নিত করি।
তিনি আরও বলেন, কী কারণে ব্যথা হচ্ছে সেটা বিচার না করে দ্রুত হাসপাতালে আসতে হবে। তা না হলে রোগীকে অনেক সময় বাঁচানো যায় না। আমরা প্রায়ই দেখি, ঘুমের মধ্যে মানুষ মারা যায়। এদের অনেকে রাতে বুকে ব্যথা হলে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সে ঘুম আর ভাঙে না।
তিনি বলেন, বুকের ব্যথা পরীক্ষার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমাদের রয়েছে। তাই ব্যথা নিয়ে বাসায় বসে থাকার দরকার নেই। বুকের ব্যথা নির্ণয়ের জন্য যেসব মেশিন বর্তমানে রয়েছে সেগুলোকে আরও আধুনিক করতে যা করা দরকার তা-ই করবো।
বুকে ব্যথা হলে করণীয় নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করেন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফেরদৌস উর রহমান, ফুসফুসজনিত বুকে ব্যথা নিয়ে আলোচনা করেন রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজাশিস চক্রবর্তী ও হৃদরোগজনিত বুকে ব্যথায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মাদ ফয়সাল ইবনে কবির।
সেমিনারে বুকে ব্যথা নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক ডা. সজলকৃষ্ণ ব্যানার্জী, বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সাব কমিটির সভাপতি নাক, কান, গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। সঞ্চালনা করেন রেসাপিরোটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম।