প্রত্যাশা ডেস্ক: শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও আজকের প্রত্যাশার সাবেক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত-এর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার (৩০ মে)। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের এই দিনে তিনি রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে পরলোকগমন করেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিনটি একযোগে পালন করছে শান্ত মারিয়াম ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
মো. ইমামুল কবীর শান্ত ১৯৫৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নাখালপাড়ায় মধ্যবিত্ত একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে। পিতা মরহুম দীন মোহাম্মদ লস্কর [ডি এম লস্কর] (মৃত্যু ৪ এপ্রিল ১৯৯১), মা মাহমুদা খাতুন (মৃত্যু ৩০ জুন ১৯৮৪)। দাদা ছিলেন খাদেম লস্কর, দাদি মোমেনা বেগম। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বড় ভাই প্রফেসর মো. হুমায়ুন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত ও ছোটভাই ডা. মো. আহসানুল কবির (দুলাল)। বোনদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক মনোয়ারা বেগম (প্রয়াত), সাহানা মোস্তাফিজ, আঞ্জুমান আরা বেগম, আফরোজা বেগম, দিলরুবা বেগম। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাঁর মায়ের কবরে দাফন করা হয় এই দেশপ্রেমিক সৃজনশীল কর্মবীরকে। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা.) লি. এবং শান্তনিবাসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন মো. ইমামুল কবীর শান্ত। এ ছাড়া জাতীয় দৈনিক আজকের প্রত্যাশা’র সম্পাদক ছিলেন তিনি। শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্তর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা.) লিমিটেড, দৈনিক আজকের প্রত্যাশাসহ সকল প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শান্ত ১৯৮৩ সালের ১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন ‘সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস’। কুরিয়ার ব্যবসায় সফলতার পর তিনি গড়ে তোলেন অরাজনৈতিক, সেবাধর্মী ও মানবকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান ‘শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন’। যার অধীনে বেশ কিছু ব্যবসা ও শিক্ষাসহায়ক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গড়ে তোলেন ‘শান্ত-মারিয়াম একাডেমি’ ও ‘শান্ত-মারিয়াম ইনস্টিটিউট’। আত্মীয়-ঘনিষ্টজন এবং শিক্ষানুরাগীদের সহায়তায় ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কর্মমুখী, সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার উচ্চ বিদ্যাপীঠ ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’। ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা অনুসারে এটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। অনেক বাধা অতিক্রম করে বর্তমানে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। স্থাপত্য শিল্পের অনন্য সৌন্দর্যে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ক্যাম্পাস উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে বিস্তৃত পরিসরে অবস্থিত। পাশাপাশি তিনি শান্ত-নিবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজসেবামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেন। রাজধানীর উত্তরায় দক্ষিণখানে সুবিশাল পরিসরে গরিব-দুখী ও অসহায় শিশু-কিশোরদের থাকা-খাওয়া নিশ্চিত করে কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে চলেছে শান্ত-মারিয়াম স্কুল অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি। এ ছাড়াও তিনি গাজীপুরের সিনাবহ এলাকায় বিস্তৃত জমির উপর গড়ে তোলেন, নজরকাড়া স্থাপত্য নকশার অতুলনীয় মসজিদ।