ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয় -ছবি আব্দুল মতিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবারের মতো গভীর শ্রদ্ধা-ভালোবাসাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হলো শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র পঞ্চম মৃত্যুবার্র্ষিকী।

এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মরহুমের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজত করা হয়। এদিন বিকালে উত্তরার শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর একদিন আগে বৃহস্পতিবার এতিম-দুস্থদেরসহ প্রতিষ্ঠানের সবার মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

শুক্রবারের স্মরণসভায় শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন এবং সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড-এর বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. মোঃ আহসানুল কবির সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারার ড. পাড় মশিয়ূর রহমান, আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আহমেদ এবং সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড-এর ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান পুলক ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এ বরকতুল্লাহ বাবু প্রমুখ মরহুমের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর স্মৃতিচারণ করেন।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয় -ছবি আব্দুল মতিন

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত একজন সফল উদ্যোক্তা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশের মানুষের কর্মমুখী শিক্ষার নিশ্চয়তা তথা কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড, দৈনিক আজকের প্রত্যাশা, শান্ত-মারিয়াম একাডেমি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, শান্ত-মারিয়াম ইন্সটিটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, শান্ত-মারিয়াম স্কুল অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এবং শান্তনিবাস নামক শিশু ও বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ সমাজসেবা ও শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ৩০ মে ৬৮ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাঁর মায়ের কবরে দাফন করা হয় দেশপ্রেমিক, সৃজনশীল কর্মবীর শান্তকে।

দীর্ঘ কর্মময় জীবনে ১৯৮৩ সালের ১ নভেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড। কুরিয়ার ব্যবসায় সফলতার পর তিনি গড়ে তোলেন অরাজনৈতিক, সেবাধর্মী ও মানবকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান ‘শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন’। যার অধীনে বেশ কিছু ব্যবসা ও শিক্ষাসহায়ক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গড়ে তোলেন ‘শান্ত-মারিয়াম একাডেমি’ ও ‘শান্ত-মারিয়াম ইনস্টিটিউট’। আত্মীয়-ঘনিষ্ঠজন এবং শিক্ষানুরাগীদের সহায়তায় ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কর্মমুখী, সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার উচ্চ বিদ্যাপীঠ ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’। ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা অনুসারে এটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। অনেক বাধা অতিক্রম করে বর্তমানে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। স্থাপত্য শিল্পের অনন্য সৌন্দর্যে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ক্যাম্পাস উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে বিস্তৃত পরিসরে অবস্থিত। পাশাপাশি তিনি শান্ত-নিবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজসেবামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেন। রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে সুবিশাল পরিসরে গরিব-দুখী ও অসহায় শিশু-কিশোরদের থাকা-খাওয়া নিশ্চিত করে কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে চলেছে শান্ত-মারিয়াম স্কুল অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি। এ ছাড়াও তিনি গাজীপুরের সিনাবহ এলাকায় বিস্তৃত জমির উপর গড়ে তোলেন নজরকাড়া স্থাপত্য নকশার অতুলনীয় মসজিদ।

মো. ইমামুল কবীর শান্ত ১৯৫৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নাখালপাড়ায় মধ্যবিত্ত একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে। পিতা মরহুম দীন মোহাম্মদ লস্কর [ডি এম লস্কর] (মৃত্যু ৪ এপ্রিল ১৯৯১), মা মাহমুদা খাতুন (মৃত্যু ৩০ জুন ১৯৮৪)। দাদা ছিলেন খাদেম লস্কর, দাদি মোমেনা বেগম। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বড় ভাই প্রফেসর মো. হুমায়ুন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত ও ছোটভাই ডা. মো. আহসানুল কবির (দুলাল)। বোনেরা হলেন অধ্যাপক মনোয়ারা বেগম (প্রয়াত), সাহানা মোস্তাফিজ, আঞ্জুমান আরা বেগম, আফরোজা বেগম ও দিলরুবা বেগম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবারের মতো গভীর শ্রদ্ধা-ভালোবাসাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হলো শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র পঞ্চম মৃত্যুবার্র্ষিকী।

এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মরহুমের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজত করা হয়। এদিন বিকালে উত্তরার শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর একদিন আগে বৃহস্পতিবার এতিম-দুস্থদেরসহ প্রতিষ্ঠানের সবার মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

শুক্রবারের স্মরণসভায় শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন এবং সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড-এর বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. মোঃ আহসানুল কবির সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারার ড. পাড় মশিয়ূর রহমান, আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আহমেদ এবং সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড-এর ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান পুলক ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এ বরকতুল্লাহ বাবু প্রমুখ মরহুমের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর স্মৃতিচারণ করেন।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয় -ছবি আব্দুল মতিন

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত একজন সফল উদ্যোক্তা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশের মানুষের কর্মমুখী শিক্ষার নিশ্চয়তা তথা কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড, দৈনিক আজকের প্রত্যাশা, শান্ত-মারিয়াম একাডেমি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, শান্ত-মারিয়াম ইন্সটিটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, শান্ত-মারিয়াম স্কুল অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এবং শান্তনিবাস নামক শিশু ও বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ সমাজসেবা ও শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ৩০ মে ৬৮ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাঁর মায়ের কবরে দাফন করা হয় দেশপ্রেমিক, সৃজনশীল কর্মবীর শান্তকে।

দীর্ঘ কর্মময় জীবনে ১৯৮৩ সালের ১ নভেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড। কুরিয়ার ব্যবসায় সফলতার পর তিনি গড়ে তোলেন অরাজনৈতিক, সেবাধর্মী ও মানবকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান ‘শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন’। যার অধীনে বেশ কিছু ব্যবসা ও শিক্ষাসহায়ক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গড়ে তোলেন ‘শান্ত-মারিয়াম একাডেমি’ ও ‘শান্ত-মারিয়াম ইনস্টিটিউট’। আত্মীয়-ঘনিষ্ঠজন এবং শিক্ষানুরাগীদের সহায়তায় ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কর্মমুখী, সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার উচ্চ বিদ্যাপীঠ ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’। ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা অনুসারে এটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। অনেক বাধা অতিক্রম করে বর্তমানে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। স্থাপত্য শিল্পের অনন্য সৌন্দর্যে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ক্যাম্পাস উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে বিস্তৃত পরিসরে অবস্থিত। পাশাপাশি তিনি শান্ত-নিবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজসেবামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেন। রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে সুবিশাল পরিসরে গরিব-দুখী ও অসহায় শিশু-কিশোরদের থাকা-খাওয়া নিশ্চিত করে কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে চলেছে শান্ত-মারিয়াম স্কুল অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি। এ ছাড়াও তিনি গাজীপুরের সিনাবহ এলাকায় বিস্তৃত জমির উপর গড়ে তোলেন নজরকাড়া স্থাপত্য নকশার অতুলনীয় মসজিদ।

মো. ইমামুল কবীর শান্ত ১৯৫৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নাখালপাড়ায় মধ্যবিত্ত একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে। পিতা মরহুম দীন মোহাম্মদ লস্কর [ডি এম লস্কর] (মৃত্যু ৪ এপ্রিল ১৯৯১), মা মাহমুদা খাতুন (মৃত্যু ৩০ জুন ১৯৮৪)। দাদা ছিলেন খাদেম লস্কর, দাদি মোমেনা বেগম। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বড় ভাই প্রফেসর মো. হুমায়ুন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত ও ছোটভাই ডা. মো. আহসানুল কবির (দুলাল)। বোনেরা হলেন অধ্যাপক মনোয়ারা বেগম (প্রয়াত), সাহানা মোস্তাফিজ, আঞ্জুমান আরা বেগম, আফরোজা বেগম ও দিলরুবা বেগম।