ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বীমা খাত ডিজিটাল হলে আগ্রহ বাড়বে: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:০৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :দেশের বীমা খাতকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল ও অটোমেশনে আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “এটা যদি ডিজিটাল হয়, প্রিমিয়াম দেওয়ার ব্যাপারে বা কোনো ব্যাপারে সরাসরি যদি কাজ করা যায়, বা অনলাইনে করা যায়, তা সকলের জন্য সুবিধা হবে, সবাই আগ্রহী হবে।” আর সেজন্য বীমা খাতের সেবায় প্রযুক্তিকে যুক্ত করে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালাতে বলেছেন তিনি, যাতে মানুষ বীমা করতে আগ্রাহী হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ‘জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন তো আমাদের দেশটা আমরা ডিজিটাল করে ফেলেছি। সব কিছু এখন ডিজিটালি হয়। কেনা-বেচা হয়, সব কিছু হয়।
“আর ডিজিটাল করেছিলাম বলেই করোনাকালীন সময়ে আমাদের অর্থনীতির চাকা যেমন সচল রাখতে পেরেছি, মানুষের জীবন জীবিকাও সচল থেকেছে।”
গ্রাহকেদের আস্থা অর্জনে ইউনিফাইড ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম (ইউএমপি) চালু করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বীমা নিয়ে মানুষের আস্থা বাড়াতে হবে। গ্রাহকের স্বার্থকে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা দিতে হবে।
“মানুষকে বীমা বিষয়ে আগ্রহী করতে নতুন নতুন পদ্ধতি কাজে লাগাতে হবে। জনগণকে আরও উৎসাহিত করতে হবে। এটাই আমার একটা অনুরোধ থাকবে।”
তিনি বলেন, বীমা সেবা যদি মানুষ হাতের কাছে পায়, তাহলে অনেকে তার জীবন নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারে। সেজন্য সরকারি বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। “অন্তত আমি এইটুকু বলতে পারি, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর আমরা কিন্তু বেসরকারিখাতে অনেক বীমা কোম্পানি দিয়েছি। তাতে যেমন অনেকের ব্যবসা করারও সুযোগ হয়েছে, বীমা ব্যবসায় যেমন সবাই সম্পৃক্ত হয়েছে, পাশপাশি আমাদের দেশের অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “আমি যেটাই করি, আমার মাথায় সব সময় এটাই থাকে যে আমি কী করে আরও বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এজন্য আমি যখনই সরকারে এসেছি, প্রথমবার ১৯৯৬ সালে তখন থেকে এই পর্যন্ত আমরা কিন্তু সকল প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
“এই উন্মুক্ত করে দেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য, সে উদ্দেশ্যটা হল মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা,” বলেন তিনি।
শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে দেশের মানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বীমা খাত ডিজিটাল হলে আগ্রহ বাড়বে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:০৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :দেশের বীমা খাতকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল ও অটোমেশনে আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “এটা যদি ডিজিটাল হয়, প্রিমিয়াম দেওয়ার ব্যাপারে বা কোনো ব্যাপারে সরাসরি যদি কাজ করা যায়, বা অনলাইনে করা যায়, তা সকলের জন্য সুবিধা হবে, সবাই আগ্রহী হবে।” আর সেজন্য বীমা খাতের সেবায় প্রযুক্তিকে যুক্ত করে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালাতে বলেছেন তিনি, যাতে মানুষ বীমা করতে আগ্রাহী হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ‘জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন তো আমাদের দেশটা আমরা ডিজিটাল করে ফেলেছি। সব কিছু এখন ডিজিটালি হয়। কেনা-বেচা হয়, সব কিছু হয়।
“আর ডিজিটাল করেছিলাম বলেই করোনাকালীন সময়ে আমাদের অর্থনীতির চাকা যেমন সচল রাখতে পেরেছি, মানুষের জীবন জীবিকাও সচল থেকেছে।”
গ্রাহকেদের আস্থা অর্জনে ইউনিফাইড ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম (ইউএমপি) চালু করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বীমা নিয়ে মানুষের আস্থা বাড়াতে হবে। গ্রাহকের স্বার্থকে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা দিতে হবে।
“মানুষকে বীমা বিষয়ে আগ্রহী করতে নতুন নতুন পদ্ধতি কাজে লাগাতে হবে। জনগণকে আরও উৎসাহিত করতে হবে। এটাই আমার একটা অনুরোধ থাকবে।”
তিনি বলেন, বীমা সেবা যদি মানুষ হাতের কাছে পায়, তাহলে অনেকে তার জীবন নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারে। সেজন্য সরকারি বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। “অন্তত আমি এইটুকু বলতে পারি, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর আমরা কিন্তু বেসরকারিখাতে অনেক বীমা কোম্পানি দিয়েছি। তাতে যেমন অনেকের ব্যবসা করারও সুযোগ হয়েছে, বীমা ব্যবসায় যেমন সবাই সম্পৃক্ত হয়েছে, পাশপাশি আমাদের দেশের অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “আমি যেটাই করি, আমার মাথায় সব সময় এটাই থাকে যে আমি কী করে আরও বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এজন্য আমি যখনই সরকারে এসেছি, প্রথমবার ১৯৯৬ সালে তখন থেকে এই পর্যন্ত আমরা কিন্তু সকল প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
“এই উন্মুক্ত করে দেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য, সে উদ্দেশ্যটা হল মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা,” বলেন তিনি।
শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে দেশের মানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।