ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

বিয়েভীতি নিয়ে জাহিদ হাসানের ‘ভাল্লাগে না’

  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: দীর্ঘ বিরতির পর নতুন এক ধারাবাহিকে এসেছেন অভিনেতা জাহিদ হাসান। বিয়েভীতি এবং সংসারজীবনের ভয় কীভাবে একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সেই প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘ভাল্লাগে না’ নাটকটির গল্প। বৈশাখী টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে নাটকটি। বিজ্ঞপ্তিতে বৈশাখী জানিয়েছে, চলতি মাসের এক তারিখ থেকে শুরু হওয়া নাটকটি প্রচার হচ্ছে সপ্তাহের তিনদিন। শনি থেকে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে দেখা যাচ্ছে ‘ভাল্লাগে না’ নাটক।

জাকির হোসেন উজ্জলের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন হানিফ খান। নাটকের গল্পে দেখা গেছে, পুলকের বিয়ে নিয়ে পরিবারের সবাই খুব রোমাঞ্চিত। বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিবেন তারা। একজন আরেকজনকে তাড়া দিচ্ছেন। ব্যান্ডপার্টি, বাদ্যযন্ত্রে রঙিন হয়ে উঠেছে বিয়ের আসর। এমন সময়ই খবর আসে বিয়ের পাত্রী নাকি পালিয়ে গেছেন। পুলকের বিয়ে ভাঙার ঘটনা এটাই প্রথম না। এর আগেও সাতবার বিয়ে ভেস্তে গেছে তার। বাড়ির লোকজন তার বিয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছে। এই ঘটনায় সবার মন খারাপ হলেও পুলক বেশ খুশিতেই আছেন। কারণ বিয়ে সংসার ভালো লাগে না বলে গোপনে পুলকই বিয়ে ভেঙে আসতেন। এখান থেকেই শুরু হয় ধারাবাহিক নাটকটির গল্প।

অভিনেতা বলেন, “বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নাটকটির গল্প খুব প্রাসঙ্গিক। বিয়ে একটি সামাজিক চুক্তি, যা দ্বারা একটি পরিবারের সৃষ্টি হয়। আর সেখানে তৈরি হয় প্রেম, ভালোবাসা, মায়া-মমতা। তবে একই ছাদের নিচে থাকতে গেলে অনেক সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়, ঝগড়া-বিবাদ হয়। “কখনো-সখনো সেই বিবাদ গিয়ে পৌঁছায় চূড়ান্ত বিচ্ছেদে। হতাশা নেমে আসে জীবনে। আর এসব থেকেই কারো কারো বিয়ের প্রতি ভয় এবং অনীহা চলে আসে। এই অনীহা একধরনের মানসিক রোগ, যাকে আমরা গ্যামোফোবিয়া নামে চিনি। যারা মানসিকভাবে এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত তারা আসলে নতুন সম্পর্ক নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। বিবাহিত জীবন নিয়ে ভয় কাজ করে তাদের মধ্যে।” জাহিদ বলেছেন, এমন মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়েই নির্মিত হয়েছে নাটকটি।

“আশা করছি নাটকটি সবার ভালো লাগবে।” নাটকে অভিনয় করেছেন স্বর্ণলতা দেবনাথ, ডা. এজাজ, সাদিয়া তানভীন, সৈয়দা নওশিন দিশাতন্ময় সোহেল, আমিন আজাদ, তারিক স্বপন, তাবাসসুম মিথিলা, শেখ চাঁদনী, মোমিন বাবুসহ অনেকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিয়েভীতি নিয়ে জাহিদ হাসানের ‘ভাল্লাগে না’

আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: দীর্ঘ বিরতির পর নতুন এক ধারাবাহিকে এসেছেন অভিনেতা জাহিদ হাসান। বিয়েভীতি এবং সংসারজীবনের ভয় কীভাবে একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সেই প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘ভাল্লাগে না’ নাটকটির গল্প। বৈশাখী টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে নাটকটি। বিজ্ঞপ্তিতে বৈশাখী জানিয়েছে, চলতি মাসের এক তারিখ থেকে শুরু হওয়া নাটকটি প্রচার হচ্ছে সপ্তাহের তিনদিন। শনি থেকে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে দেখা যাচ্ছে ‘ভাল্লাগে না’ নাটক।

জাকির হোসেন উজ্জলের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন হানিফ খান। নাটকের গল্পে দেখা গেছে, পুলকের বিয়ে নিয়ে পরিবারের সবাই খুব রোমাঞ্চিত। বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিবেন তারা। একজন আরেকজনকে তাড়া দিচ্ছেন। ব্যান্ডপার্টি, বাদ্যযন্ত্রে রঙিন হয়ে উঠেছে বিয়ের আসর। এমন সময়ই খবর আসে বিয়ের পাত্রী নাকি পালিয়ে গেছেন। পুলকের বিয়ে ভাঙার ঘটনা এটাই প্রথম না। এর আগেও সাতবার বিয়ে ভেস্তে গেছে তার। বাড়ির লোকজন তার বিয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছে। এই ঘটনায় সবার মন খারাপ হলেও পুলক বেশ খুশিতেই আছেন। কারণ বিয়ে সংসার ভালো লাগে না বলে গোপনে পুলকই বিয়ে ভেঙে আসতেন। এখান থেকেই শুরু হয় ধারাবাহিক নাটকটির গল্প।

অভিনেতা বলেন, “বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নাটকটির গল্প খুব প্রাসঙ্গিক। বিয়ে একটি সামাজিক চুক্তি, যা দ্বারা একটি পরিবারের সৃষ্টি হয়। আর সেখানে তৈরি হয় প্রেম, ভালোবাসা, মায়া-মমতা। তবে একই ছাদের নিচে থাকতে গেলে অনেক সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়, ঝগড়া-বিবাদ হয়। “কখনো-সখনো সেই বিবাদ গিয়ে পৌঁছায় চূড়ান্ত বিচ্ছেদে। হতাশা নেমে আসে জীবনে। আর এসব থেকেই কারো কারো বিয়ের প্রতি ভয় এবং অনীহা চলে আসে। এই অনীহা একধরনের মানসিক রোগ, যাকে আমরা গ্যামোফোবিয়া নামে চিনি। যারা মানসিকভাবে এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত তারা আসলে নতুন সম্পর্ক নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। বিবাহিত জীবন নিয়ে ভয় কাজ করে তাদের মধ্যে।” জাহিদ বলেছেন, এমন মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়েই নির্মিত হয়েছে নাটকটি।

“আশা করছি নাটকটি সবার ভালো লাগবে।” নাটকে অভিনয় করেছেন স্বর্ণলতা দেবনাথ, ডা. এজাজ, সাদিয়া তানভীন, সৈয়দা নওশিন দিশাতন্ময় সোহেল, আমিন আজাদ, তারিক স্বপন, তাবাসসুম মিথিলা, শেখ চাঁদনী, মোমিন বাবুসহ অনেকে।