ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে পুনঃখনন শুরু, দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদনের সম্ভাবনা

  • আপডেট সময় : ১১:২০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপের পুনঃখননকাজ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উদ্বোধনের পর কূপের খননকাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, খননের পর কূপটি থেকে দৈনিক প্রায় ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করার সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ৯৫ ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদনের কনডেনসেট পাওয়া যেতে পারে। পুনঃখননকাজের উদ্বোধনের সময় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান, বাপেক্সের পরিচালক মোহাম্মদ আলীসহ সিলেট গ্যাস ফিল্ডস ও বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের আওতাধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ আছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার ২০১৬ সালের শুরুর দিকে উৎপাদন শুরু হয়ে ওই বছরের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যায়। তখন কূপের ৩ হাজার ৪৫০ মিটার থেকে গ্যাস উৎপাদন করা হতো। পুনঃখননকাজের মাধ্যমে ৩ হাজার ২০০ মিটার থেকে গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে। এ জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালানো হয়। অন্যদিকে গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে সাড়ে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে খননকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, কূপটি থেকে দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হবে। সেই সঙ্গে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জ্বালানি তেল উৎপাদনের কনডেনসেট পাওয়া যাবে। মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, কূপটি থেকে জ্বালানি তেলের জন্য দৈনিক ৯৫ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হবে। সেগুলো রশীদপুরে নিয়ে জ্বালানি তৈরি করা হবে। সেখান থেকে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিন হবে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস, শেভরন থেকে উৎপাদিত গ্যাসের পাশাপাশি প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ২০০ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়। সেগুলো থেকে প্রতিদিন প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে ৩ হাজার ৮০০ ব্যারেল জ্বালানি উৎপাদিত হয়।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে পুনঃখনন শুরু, দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদনের সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ১১:২০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপের পুনঃখননকাজ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উদ্বোধনের পর কূপের খননকাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, খননের পর কূপটি থেকে দৈনিক প্রায় ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করার সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ৯৫ ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদনের কনডেনসেট পাওয়া যেতে পারে। পুনঃখননকাজের উদ্বোধনের সময় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান, বাপেক্সের পরিচালক মোহাম্মদ আলীসহ সিলেট গ্যাস ফিল্ডস ও বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের আওতাধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ আছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার ২০১৬ সালের শুরুর দিকে উৎপাদন শুরু হয়ে ওই বছরের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যায়। তখন কূপের ৩ হাজার ৪৫০ মিটার থেকে গ্যাস উৎপাদন করা হতো। পুনঃখননকাজের মাধ্যমে ৩ হাজার ২০০ মিটার থেকে গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে। এ জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালানো হয়। অন্যদিকে গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে সাড়ে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে খননকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, কূপটি থেকে দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হবে। সেই সঙ্গে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জ্বালানি তেল উৎপাদনের কনডেনসেট পাওয়া যাবে। মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, কূপটি থেকে জ্বালানি তেলের জন্য দৈনিক ৯৫ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হবে। সেগুলো রশীদপুরে নিয়ে জ্বালানি তৈরি করা হবে। সেখান থেকে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিন হবে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস, শেভরন থেকে উৎপাদিত গ্যাসের পাশাপাশি প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ২০০ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়। সেগুলো থেকে প্রতিদিন প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে ৩ হাজার ৮০০ ব্যারেল জ্বালানি উৎপাদিত হয়।’