ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিজয়ী অধিনায়ক আকরাম জানান, উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সভায় দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিতে হওয়ায় তিনি অপমানবোধ করেছিলেন। এবার সময় এসেছে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার। মূলত তামিম ইকবাল সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় তিনি আর নির্বাচনে যাচ্ছেন না।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) কলকাতা থেকে আকরাম বলেন, ‘তামিম আমার ছেলের সমান। ওর জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা ও দোয়া থাকবে। এবার আমি নির্বাচন করছি না। তামিমকে আমি বুঝিয়ে বলেছি। চিটাগং বিভাগ থেকে দুজন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিসিবিতে দেখা যেতে পারে।’
এবারের বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে আগ্রহ বেড়েছে রাজনৈতিক মহলে। জেলা ও বিভাগ থেকে অধিকাংশ পরিচালক পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা নির্বাচিত হতে পারেন। ফলে সাবেক অনেক ক্রিকেটার অংশ নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।
এরই মধ্যে খালেদ মাসুদ পাইলট ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ৩ নম্বর ক্যাটেগরিতে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ জানিয়েছেন। তবে নান্নু অধিনায়ক কোটায় কাউন্সিলর হলে এই ক্যাটেগরিতে নির্বাচন করতে পারবেন না। বিকল্পভাবে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কাউন্সিলর হতে হবে তাকে।
বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, তাকেও এই ক্যাটেগরিতে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিভাগীয় সংগঠক। এখানে সাবেক খেলোয়াড়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর বাহিনী থেকে কাউন্সিলর আসবে। এত বড় সংখ্যক সদস্য ম্যানেজ করা কঠিন।’
ঢাকা বিভাগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পরিকল্পনায় আছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বিসিবি সভাপতি ও সহসভাপতি দুজনেই অন্তর্বর্তী সরকারের মনোনীত ক্রিকেট সংগঠক।
ক্লাব ক্যাটেগরিতে বিএনপিপন্থি সংগঠকদের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রফিকুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে গঠিত প্যানেলে রাখা হয়েছে তামিম ইকবাল, ফাহিম সিনহা, ইশরাক আহমেদ, মাসুদুজ্জামান খান, বোরহান হোসেন পাপ্পু, আজিজ আল কায়সার টিটু, মঞ্জুরুল আলম, মঈনুল হক মঈন, ইফতেখার রহমান মিঠুসহ আরও কয়েকজনকে। দ্বাদশ সদস্য হিসেবে আসিফ রাব্বানির নামও শোনা যাচ্ছে।
গাজী গ্রুপের সালাউদ্দিন চৌধুরী নির্বাচনে প্রস্তাব পেলেও রাজি হননি। অন্যদিকে লুৎফর রহমান বাদল ক্লাব ক্যাটেগরিতে এককভাবে লড়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এদিকে এবার নির্বাচনে থাকছেন না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবির পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদও নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন।
ওআ/আপ্র/০৪/০৯/২০২৫