নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরাপদে প্রতিমা বিসর্জন নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে নৌ-পুলিশ। বিসর্জনের পর প্রতিমার সঙ্গে থাকা দামি অলংকার ও কাপড় যাতে চুরি না হয় সে বিষয়ে তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় নৌ-পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নৌ-পুলিশ প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. শফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিসর্জনের সময় ডুবুরি, পেট্রল টিম কাজ করবে। এছাড়া বিসর্জনের পর প্রতিমায় থাকা মূল্যবান কাপড় ও অলংকার যাতে চুরি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত আইজি জানান, প্রতিবছর প্রতিমা বিসর্জনের পর একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি দামি অলংকার ও কাপড় তুলে নিয়ে যায়, এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দিনের আলো থাকতে থাকতেই বিসর্জন শেষ করার আহ্বান জানান শফিকুল ইসলাম। যদি রাত হয়ে যায় সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে ঘাটগুলোকে আলোকিত করার অনুরোধও করেন নৌ-পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও প্রতিনিধিরা; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং নৌ-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন সভায়। বক্তারা আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিজ নিজ এলাকার পূজা পূর্ববর্তী, পূজাকালীন ও প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান। নৌ-পুলিশ প্রধান তাদের বক্তব্য শোনেন। তিনি জানান, নৌ-পুলিশের অধিক্ষেত্রে নদীকেন্দ্রিক ৭৭টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিমা বিসর্জন ঘাট ও ৭৯২টি পূজাম-পে নৌ-পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিনেও নৌ-পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি সুন্দর ও নিরাপদ পূজা উদযাপনে নৌ-পুলিশ সবসময় পাশে থাকবে।
বিসর্জনের পর প্রতিমার অলংকার ও কাপড় চুরি ঠেকাবে নৌ-পুলিশ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ