ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

বিশ্ব শিশু দিবসে সংবাদ পাঠ ও উপস্থাপনায় শিশুরা

  • আপডেট সময় : ১১:০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু প্রতিবেদন : বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুরা সহ-উপস্থাপক হিসেবে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সংবাদ উপস্থাপনা করতে এটিএন বাংলা নিউজ স্টুডিও’র নিয়ন্ত্রণ নেয়। ১১ বছর বয়সী আনিশা আমিন সংবাদ পরিবেশন করে এবং ৯ বছর বয়সী রুহি স্টুডিওতে ক্যামেরা চালায়। গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ জানায়— এই ‘কিডস টেকওভার’ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ সনদ গ্রহণের বার্ষিকী উদযাপন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে থাকা একটি মূল ধারণা হলো- শিশুরা কেবল তাদের পিতামাতার অধীন কোনও বস্তু নয়, যাদের হয়ে অন্যরা সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। বরং তারা তাদের নিজস্ব অধিকার সম্পন্ন আলাদা ব্যক্তিসত্ত্বার অধিকারী।
সনদ বলে যে, শৈশবকাল পরিণত বয়সের চেয়ে আলাদা একটি সময় এবং এটি শিশুর ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি একটি বিশেষ এবং সুরক্ষিত সময়, যখন শিশুদের অবশ্যই বেড়ে ওঠার, শেখার, খেলার, উন্নতি করার এবং মর্যাদার সঙ্গে বিকাশ লাভ করার সুযোগ দিতে হবে। সনদটি ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি এবং শিশুদের জীবন পরিবর্তনের জন্য একটি স্তম্ভ হয়ে আছে। সারা বিশ্বে আজ ইউনিসেফ এমন শিশুদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে যারা স্কুলে না যাওয়া, অরক্ষিত ও ছিন্নমূল শিশুদের পক্ষে কথা বলতে গণমাধ্যম ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে ১১ বছর বয়সী আনিশা আমিন বলে, ‘আমি সবসময় টিভির সামনে বসে খবর দেখতাম। কিন্তু আজ সারা দেশ আমার কথা শুনবে। আমি চাই, শুধু বিশ্ব শিশু দিবসে নয়, প্রতিদিনই সব শিশুর কথা শোনা হোক।’
এবারের বিশ্ব শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল-অন্তর্ভুক্তি ও বৈষম্যের বিরোধিতা। এই চেতনার অংশ হিসেবে ইউনিসেফ কক্সবাজারে একটি প্রীতি ফুটবল খেলায় রোহিঙ্গা শরণার্থী মেয়ে ও বাংলাদেশি মেয়েদের একত্রিত করে। ইউনিসেফের কাজের অংশ হিসেবে আনন্দের মুহূর্তটি ছিল সেই শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত ডেভিড বেকহ্যাম, সার্জিও রামোস, রবার্ট লেভানডভস্কি এবং বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের ফুটবল দলের সদস্যদের নিয়ে নির্মিত বিশ্ব শিশু দিবসের ভিডিওটির প্রতিপাদ্য- ‘অন্তর্ভুক্তি ও খেলাধুলার শক্তি’। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া ভিডিওটি ইতোমধ্যে দেখা হয়েছে ১০ লাখের বেশিবার।
ইউনিসেফের ইয়ুথ অ্যাডভোকেট ফারজানা ফারুক ঝুমু এবং রাবা খানও জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আকর্ষণীয় কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছেন। বৈশ্বিক প্রচারাভিযানে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিশুরা বিশ্বকে তাদের বার্তা পাঠিয়েছে যে, প্রতিটি শিশুর সব ধরনের বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অপরদিকে শিশু সাংবাদিকরা তাদের কমিউনিটিতে থাকা প্রচলিত বদ্ধমূল ধ্যান-ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো শিশুদের সম্পর্কে গল্প লিখছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিশুরা তাদের পরিবার, স্কুল ও কমিউনিটিতে শক্তিশালী পরিবর্তনের দূত হতে পারে এবং তা হওয়া উচিত। তাদের অভিমত, পছন্দ এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্ব শিশু দিবসে সংবাদ পাঠ ও উপস্থাপনায় শিশুরা

আপডেট সময় : ১১:০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

নারী ও শিশু প্রতিবেদন : বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুরা সহ-উপস্থাপক হিসেবে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সংবাদ উপস্থাপনা করতে এটিএন বাংলা নিউজ স্টুডিও’র নিয়ন্ত্রণ নেয়। ১১ বছর বয়সী আনিশা আমিন সংবাদ পরিবেশন করে এবং ৯ বছর বয়সী রুহি স্টুডিওতে ক্যামেরা চালায়। গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ জানায়— এই ‘কিডস টেকওভার’ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ সনদ গ্রহণের বার্ষিকী উদযাপন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে থাকা একটি মূল ধারণা হলো- শিশুরা কেবল তাদের পিতামাতার অধীন কোনও বস্তু নয়, যাদের হয়ে অন্যরা সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। বরং তারা তাদের নিজস্ব অধিকার সম্পন্ন আলাদা ব্যক্তিসত্ত্বার অধিকারী।
সনদ বলে যে, শৈশবকাল পরিণত বয়সের চেয়ে আলাদা একটি সময় এবং এটি শিশুর ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি একটি বিশেষ এবং সুরক্ষিত সময়, যখন শিশুদের অবশ্যই বেড়ে ওঠার, শেখার, খেলার, উন্নতি করার এবং মর্যাদার সঙ্গে বিকাশ লাভ করার সুযোগ দিতে হবে। সনদটি ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি এবং শিশুদের জীবন পরিবর্তনের জন্য একটি স্তম্ভ হয়ে আছে। সারা বিশ্বে আজ ইউনিসেফ এমন শিশুদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে যারা স্কুলে না যাওয়া, অরক্ষিত ও ছিন্নমূল শিশুদের পক্ষে কথা বলতে গণমাধ্যম ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে ১১ বছর বয়সী আনিশা আমিন বলে, ‘আমি সবসময় টিভির সামনে বসে খবর দেখতাম। কিন্তু আজ সারা দেশ আমার কথা শুনবে। আমি চাই, শুধু বিশ্ব শিশু দিবসে নয়, প্রতিদিনই সব শিশুর কথা শোনা হোক।’
এবারের বিশ্ব শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল-অন্তর্ভুক্তি ও বৈষম্যের বিরোধিতা। এই চেতনার অংশ হিসেবে ইউনিসেফ কক্সবাজারে একটি প্রীতি ফুটবল খেলায় রোহিঙ্গা শরণার্থী মেয়ে ও বাংলাদেশি মেয়েদের একত্রিত করে। ইউনিসেফের কাজের অংশ হিসেবে আনন্দের মুহূর্তটি ছিল সেই শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত ডেভিড বেকহ্যাম, সার্জিও রামোস, রবার্ট লেভানডভস্কি এবং বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের ফুটবল দলের সদস্যদের নিয়ে নির্মিত বিশ্ব শিশু দিবসের ভিডিওটির প্রতিপাদ্য- ‘অন্তর্ভুক্তি ও খেলাধুলার শক্তি’। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া ভিডিওটি ইতোমধ্যে দেখা হয়েছে ১০ লাখের বেশিবার।
ইউনিসেফের ইয়ুথ অ্যাডভোকেট ফারজানা ফারুক ঝুমু এবং রাবা খানও জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আকর্ষণীয় কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছেন। বৈশ্বিক প্রচারাভিযানে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিশুরা বিশ্বকে তাদের বার্তা পাঠিয়েছে যে, প্রতিটি শিশুর সব ধরনের বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অপরদিকে শিশু সাংবাদিকরা তাদের কমিউনিটিতে থাকা প্রচলিত বদ্ধমূল ধ্যান-ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো শিশুদের সম্পর্কে গল্প লিখছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিশুরা তাদের পরিবার, স্কুল ও কমিউনিটিতে শক্তিশালী পরিবর্তনের দূত হতে পারে এবং তা হওয়া উচিত। তাদের অভিমত, পছন্দ এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে।’