ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

বিশ্ব ইজতেমা শুরু কাল মাঠের এক তৃতীয়াংশ মুসল্লিতে পরিপূর্ণ

  • আপডেট সময় : ১২:১৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর প্রতিনিধি : আগামীকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হতে যাচ্ছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলের মধ্যে ইজতেমা ময়দানের এক তৃতীয়াং জায়গা পূরণ হয়ে গেছে। এর আগে, গত মঙ্গলবার থেকে বাস-ট্রেন ও পিকআপে করে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন মাওলানা জুবায়ের সমর্থক মুসুল্লিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা রোড, আশুলিয়া রোড, টঙ্গী, কামার পড়া রোড হয়ে ট্রাক, পিকআপে করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন তুরাগ তীরে। তার তাদের নির্ধারিত খিত্তায় গিয়ে অবস্থা নিচ্ছেন। সেসব খিত্তায় চট নেই সেখানে নিজ উদ্যোগে মুসল্লিদের টাঙিয়ে নিতে দেখা গেছে চট ও সামিয়ানা। অনেক খিত্তা ইতোমধ্যে মুসল্লি দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। যেসব খিত্তায় উপস্থিতি কম সেসব খিত্তায় অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা জানান, আজ বুধবার রাতের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাবে মাঠ। কারণ তাদের সাথিরা সবাই রওনা হয়েছেন। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আব্দুর রহমান বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়ে লোকাল ট্রেনে টঙ্গী স্টেশনে নেমেছি। আমরা আগে এসে নিজ নিজ যায়গায় অবস্থান নিয়েছি। অন্য সাথিরা রাতের মধ্যে চলে আসবে। সহিসালামতে ময়দানে আসতে পেরেছি এজন্য আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া।’
কুমিল্লা থেকে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৬০ জনের একটি দল নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছি। বাসে করে এসেছি। বাস থেকে আমাদের সকাল ৯টার দিকে ময়দানের নামিয়ে দিয়েছে। আমরা আগে থেকেই ভাগ করে নিয়েছি কাজ। কেউ রান্না করবেন, কেউ বাজার করবেন। ইজতেমা শেষ করে যারা চিল্লায় যাবেন তাদেরকে ভাগ করে দেওয়া হবে এখান থেকে।’
প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম বলেন, ময়দান প্রস্তুত হয়ে গেছে। ইজতেমা পরিচালনারর জন্য সব কিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিরা গতরাত থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। সকালের দিকে মুসল্লি আসার সংখ্যা বেড়েছে। আজ রাতের মধ্যে মাঠ প্রায় পূর্ণ হয়ে যাবে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের একাধিক টিম দায়িত্বে থাকবে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য নিয়ে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ইজতেমায় আগত দেশী ও বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি চুরি ও ছিনতাই রোধে র‌্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য কাজ করছেন।
ইজতেমা ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার টিমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ ব্যাপারে আমরা অনেক বেশি সজাগ রয়েছি।
গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ইজতেমায় বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আগমন ঘটে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘেœ ইজতেমা সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইজতেমা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে নিয়মিত টহল জোরদার এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাব-১সহ পাঁচটি ব্যাটালিয়ন দায়িত্ব পালন করবে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া সদর দপ্তর থেকেও মনিটরিং করা হচ্ছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তত রাখা হয়েছে। এম খুরশীদ হোসেন বলেন, সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইজতেমা এলাকার আশপাশে মাদকাসক্ত, ছিনতাইকারী, পকেটমার ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য কমাতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিমানবন্দরে বিদেশি মেহমানদের হয়রানি নিয়ে তিনি বলেন, গত বছর বিমানবন্দরে টানাহেঁচড়া হয়েছে। এটা অন্তত দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এবার এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই। বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, বিদেশি মুসল্লিদের খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ারের সামনে ও আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইজতেমা এলাকায় র‌্যাবের চিকিৎসাকেন্দ্র সার্বক্ষণিকভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। র‌্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্সসহ ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা প্রদানে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাতের দিন মুসল্লিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য র‌্যাবের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্র ও ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার এবং গুজব রোধে র‌্যাবের সাইবার টিম অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিসহ দেশের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন র‌্যাব মহাপরিচালক।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্ব ইজতেমা শুরু কাল মাঠের এক তৃতীয়াংশ মুসল্লিতে পরিপূর্ণ

আপডেট সময় : ১২:১৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

গাজীপুর প্রতিনিধি : আগামীকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হতে যাচ্ছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলের মধ্যে ইজতেমা ময়দানের এক তৃতীয়াং জায়গা পূরণ হয়ে গেছে। এর আগে, গত মঙ্গলবার থেকে বাস-ট্রেন ও পিকআপে করে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন মাওলানা জুবায়ের সমর্থক মুসুল্লিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা রোড, আশুলিয়া রোড, টঙ্গী, কামার পড়া রোড হয়ে ট্রাক, পিকআপে করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন তুরাগ তীরে। তার তাদের নির্ধারিত খিত্তায় গিয়ে অবস্থা নিচ্ছেন। সেসব খিত্তায় চট নেই সেখানে নিজ উদ্যোগে মুসল্লিদের টাঙিয়ে নিতে দেখা গেছে চট ও সামিয়ানা। অনেক খিত্তা ইতোমধ্যে মুসল্লি দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। যেসব খিত্তায় উপস্থিতি কম সেসব খিত্তায় অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা জানান, আজ বুধবার রাতের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাবে মাঠ। কারণ তাদের সাথিরা সবাই রওনা হয়েছেন। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আব্দুর রহমান বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়ে লোকাল ট্রেনে টঙ্গী স্টেশনে নেমেছি। আমরা আগে এসে নিজ নিজ যায়গায় অবস্থান নিয়েছি। অন্য সাথিরা রাতের মধ্যে চলে আসবে। সহিসালামতে ময়দানে আসতে পেরেছি এজন্য আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া।’
কুমিল্লা থেকে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৬০ জনের একটি দল নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছি। বাসে করে এসেছি। বাস থেকে আমাদের সকাল ৯টার দিকে ময়দানের নামিয়ে দিয়েছে। আমরা আগে থেকেই ভাগ করে নিয়েছি কাজ। কেউ রান্না করবেন, কেউ বাজার করবেন। ইজতেমা শেষ করে যারা চিল্লায় যাবেন তাদেরকে ভাগ করে দেওয়া হবে এখান থেকে।’
প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম বলেন, ময়দান প্রস্তুত হয়ে গেছে। ইজতেমা পরিচালনারর জন্য সব কিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিরা গতরাত থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। সকালের দিকে মুসল্লি আসার সংখ্যা বেড়েছে। আজ রাতের মধ্যে মাঠ প্রায় পূর্ণ হয়ে যাবে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের একাধিক টিম দায়িত্বে থাকবে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য নিয়ে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ইজতেমায় আগত দেশী ও বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি চুরি ও ছিনতাই রোধে র‌্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য কাজ করছেন।
ইজতেমা ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার টিমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ ব্যাপারে আমরা অনেক বেশি সজাগ রয়েছি।
গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ইজতেমায় বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আগমন ঘটে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘেœ ইজতেমা সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইজতেমা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে নিয়মিত টহল জোরদার এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাব-১সহ পাঁচটি ব্যাটালিয়ন দায়িত্ব পালন করবে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া সদর দপ্তর থেকেও মনিটরিং করা হচ্ছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তত রাখা হয়েছে। এম খুরশীদ হোসেন বলেন, সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইজতেমা এলাকার আশপাশে মাদকাসক্ত, ছিনতাইকারী, পকেটমার ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য কমাতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিমানবন্দরে বিদেশি মেহমানদের হয়রানি নিয়ে তিনি বলেন, গত বছর বিমানবন্দরে টানাহেঁচড়া হয়েছে। এটা অন্তত দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এবার এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই। বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, বিদেশি মুসল্লিদের খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ারের সামনে ও আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইজতেমা এলাকায় র‌্যাবের চিকিৎসাকেন্দ্র সার্বক্ষণিকভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। র‌্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্সসহ ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা প্রদানে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাতের দিন মুসল্লিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য র‌্যাবের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্র ও ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার এবং গুজব রোধে র‌্যাবের সাইবার টিম অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিসহ দেশের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন র‌্যাব মহাপরিচালক।