ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশ্বে শ্বেতী রোগীর সংখ্যা আট কোটির বেশি

  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনে আশপাশে আমরা প্রায়ই এমন অনেক মানুষকে দেখি; যাদের ত্বক অন্য সবার চেয়ে আলাদা। তাদের অনেকের ত্বকের আসল রঙের মাঝে ছোপ ছোপ দুধসাদা রঙ দেখা যায়। ত্বকের রঙের এমন তারতম্য মূলত ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যার নাম শ্বেতী বা ধবল রোগ। এ রোগকে ইংরেজিতে বলে লিউকোডারমা বা ভিটিলিগো।

অনেকেই মনে করেন, শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে ও অভিশপ্ত। তাই সাধারণ মানুষ এই রোগীদের দেখলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে চান। সাধারণ মানুষ যেহেতু শ্বেতী রোগীদের এমন চোখে দেখেন, সেহেতু এই রোগীরা নিজেদেরকে নিয়ে সব সময় এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন; মানসিক অবসাদ তাদের নিত্যসঙ্গী।

এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো যে শ্বেতী রোগ আদৌ ছোয়াঁচে কি না। এটি কাদের হয়, কেন হয়, কোন বয়সে বেশি হয়, এর চিকিৎসা কী ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরও এখানে থাকবে।
শ্বেতী রোগের জন্য মেলানিনের অভাব দায়ী: ত্বকের যেসব পরিচিত রোগ আছে, তার মধ্যে শ্বেতী রোগ অন্যতম। এই রোগে যখন কেউ আক্রান্ত হয়, তখন আক্রান্ত স্থানটি সাদা হয়ে ত্বকের স্বাভাবিক রঙ বা পিগমেন্টেশন নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট নামক একটি কোষ আছে; যার কাজ হচ্ছে মেলানিন উৎপাদন করা। এই মেলানিনের কারণেই আমাদের ত্বকের রঙে র্ফসা, বাদামি কিংবা অন্যান্য তারতম্য দেখা যায়।

যখন ত্বকের কোনো অংশের মেলানোসাইট কোষ ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সেখানে মেলানিন উৎপন্ন হতে পারে না এবং মেলানিনের অভাবেই ওই অংশটি অনেকটা সাদা হয়ে যায়। যুক্তরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ শ্বেতী রোগে আক্রান্ত।
জনসংখ্যা বিষয়ক অনলাইন ডেটাবেজ ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ (ডব্লিউপিআর) অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটিরও বেশি। সেই হিসাবে শ্বেতী রোগীর সংখ্যা আট কোটির বেশি।

শ্বেতী রোগের কারণ: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী শরীরে মেলানিনের উৎপাদন কেন বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্বেতী রোগ হয়, সেই বিষয়টি এখনও অজানা। তবে কয়েকটি বিষয়কে এই রোগের কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রথমত, শরীরের ‘ইমিউন সিস্টেম’ বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের শরীরের বিভিন্ন সুস্থ কোষকে (মেলানোসাইট) ভুল করে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মনে করে। ইমিউন সিস্টেম তখন শরীরকে সুরক্ষিত করতে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে মেলানোসাইট কোষকে ধ্বংস করে। আরেকটি কারণ হচ্ছে জিনগত পরিবর্তন। শরীরের ডিএনএ-তে (জেনেটিক মিউটেশন) কোনও পরিবর্তন এলে তা মেলানোসাইটসের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে।

স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তাও এই রোগের অন্যতম কারণ। কেউ ক্রমাগত মানসিক বা শারীরিক চাপে থাকলে মেলানোসাইট কোষগুলোর মেলানিন উৎপাদনের পরিমাণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে; বিশেষ করে শারীরিক আঘাতের পর অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে এটির বেশ ঝুঁকি থাকে। এছাড়া অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ এবং বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে থাকার কারণেও শরীরের মেলানোসাইট কোষগুলোর ক্রিয়াকলাপে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। দেখা গেছে, শতকরা ৩০ শতাংশ রোগী বংশানুক্রমে এতে আক্রান্ত হয়। তবে এটি কোনও সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ নয়।

ঝুঁকি বেশি যাদের: শ্বেতী রোগ জাতি, লিঙ্গ, বর্ণ নির্বিশেষে যে কারো যেকোনও বয়সে হতে পারে। তবে যাদের ত্বক কালো বা বাদামি অর্থাৎ গাঢ় রঙ, তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের ছোপ ছোপ সাদা অংশ বেশি দৃশ্যমান। এক্ষেত্রে সাধারণত ৩০ বছর বয়সের আগেই রঙহীন বা সাদা ত্বক (ম্যাকিউলস) সুস্পষ্ট হয়ে যায়। তবে যাদের হরমোন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এডিসন’স ডিজিজ, এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, থাইরয়েড ইত্যাদি থাকে; তাদের ক্ষেত্রে শ্বেতী রোগ হওয়ার উচ্চঝুঁকি থাকে। এছাড়া সন্তান জন্মদানের পর শরীরের কোনো হরমোনাল পরিবর্তন হলে, কারো লিভার বা কিডনিতে সমস্যা থাকলে এবং মেলানোমা (ত্বকের ক্যান্সার) হলে শ্বেতী রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

শ্বেতী রোগের লক্ষণ: শরীরের যে কোনো অংশের ত্বক শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে সাধারণত ঠোঁট, চোখ, আঙ্গুল, হাতের কব্জি, পায়ের পাতা, বগল, যৌনাঙ্গ, নিতম্ব ও মুখের ভেতরের অংশে বা নাকের দু’পাশে এটি বেশি ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো চুলের গোড়ায় তথা মাথার ত্বকে, দাড়ি কিংবা ভ্রƒতেও এটি দেখা দিতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ত্বকের অনেক অংশজুড়ে প্যাঁচ হয় বা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে সবার আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারে।
চিকিৎসা কী: শ্বেতী রোগের জন্য চিকিৎসা অত্যাবশ্যক নয়। কিন্তু এই রোগ যদি খুব বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে এবং রোগী যদি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, তাহলে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেন। ত্বকের রঙ ফিরিয়ে আনার জন্য চিকিৎসক স্টেরয়েড ক্রিম দিতে পারেন। কিন্তু সেই ক্রিমের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে ত্বকে ‘স্ট্রেচ মার্ক’ পড়তে পারে এবং ত্বকের আবরণ পাতলা হয়ে যেতে পারে। আর স্টেরয়েড ক্রিম যদি কাজ না করে, তাহলে লাইট থেরাপি বা ফটোথেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া এখন অস্ত্রোপচারও করা হয়। শ্বেতী রোগ নিরাময় করার নিশ্চিত উপায় নেই। তাই এ রোগের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য কয়েকটি বিষয় রপ্ত করতে হবে। তা হলো সূর্যের আলোয় নিরাপদে যাওয়ার অভ্যাস করা, ত্বকে দৈনিক ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা, মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকা এবং শরীরে কোনো অটোইমিউন ডিজিজ বা স্বতঃঅনাক্রম্য রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব বন্ধ না করলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো: উপদেষ্টা মাহফুজ

বিশ্বে শ্বেতী রোগীর সংখ্যা আট কোটির বেশি

আপডেট সময় : ০৬:১৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনে আশপাশে আমরা প্রায়ই এমন অনেক মানুষকে দেখি; যাদের ত্বক অন্য সবার চেয়ে আলাদা। তাদের অনেকের ত্বকের আসল রঙের মাঝে ছোপ ছোপ দুধসাদা রঙ দেখা যায়। ত্বকের রঙের এমন তারতম্য মূলত ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যার নাম শ্বেতী বা ধবল রোগ। এ রোগকে ইংরেজিতে বলে লিউকোডারমা বা ভিটিলিগো।

অনেকেই মনে করেন, শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে ও অভিশপ্ত। তাই সাধারণ মানুষ এই রোগীদের দেখলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে চান। সাধারণ মানুষ যেহেতু শ্বেতী রোগীদের এমন চোখে দেখেন, সেহেতু এই রোগীরা নিজেদেরকে নিয়ে সব সময় এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন; মানসিক অবসাদ তাদের নিত্যসঙ্গী।

এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো যে শ্বেতী রোগ আদৌ ছোয়াঁচে কি না। এটি কাদের হয়, কেন হয়, কোন বয়সে বেশি হয়, এর চিকিৎসা কী ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরও এখানে থাকবে।
শ্বেতী রোগের জন্য মেলানিনের অভাব দায়ী: ত্বকের যেসব পরিচিত রোগ আছে, তার মধ্যে শ্বেতী রোগ অন্যতম। এই রোগে যখন কেউ আক্রান্ত হয়, তখন আক্রান্ত স্থানটি সাদা হয়ে ত্বকের স্বাভাবিক রঙ বা পিগমেন্টেশন নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট নামক একটি কোষ আছে; যার কাজ হচ্ছে মেলানিন উৎপাদন করা। এই মেলানিনের কারণেই আমাদের ত্বকের রঙে র্ফসা, বাদামি কিংবা অন্যান্য তারতম্য দেখা যায়।

যখন ত্বকের কোনো অংশের মেলানোসাইট কোষ ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সেখানে মেলানিন উৎপন্ন হতে পারে না এবং মেলানিনের অভাবেই ওই অংশটি অনেকটা সাদা হয়ে যায়। যুক্তরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ শ্বেতী রোগে আক্রান্ত।
জনসংখ্যা বিষয়ক অনলাইন ডেটাবেজ ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ (ডব্লিউপিআর) অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটিরও বেশি। সেই হিসাবে শ্বেতী রোগীর সংখ্যা আট কোটির বেশি।

শ্বেতী রোগের কারণ: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী শরীরে মেলানিনের উৎপাদন কেন বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্বেতী রোগ হয়, সেই বিষয়টি এখনও অজানা। তবে কয়েকটি বিষয়কে এই রোগের কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রথমত, শরীরের ‘ইমিউন সিস্টেম’ বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের শরীরের বিভিন্ন সুস্থ কোষকে (মেলানোসাইট) ভুল করে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মনে করে। ইমিউন সিস্টেম তখন শরীরকে সুরক্ষিত করতে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে মেলানোসাইট কোষকে ধ্বংস করে। আরেকটি কারণ হচ্ছে জিনগত পরিবর্তন। শরীরের ডিএনএ-তে (জেনেটিক মিউটেশন) কোনও পরিবর্তন এলে তা মেলানোসাইটসের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে।

স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তাও এই রোগের অন্যতম কারণ। কেউ ক্রমাগত মানসিক বা শারীরিক চাপে থাকলে মেলানোসাইট কোষগুলোর মেলানিন উৎপাদনের পরিমাণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে; বিশেষ করে শারীরিক আঘাতের পর অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে এটির বেশ ঝুঁকি থাকে। এছাড়া অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ এবং বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে থাকার কারণেও শরীরের মেলানোসাইট কোষগুলোর ক্রিয়াকলাপে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। দেখা গেছে, শতকরা ৩০ শতাংশ রোগী বংশানুক্রমে এতে আক্রান্ত হয়। তবে এটি কোনও সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ নয়।

ঝুঁকি বেশি যাদের: শ্বেতী রোগ জাতি, লিঙ্গ, বর্ণ নির্বিশেষে যে কারো যেকোনও বয়সে হতে পারে। তবে যাদের ত্বক কালো বা বাদামি অর্থাৎ গাঢ় রঙ, তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের ছোপ ছোপ সাদা অংশ বেশি দৃশ্যমান। এক্ষেত্রে সাধারণত ৩০ বছর বয়সের আগেই রঙহীন বা সাদা ত্বক (ম্যাকিউলস) সুস্পষ্ট হয়ে যায়। তবে যাদের হরমোন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এডিসন’স ডিজিজ, এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, থাইরয়েড ইত্যাদি থাকে; তাদের ক্ষেত্রে শ্বেতী রোগ হওয়ার উচ্চঝুঁকি থাকে। এছাড়া সন্তান জন্মদানের পর শরীরের কোনো হরমোনাল পরিবর্তন হলে, কারো লিভার বা কিডনিতে সমস্যা থাকলে এবং মেলানোমা (ত্বকের ক্যান্সার) হলে শ্বেতী রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

শ্বেতী রোগের লক্ষণ: শরীরের যে কোনো অংশের ত্বক শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে সাধারণত ঠোঁট, চোখ, আঙ্গুল, হাতের কব্জি, পায়ের পাতা, বগল, যৌনাঙ্গ, নিতম্ব ও মুখের ভেতরের অংশে বা নাকের দু’পাশে এটি বেশি ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো চুলের গোড়ায় তথা মাথার ত্বকে, দাড়ি কিংবা ভ্রƒতেও এটি দেখা দিতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ত্বকের অনেক অংশজুড়ে প্যাঁচ হয় বা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে সবার আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারে।
চিকিৎসা কী: শ্বেতী রোগের জন্য চিকিৎসা অত্যাবশ্যক নয়। কিন্তু এই রোগ যদি খুব বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে এবং রোগী যদি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, তাহলে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেন। ত্বকের রঙ ফিরিয়ে আনার জন্য চিকিৎসক স্টেরয়েড ক্রিম দিতে পারেন। কিন্তু সেই ক্রিমের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে ত্বকে ‘স্ট্রেচ মার্ক’ পড়তে পারে এবং ত্বকের আবরণ পাতলা হয়ে যেতে পারে। আর স্টেরয়েড ক্রিম যদি কাজ না করে, তাহলে লাইট থেরাপি বা ফটোথেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া এখন অস্ত্রোপচারও করা হয়। শ্বেতী রোগ নিরাময় করার নিশ্চিত উপায় নেই। তাই এ রোগের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য কয়েকটি বিষয় রপ্ত করতে হবে। তা হলো সূর্যের আলোয় নিরাপদে যাওয়ার অভ্যাস করা, ত্বকে দৈনিক ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা, মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকা এবং শরীরে কোনো অটোইমিউন ডিজিজ বা স্বতঃঅনাক্রম্য রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করা।