ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী মশা

  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ছোট্ট সাদাসিধা দেখতে হলেও মশা কিন্তু প্রাণঘাতী প্রাণী হিসেবেই পরিচিত। প্রতিবছর সারাবিশ্বে ৭ লাখ ২৫ হাজার থেকে ১০ লাখ মানুষ মশার কামড়ে মারা যায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তালিকায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণীর একটি।
গিনেস ওয়ার্ল্ডের তথ্য মতে, অ্যানোফিলিস নামক মশা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হোন লাখ লাখ মানুষ। জাপানে এটি এনসেফালাইটিস এবং হলুদ জ্বর নামে পরিচিত। অ্যানোফিলিস প্রজাতির স্ত্রী মশার কামড়েই শুধুমাত্র ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এই মশার কামড়ে সারাবিশ্বে মারা যায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ। সেখানে সাপের কামড়ে প্রতি বছর আনুমানিক ৫০ হাজার এবং কুকুরের কামড়ে মারা যাচ্ছে ২৫ হাজার মানুষ। আর এ কারণেই ২০১৭ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী হিসেবে নাম ওঠে মশার। দিন-রাত ঘরে কয়েল বা মশাবিরোধী স্প্রেসহ আনুষঙ্গিক জিনিস ব্যবহার করে থাকি। তবুও নাছোড়বান্দা মশা ঘর থেকে তাড়ানো কষ্টকর। ছোট এই পতঙ্গের এক কামড়ে হতে পারে ভয়াবহ সব রোগ। আর এ কারণে মশা দেখে সবার ভয়!
পৃথিবীতে মশা টিকে আছে ২৫০০ বছর ধরে। পুরুষ মশার জীবনকাল যেখানে মাত্র একদিন। সেখানে একটি স্ত্রী মশা ৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আর পুরুষ মশা একদিনের বেশি বাঁচলেও; তাদের পরিস্থিতি একেবারেই নাজুক হয়ে পড়ে। মশাদের ব্যাপারে আরেকটি তথ্য জানেন কি? পুরুষ মশা কিন্তু কামড়ায় না। ব্যাপারটা হচ্ছে পুরুষ মশা রক্ত খায় না। স্ত্রী মশারাই বিভিন্ন প্রাণীর রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। এর অবশ্য কারণও রয়েছে। পুরুষের মতো স্ত্রী মশাও গাছের কা-ের রস বা ফুলের মধু পান করে বেঁচে থাকতে পারে। তবে ডিম গঠনের জন্য স্ত্রী মশকীর মানুষের রক্তের প্রয়োজন পড়ে। এ কারণেই তারা রক্ত খায়। সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী মশা

আপডেট সময় : ১২:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ছোট্ট সাদাসিধা দেখতে হলেও মশা কিন্তু প্রাণঘাতী প্রাণী হিসেবেই পরিচিত। প্রতিবছর সারাবিশ্বে ৭ লাখ ২৫ হাজার থেকে ১০ লাখ মানুষ মশার কামড়ে মারা যায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তালিকায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণীর একটি।
গিনেস ওয়ার্ল্ডের তথ্য মতে, অ্যানোফিলিস নামক মশা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হোন লাখ লাখ মানুষ। জাপানে এটি এনসেফালাইটিস এবং হলুদ জ্বর নামে পরিচিত। অ্যানোফিলিস প্রজাতির স্ত্রী মশার কামড়েই শুধুমাত্র ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এই মশার কামড়ে সারাবিশ্বে মারা যায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ। সেখানে সাপের কামড়ে প্রতি বছর আনুমানিক ৫০ হাজার এবং কুকুরের কামড়ে মারা যাচ্ছে ২৫ হাজার মানুষ। আর এ কারণেই ২০১৭ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী হিসেবে নাম ওঠে মশার। দিন-রাত ঘরে কয়েল বা মশাবিরোধী স্প্রেসহ আনুষঙ্গিক জিনিস ব্যবহার করে থাকি। তবুও নাছোড়বান্দা মশা ঘর থেকে তাড়ানো কষ্টকর। ছোট এই পতঙ্গের এক কামড়ে হতে পারে ভয়াবহ সব রোগ। আর এ কারণে মশা দেখে সবার ভয়!
পৃথিবীতে মশা টিকে আছে ২৫০০ বছর ধরে। পুরুষ মশার জীবনকাল যেখানে মাত্র একদিন। সেখানে একটি স্ত্রী মশা ৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আর পুরুষ মশা একদিনের বেশি বাঁচলেও; তাদের পরিস্থিতি একেবারেই নাজুক হয়ে পড়ে। মশাদের ব্যাপারে আরেকটি তথ্য জানেন কি? পুরুষ মশা কিন্তু কামড়ায় না। ব্যাপারটা হচ্ছে পুরুষ মশা রক্ত খায় না। স্ত্রী মশারাই বিভিন্ন প্রাণীর রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। এর অবশ্য কারণও রয়েছে। পুরুষের মতো স্ত্রী মশাও গাছের কা-ের রস বা ফুলের মধু পান করে বেঁচে থাকতে পারে। তবে ডিম গঠনের জন্য স্ত্রী মশকীর মানুষের রক্তের প্রয়োজন পড়ে। এ কারণেই তারা রক্ত খায়। সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড