ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের যত অভ্যাস

  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : যারা অন্যদের চেয়ে বেশি সফল তাদের জীবন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিও থাকে ভিন্ন। তারা খুব পরিশ্রমী হন। তাদের ইতিবাচক মানসিকতা সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে সাহায্য করে। তাদের সাথে সৌভাগ্য ছাড়াও থাকে কিছু সাধারণ অভ্যাস। যে অভ্যাসগুলো তাদের সামগ্রিক সাফল্য এবং সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে। চলুন বিল গেটস, মুকেশ আম্বানিসহ বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জানা যাক :
ইলন মাস্ক : ইলন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ২৬০ বিলিয়ন ডলারের মালিক। কে না চেনেন তাকে! ইলন মাস্কের নিয়মিত অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম বই পড়া। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বই পড়েন তিনি। তিনি একজন উদাসীন পাঠক এবং বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জ্ঞ্যান অর্জনে বিশ্বাসী তিনি।
জেফ বেজোস : অ্যামাজনের সাফল্যের গল্প সারা পৃথিবীর জানা। সেই আমাজন দিয়েই শীর্ষে উঠেছেন জেফ বেজোস। এই গ্রহের ব্যস্ততম ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। কিন্তু তারপরও জেফ তার সারাদিনের সময়সূচীর মধ্যে অন্তত একটি পছন্দের কাজের জন্য সময় বের করেন। বেজোস বিশ্বাস করেন যে, তিনি যা পছন্দ করেন তা তাকে আরও উজ্জীবিত করবে।
গৌতম আদানি : ২০২২ সালে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে গৌতম আদানির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি জায়গা করে নিয়েছে। গৌতমের রয়েছে চমৎকার যোগাযোগ এবং আলোচনার দক্ষতা। তিনি নিয়মিত এই দক্ষতা অনুশীলনও করেন। যার ফলে তিনি তার লক্ষ্যে যখন যেভাবে চান পৌছাতে পারেন।
বিল গেটস : বিল গেটসের সাফল্যের গল্প অনেক মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা। মানুষ মনে করে বিলিয়নিয়াররা সাধারণত তাদের অর্থ দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। কিন্তু বিল গেটস এর বিপরিত। তিনি অর্থ ব্যয় না করে তা সংরক্ষণে বিশ্বাসী। অর্থ জমিয়ে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বিলিয়ন ডলার দান করেন বিল গেটস।
বার্নার্ড আর্নল্ট : বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল পণ্য কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বার্নাড ধর্মীয়ভাবে ধৈর্য চর্চা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন ব্যবসা বুঝতে সময়, প্রতিশ্রুতি এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। তিনি মনে করেন একটি ব্র্যান্ড কীভাবে সফল হতে পারে তা বুঝতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে!
ওয়ারেন বাফেট : ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের অন্যতম ধনী বিনিয়োগকারী। তার সবচেয়ে আশ্চর্যজনক অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি হল তিনি প্রতিদিনকার খাবারের জন্য বেশি খরচ করতে পছন্দ করেন না। এমনকি তিনি বাইরে খেতে তেমন পছন্দ করেন না। কাজে বাইরে থাকলে তিনি ৫ ডলারের একটি বার্গার খেয়ে নেন। এছাড়া বাড়িতে তার শেফ তার জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করে দেন। এটি অর্থ সংরক্ষণের খুব ভালো একটি উপায় যা সবার থাকা উচিত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ইউনিয়নে রাজনীতি থাকলে স্বাধীন সাংবাদিকতা কীভাবে সম্ভব?

বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের যত অভ্যাস

আপডেট সময় : ১২:৩৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : যারা অন্যদের চেয়ে বেশি সফল তাদের জীবন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিও থাকে ভিন্ন। তারা খুব পরিশ্রমী হন। তাদের ইতিবাচক মানসিকতা সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে সাহায্য করে। তাদের সাথে সৌভাগ্য ছাড়াও থাকে কিছু সাধারণ অভ্যাস। যে অভ্যাসগুলো তাদের সামগ্রিক সাফল্য এবং সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে। চলুন বিল গেটস, মুকেশ আম্বানিসহ বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জানা যাক :
ইলন মাস্ক : ইলন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ২৬০ বিলিয়ন ডলারের মালিক। কে না চেনেন তাকে! ইলন মাস্কের নিয়মিত অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম বই পড়া। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বই পড়েন তিনি। তিনি একজন উদাসীন পাঠক এবং বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জ্ঞ্যান অর্জনে বিশ্বাসী তিনি।
জেফ বেজোস : অ্যামাজনের সাফল্যের গল্প সারা পৃথিবীর জানা। সেই আমাজন দিয়েই শীর্ষে উঠেছেন জেফ বেজোস। এই গ্রহের ব্যস্ততম ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। কিন্তু তারপরও জেফ তার সারাদিনের সময়সূচীর মধ্যে অন্তত একটি পছন্দের কাজের জন্য সময় বের করেন। বেজোস বিশ্বাস করেন যে, তিনি যা পছন্দ করেন তা তাকে আরও উজ্জীবিত করবে।
গৌতম আদানি : ২০২২ সালে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে গৌতম আদানির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি জায়গা করে নিয়েছে। গৌতমের রয়েছে চমৎকার যোগাযোগ এবং আলোচনার দক্ষতা। তিনি নিয়মিত এই দক্ষতা অনুশীলনও করেন। যার ফলে তিনি তার লক্ষ্যে যখন যেভাবে চান পৌছাতে পারেন।
বিল গেটস : বিল গেটসের সাফল্যের গল্প অনেক মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা। মানুষ মনে করে বিলিয়নিয়াররা সাধারণত তাদের অর্থ দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। কিন্তু বিল গেটস এর বিপরিত। তিনি অর্থ ব্যয় না করে তা সংরক্ষণে বিশ্বাসী। অর্থ জমিয়ে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বিলিয়ন ডলার দান করেন বিল গেটস।
বার্নার্ড আর্নল্ট : বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল পণ্য কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বার্নাড ধর্মীয়ভাবে ধৈর্য চর্চা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন ব্যবসা বুঝতে সময়, প্রতিশ্রুতি এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। তিনি মনে করেন একটি ব্র্যান্ড কীভাবে সফল হতে পারে তা বুঝতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে!
ওয়ারেন বাফেট : ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের অন্যতম ধনী বিনিয়োগকারী। তার সবচেয়ে আশ্চর্যজনক অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি হল তিনি প্রতিদিনকার খাবারের জন্য বেশি খরচ করতে পছন্দ করেন না। এমনকি তিনি বাইরে খেতে তেমন পছন্দ করেন না। কাজে বাইরে থাকলে তিনি ৫ ডলারের একটি বার্গার খেয়ে নেন। এছাড়া বাড়িতে তার শেফ তার জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করে দেন। এটি অর্থ সংরক্ষণের খুব ভালো একটি উপায় যা সবার থাকা উচিত।