সিলেট প্রতিনিধি : বিশ্বরেকর্ড গড়তে সিলেট নগরীর চাঁদনীঘাট থেকে ভৈরব ফেরিঘাট পর্যন্ত ২৮১ কিলোমিটার সাঁতরাতে নেমেছিলেন ৭০ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষীতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। তবে মাত্র ৮৩ কিলোমিটার সাঁতরানোর পর থামতে হয়েছে তাকে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সুনামগঞ্জের হরিনাপাটিতে পৌঁছে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি এই সাঁতার সমাপ্ত করেছেন। এর আগে ৮৩ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছেন একুশে পদক জয়ী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিটের কমান্ডার (সাবেক) বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল জানান, ক্ষীতিন্দ্র দুপুরের দিকে দুর্বল হয়ে পড়েন। তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। এই অবস্থায় সঙ্গে থাকা চিকিৎসক তাকে পানি থেকে উঠে আসার পরামর্শ দেন। প্রথমে রাজি না হলেও সবার অনুরোধে তিনি শেষ পর্যন্ত রাজি হন।
জানা গেছে, বিশ্বরেকর্ড গড়তে সিলেট থেকে ২৮১ কিলোমিটার সাঁতার শুরু করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষীতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় নগরীর সুরমা কিনব্রিজ পয়েন্ট সংলগ্ন চাঁদনিঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন। লক্ষ্য ছিল ২৮১ কিলোমিটার সাঁতরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাটে পৌঁছাবেন তিনি। এতে প্রায় ৭০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা ছিল। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ২০১২ সালের মে মাসে অবসর গ্রহণ করলেও এখনও কনসালটেন্ট হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করছেন। তিনি ১৯৫২ সালের ২৩ মে নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সিলেটের এমসি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ক্ষীতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে সাঁতার আমার নেশা। আমি একজন অবিরাম শৌখিন সাঁতারু।’
বিশ্বরেকর্ড হলো না ক্ষীতিন্দ্রের, থামলেন ৮৩ কিমি সাঁতরে
ট্যাগস :
বিশ্বরেকর্ড হলো না ক্ষীতিন্দ্রের
জনপ্রিয় সংবাদ