ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমলো

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

রয়টার্স : আন্তর্জাতিক বাজারে আরও কমলো অপরিশোধিত তেলের দাম। এর মধ্যে গত জানুয়ারির পর থেকে সর্বনি¤œ পর্যায়ে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম। অয়েল প্রাইস ডটকমের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) পূর্ব-দেশীয় সময় (ইটি) দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৬ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলারে পৌঁছায়, যা আগের দিনের তুলনায় ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম। একই সময় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ দশমিক ৯৮ ডলার বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে হয় ৯২ দশমিক ১২ ডলার, যা গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনি¤œ।
ফুজিটোমি সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান বিশ্লেষক কাজুহিকো সাইতো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাসোলিনের মজুত কমা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছে যে, চাহিদা স্থিতিস্থাপক রয়েছে। এটি তাদের কিনতে প্ররোচিত করছে৷ তবুও সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দার উদ্বেগের কারণে তেলের বাজার মোটামুটি উচ্চ অস্থিরতার পাশাপাশি চাপের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে বাজার সূত্র জানায়, সবশেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানির মজুদ কমেছে।
সূত্রমতে, গত ১২ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে তাদের অপরিশোধিত তেলের মজুত প্রায় ৪ লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল কমেছে। গ্যাসোলিনের মজুত কমেছে প্রায় ৪৫ লাখ ব্যারেল। পাতনের মজুতও কমেছে অন্তত ৭ লাখ ৫৯ হাজার ব্যারেল।
এছাড়া, বিনিয়োগকারীরা এখনো ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বহালের অগ্রগতি সম্পর্কে নিশ্চয়তার অপেক্ষা করছেন। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে সম্মত হতে পারলে ইরানি তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সরবরাহ আরও বাড়বে।
গত মঙ্গলবার ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ২০১৫ পরমাণু চুক্তি পুনর্বহালের প্রস্তাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে। এর আগে ওয়াশিংটনকে এ বিষয়ে নমনীয় হতে আহ্বান জানিয়েছিল তেহরান।
এ অবস্থায় বারক্লেসের পূর্বাভাসে ২০২২ ও ২০২৩ সালের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের সম্ভাব্য দাম ব্যারেলপ্রতি আরও আট ডলার কমানো হয়েছে। রুশ তেলের ‘স্থিতিস্থাপক’ সরবরাহের কারণে নিকট ভবিষ্যতে অপরিশোধিত তেলের বড় উদ্বৃত্ত তৈরি হবে বলে আশা করছে বহুজাতিক ব্যাংকটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

একাদশ ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ ২৮ আগস্ট রাতে

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমলো

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

রয়টার্স : আন্তর্জাতিক বাজারে আরও কমলো অপরিশোধিত তেলের দাম। এর মধ্যে গত জানুয়ারির পর থেকে সর্বনি¤œ পর্যায়ে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম। অয়েল প্রাইস ডটকমের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) পূর্ব-দেশীয় সময় (ইটি) দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৬ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলারে পৌঁছায়, যা আগের দিনের তুলনায় ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম। একই সময় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ দশমিক ৯৮ ডলার বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে হয় ৯২ দশমিক ১২ ডলার, যা গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনি¤œ।
ফুজিটোমি সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান বিশ্লেষক কাজুহিকো সাইতো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাসোলিনের মজুত কমা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছে যে, চাহিদা স্থিতিস্থাপক রয়েছে। এটি তাদের কিনতে প্ররোচিত করছে৷ তবুও সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দার উদ্বেগের কারণে তেলের বাজার মোটামুটি উচ্চ অস্থিরতার পাশাপাশি চাপের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে বাজার সূত্র জানায়, সবশেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানির মজুদ কমেছে।
সূত্রমতে, গত ১২ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে তাদের অপরিশোধিত তেলের মজুত প্রায় ৪ লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল কমেছে। গ্যাসোলিনের মজুত কমেছে প্রায় ৪৫ লাখ ব্যারেল। পাতনের মজুতও কমেছে অন্তত ৭ লাখ ৫৯ হাজার ব্যারেল।
এছাড়া, বিনিয়োগকারীরা এখনো ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বহালের অগ্রগতি সম্পর্কে নিশ্চয়তার অপেক্ষা করছেন। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে সম্মত হতে পারলে ইরানি তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সরবরাহ আরও বাড়বে।
গত মঙ্গলবার ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ২০১৫ পরমাণু চুক্তি পুনর্বহালের প্রস্তাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে। এর আগে ওয়াশিংটনকে এ বিষয়ে নমনীয় হতে আহ্বান জানিয়েছিল তেহরান।
এ অবস্থায় বারক্লেসের পূর্বাভাসে ২০২২ ও ২০২৩ সালের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের সম্ভাব্য দাম ব্যারেলপ্রতি আরও আট ডলার কমানো হয়েছে। রুশ তেলের ‘স্থিতিস্থাপক’ সরবরাহের কারণে নিকট ভবিষ্যতে অপরিশোধিত তেলের বড় উদ্বৃত্ত তৈরি হবে বলে আশা করছে বহুজাতিক ব্যাংকটি।