ক্রীড়া ডেস্ক : পেনাল্টি অনুশীলনে বাড়তি সময় দিতে দলের তারকা ফুটবলারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের লক্ষ্য স্থির করেছে তার দল। গত বছর ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেনাল্টিতে ইতালির কাছে পরাজিত হয়েছিল সাউথগেটের শিষ্যরা। ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড, জাডন সানচো এবং বুকায়ো সাকা। যে কারণে দুঃখজনক ভাবে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ ইউরো সেমি-ফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সাউথগেট নিজেও। ফলে জার্মানির কাছে হেরে ফাইনাল খেলতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। তার মতে পেনাল্টি সাফল্য পাওয়াও এক ধরনের দক্ষতা, তাই বারবার এটি অনুশীলন করতে হবে।
ইংলিশ বস মনে করেন আগামী নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে জয়-পরাজয়ের নিয়ামক হতে পারে এইসব ছোটখাট বিষয়গুলো। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘ আমরা খেলোয়াড়দের বিভিন্ন বিষয়ের গভীরে গিয়ে এর উন্নতিতে জোর দিচ্ছি, যাতে বিশ্বকাপ জয় করা যায়। শরৎকালে আমাদের সব বিষয়ে নজর দেয়া সম্ভব ছিলনা। কারণ ওই সময় আমাদের মনোযোগ ছিল সরাসরি বিশ্বকাপের চুড়ান্ত আসর নিশ্চিতের দিকে। তাই আমাদের মতে এই ক্যাম্পটি ভাল সময়ে শুরু হয়েছে এবং এর একটি অংশই থাকছে পেনাল্টি। ক্লাবের হয়ে নিয়মিত পেনাল্টি নেয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে আমাদের দলে আছেন কেবল হ্যারি কেন ও জেমস ওয়ার্ড -প্রাউজ। কিন্তু ইতালির বিপক্ষে আমরা যখন খেলেছি, তখন দেখেছেন তাদের শীর্ষ ৫ খেলোয়াড় প্রতিযোগিতামুলক ম্যাচে ৪০টিরও বেশী পেনাল্টি নিয়েছিল। কেন সেই পর্যায়ে থাকলেও পরের ধাপে থাকা রাসফোর্ডে সংখ্যা ২০টি। সুতরাং ক্লাবে কতটুকু অনুশীলন করলো সেটির ওপর ভরসা না রেখে আমাদেরকে ভিন্ন চিন্তা করতে হবে। তাই এটিকে আমাদের কাজের অংশ হিসেবে নিয়েছি। সাউথগেট বলেন,‘ তবে হ্যাঁ, হযতো এটি কিছুটা আগেভাগে শুরু করেছি। তবে আমার মতে এই কাজটিই সঠিক। কিন্তু আপনি যদি ম্যাচের সময়গুলো বের করেন তাহলে ২০ দিনের বেশী পাবেন না। তাও আবার সেটি হবে নকআউটপর্বের সময়।’ ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলেছে ইংল্যান্ড। ইউরো ২০২০ আসরে হয়েছে রানারআপ। তবে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর বড় কোন শিরোপা জয় করতে পারেনি ইংল্যান্ড। কাতার বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে নিজে এবং তার ব্যাকরুম স্টাফরা সব বিষয় নিয়েই পর্যালোচনা করছেন বলে জানিয়েছেন সাউথগেট। তিনি বলেন, বিগত তিন বা চার বছর ধরে আমরা ধারাবহিকভাবে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছি। আমরা আরো এগিয়ে যেতে চাই।’