ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্বকাপ ফুটবলে ‘ব্যহত’ ঢাবির স্বাভাবিক জীবন!

  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলছে উন্মাদনার আমেজ। সেই আমাজ ছড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও। বড় পর্দায় খেলা দেখানোর আয়োজন আছে এই ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি জায়গায়। কেবল শিক্ষার্থীই নয়; আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সদলবলে বাঁশি-পতাকা নিয়ে খেলা দেখতে আসেন অনেকেই। তবে এই আমেজে সৌন্দর্যের পাশাপাশি আছে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব স্থানে বড় পর্দায় দেখানো হয় যেসব স্থানে, তার আশেপাশের হলগুলোর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, খেলা চলাকালীন ভুভুজেলার শব্দ ও মোটরসাইকেলের হর্ন তাদের পড়ালেখাসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করে। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের লোকজনের সমাগম নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি বলছেন অনেকেই। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা খেলা চলাকালীন ক্যাম্পাসের ভেতরে অধিক যানবাহনের উপস্থিতির বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে একটি, ডাচের পেছনে একটি এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠে একটি করে সর্বমোট তিনটি বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ বড় দলগুলোর খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষ এসে জড় হয় ক্যাম্পাসে। খেলা চলাকালীন এসব জায়গার কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। মোটরসাইকেলের আতিশয্যে হাঁটার জায়গা থাকে না ক্যাম্পাসে। অতিমাত্রায় ভুভুজেলা ও মোটরসাইকেলের হর্ন নিত্য বিষয়। যে অংশগুলোতে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা আছে তার আশেপাশের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয় বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
বড় দলগুলোর খেলা দেখতে সবচেয়ে বেশি মানুষ জড়ো হয় হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ও ভুভুজেলার শব্দের আধিক্য মুহসীন হল ও পার্শ্ববর্তী স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত করছে বলে অভিযোগ করেছেন এই দুই হলের শিক্ষার্থীরা।
মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফাহিনুর অভি বলেন, ‘বহিরাগতরা গ্রুপিং করে খেলা দেখতে আসে।এর মধ্যে অনেক গ্রুপ প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করে। হল মাঠ থেকে আসা প্রচুর ধূলাবালির কারণে হলে অনেকের শ্বাসকষ্ট। রাতে বড় দলের খেলা থাকলে ৪টার আগে ঘুমানো যায় না শব্দে। বিপুল সংখ্যক মানুষ দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে। এছাড়া এখানে পয়ঃনিষ্কানের ব্যবস্থা না থাকায় খোলা মাঠেই মল-মূত্র ত্যাগ করছে বহিরাগতরা। ফলে দুর্গন্ধে মাঠসংলগ্ন কক্ষগুলোতে থাকা যায় না।’ স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুরুল আফসার মুন্না বলেন, ‘বড় দলগুলোর খেলা যেদিন থাকে, সেদিন হলে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এত শব্দ! বাইরে বেরোলেই দেখি মোটরসাইকেলে সয়লাব। ন্যূনতম নিরাপত্তাটুকুও থাকে না।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বকাপ ফুটবলে ‘ব্যহত’ ঢাবির স্বাভাবিক জীবন!

আপডেট সময় : ০৩:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলছে উন্মাদনার আমেজ। সেই আমাজ ছড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও। বড় পর্দায় খেলা দেখানোর আয়োজন আছে এই ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি জায়গায়। কেবল শিক্ষার্থীই নয়; আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সদলবলে বাঁশি-পতাকা নিয়ে খেলা দেখতে আসেন অনেকেই। তবে এই আমেজে সৌন্দর্যের পাশাপাশি আছে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব স্থানে বড় পর্দায় দেখানো হয় যেসব স্থানে, তার আশেপাশের হলগুলোর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, খেলা চলাকালীন ভুভুজেলার শব্দ ও মোটরসাইকেলের হর্ন তাদের পড়ালেখাসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করে। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের লোকজনের সমাগম নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি বলছেন অনেকেই। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা খেলা চলাকালীন ক্যাম্পাসের ভেতরে অধিক যানবাহনের উপস্থিতির বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে একটি, ডাচের পেছনে একটি এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠে একটি করে সর্বমোট তিনটি বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ বড় দলগুলোর খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষ এসে জড় হয় ক্যাম্পাসে। খেলা চলাকালীন এসব জায়গার কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। মোটরসাইকেলের আতিশয্যে হাঁটার জায়গা থাকে না ক্যাম্পাসে। অতিমাত্রায় ভুভুজেলা ও মোটরসাইকেলের হর্ন নিত্য বিষয়। যে অংশগুলোতে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা আছে তার আশেপাশের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয় বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
বড় দলগুলোর খেলা দেখতে সবচেয়ে বেশি মানুষ জড়ো হয় হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ও ভুভুজেলার শব্দের আধিক্য মুহসীন হল ও পার্শ্ববর্তী স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত করছে বলে অভিযোগ করেছেন এই দুই হলের শিক্ষার্থীরা।
মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফাহিনুর অভি বলেন, ‘বহিরাগতরা গ্রুপিং করে খেলা দেখতে আসে।এর মধ্যে অনেক গ্রুপ প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করে। হল মাঠ থেকে আসা প্রচুর ধূলাবালির কারণে হলে অনেকের শ্বাসকষ্ট। রাতে বড় দলের খেলা থাকলে ৪টার আগে ঘুমানো যায় না শব্দে। বিপুল সংখ্যক মানুষ দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে। এছাড়া এখানে পয়ঃনিষ্কানের ব্যবস্থা না থাকায় খোলা মাঠেই মল-মূত্র ত্যাগ করছে বহিরাগতরা। ফলে দুর্গন্ধে মাঠসংলগ্ন কক্ষগুলোতে থাকা যায় না।’ স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুরুল আফসার মুন্না বলেন, ‘বড় দলগুলোর খেলা যেদিন থাকে, সেদিন হলে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এত শব্দ! বাইরে বেরোলেই দেখি মোটরসাইকেলে সয়লাব। ন্যূনতম নিরাপত্তাটুকুও থাকে না।’