ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ট্রামকার্ড মোস্তাফিজ

  • আপডেট সময় : ১০:৫১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : রাজস্থান রয়্যালসের তাঁবু ভাঙছে। একেক দেশ থেকে আসা একেক ক্রিকেটার ছুটে যাচ্ছেন তাদের পরবর্তী গন্তব্যে। হাসিমুখে বিদায় পর্বগুলোতে ঘর ভাঙার বিষাদের সুর। সতীর্থদের ছেড়ে যাওয়ার তীব্র কষ্ট! মোস্তাফিজুর রহমান যখন আবুধাবির হোটেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে ঘিরে জটলা। ‘বিদায় ফিজ।’ ‘ভালো থেকো।’ ‘যোগাযোগ রেখো।’ ‘তুই গিয়ে ফোন দিস।’ৃ এরকম বিদায়সূচক কথায় হাসিমুখে ফিজ বেরিয়ে আসেন। আইপিএলের সফল মিশন শেষে এখন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অপেক্ষায় মোস্তাফিজ। ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আইপিএল দারুণ কেটেছে তার। বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে টুর্নামেন্টে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। বিশ্বকাপের ঠিক আগে তার বোলিংয়ে সেই পুরোনো ধার, চেনা ছন্দ। গতিতে বিষ ও বিভ্রান্তিকর স্লোয়ারে ব্যাটসম্যানরা তাকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন। আইপিএল শুরু হয়েছিল ভারতে। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার পর সংযুক্ত আমিরাতে তা চলে আসে। সেখানেই প্রতিযোগিতার পর্দা নামবে। বাঁহাতি পেসার দ্বিতীয় অর্ধে বল হাতে বাজিমাত করেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের ট্রামকার্ড হবেন এ পেসার। তার ৪ ওভার নিশ্চিতভাবেই প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
আইপিএলে শেষ দুই ম্যাচে একটু খরুচে হলেও পুরো টুর্নামেন্টে তার গড় ও ইকোনমি ছিল দারুণ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পেয়েছেন। ব্রেকথ্রু দরকার হলে তা আদায় করেছেন। ফিল্ডারার আরেকটু সতেজ হলে মোস্তাফিজের নামের পাশে আরো কয়েকটি উইকেট থাকত। ১৪ ম্যাচে তার বোলিং গড় ছিল ৩১.১৪, ইকোনমি ৮.৪১। সেরা বোলিং ছিল ২০ রানে ৩ উইকেট। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে এবার রানের ফোয়ারা ছিল না। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসাররাও ছিলেন দারুণ। মোস্তাফিজ নিঃসন্দেহে ভালো করার তালিকায় থাকবেন। আইপিএল খেলে দুবাইয়ের কন্ডিশন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার। মরুর বুকে ৭ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৬ উইকেট। সব মিলিয়ে ৫২ ম্যাচে ৭৬ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজ বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের নেতা। তার হাতেই পেস আক্রমণের মশাল। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন তিনি। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে পেয়েছিলেন ৯ উইকেট। এবার নিশ্চয়ই প্রত্যাশার ক্যানভাসটা আরো বিশাল বড়। বলার অপেক্ষা রাখে না, মোস্তাফিজ হাসলে হাসবে বাংলাদেশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ট্রামকার্ড মোস্তাফিজ

আপডেট সময় : ১০:৫১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : রাজস্থান রয়্যালসের তাঁবু ভাঙছে। একেক দেশ থেকে আসা একেক ক্রিকেটার ছুটে যাচ্ছেন তাদের পরবর্তী গন্তব্যে। হাসিমুখে বিদায় পর্বগুলোতে ঘর ভাঙার বিষাদের সুর। সতীর্থদের ছেড়ে যাওয়ার তীব্র কষ্ট! মোস্তাফিজুর রহমান যখন আবুধাবির হোটেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে ঘিরে জটলা। ‘বিদায় ফিজ।’ ‘ভালো থেকো।’ ‘যোগাযোগ রেখো।’ ‘তুই গিয়ে ফোন দিস।’ৃ এরকম বিদায়সূচক কথায় হাসিমুখে ফিজ বেরিয়ে আসেন। আইপিএলের সফল মিশন শেষে এখন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অপেক্ষায় মোস্তাফিজ। ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আইপিএল দারুণ কেটেছে তার। বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে টুর্নামেন্টে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। বিশ্বকাপের ঠিক আগে তার বোলিংয়ে সেই পুরোনো ধার, চেনা ছন্দ। গতিতে বিষ ও বিভ্রান্তিকর স্লোয়ারে ব্যাটসম্যানরা তাকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন। আইপিএল শুরু হয়েছিল ভারতে। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার পর সংযুক্ত আমিরাতে তা চলে আসে। সেখানেই প্রতিযোগিতার পর্দা নামবে। বাঁহাতি পেসার দ্বিতীয় অর্ধে বল হাতে বাজিমাত করেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের ট্রামকার্ড হবেন এ পেসার। তার ৪ ওভার নিশ্চিতভাবেই প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
আইপিএলে শেষ দুই ম্যাচে একটু খরুচে হলেও পুরো টুর্নামেন্টে তার গড় ও ইকোনমি ছিল দারুণ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পেয়েছেন। ব্রেকথ্রু দরকার হলে তা আদায় করেছেন। ফিল্ডারার আরেকটু সতেজ হলে মোস্তাফিজের নামের পাশে আরো কয়েকটি উইকেট থাকত। ১৪ ম্যাচে তার বোলিং গড় ছিল ৩১.১৪, ইকোনমি ৮.৪১। সেরা বোলিং ছিল ২০ রানে ৩ উইকেট। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে এবার রানের ফোয়ারা ছিল না। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসাররাও ছিলেন দারুণ। মোস্তাফিজ নিঃসন্দেহে ভালো করার তালিকায় থাকবেন। আইপিএল খেলে দুবাইয়ের কন্ডিশন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার। মরুর বুকে ৭ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৬ উইকেট। সব মিলিয়ে ৫২ ম্যাচে ৭৬ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজ বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের নেতা। তার হাতেই পেস আক্রমণের মশাল। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন তিনি। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে পেয়েছিলেন ৯ উইকেট। এবার নিশ্চয়ই প্রত্যাশার ক্যানভাসটা আরো বিশাল বড়। বলার অপেক্ষা রাখে না, মোস্তাফিজ হাসলে হাসবে বাংলাদেশ।