ক্রীড়া ডেস্ক : ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি- দুই সংস্করণ মিলিয়ে সাত বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদের বর্তমান দলটির সবাই প্রথমবার খেলবেন বৈশ্বিক আসরে। রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে থাকা তাই স্বাভাবিক। সেই অনুভুতি তাদের হচ্ছেও। একই সঙ্গে সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন তাদের ক্রিকেটাররা। আমিরাতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান চিরাগ সুরি যেমন প্রত্যয়ী কণ্ঠে বললেন, অস্ট্রেলিয়া আসরে নিজেদের ছাপ রাখতে চান তারা। ভিক্টোরিয়ার জিলংয়ে রোববার শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়ার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। একই মাঠে দিনের পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে আমিরাত। প্রথম রাউন্ডে এই চার দল আছে ‘এ’ গ্রুপে। আগে একবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে আমিরাত। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সেই আসরে তিন ম্যাচ খেলতে সবগুলোই তারা হেরেছিল। নিজেদের দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবশেষটি তারা খেলেছে ২০১৫ সালে। ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে চিরাগ বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৈশ্বিক আসরে সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চের দোলা অনুভব করছেন তারা। “আমি মনে করি ছেলেরা অস্ট্রেলিয়ায় এসে বেশ রোমাঞ্চিত। ছেলেদের জন্য এটি স্বপ্নের চেয়ে কম কিছু নয়। তারা খুবই রোমাঞ্চিত। কিছুটা স্নায়ু চাপেও ভুগছে। এটি বড় টুর্নামেন্ট। এই ধরনের সুযোগ সবসময় আসে না। আমাদের জন্য অবশ্যই এটি ভালো মঞ্চ এবং আমরা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছি।” “সাত বছরে অবশ্যই অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন অবশেষে আমরা বিশ্বকাপে। ছেলেরা গত কয়েক বছর ধরে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং ভালো পারফরম্যান্স করেছি। এখানে থাকাটা আমাদের প্রাপ্য।”
৫০ ওভারের বিশ্বকাপে মোট ১১ ম্যাচ খেলে আমিরাতের জয় স্রেফ একটি, ১৯৯৬ আসরে সেই জয়টি ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। অতীত ভুলে এবার ২০ ওভারের বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী চিরাগ। “যেটা চলে গেছে, সেটা তো গেছেই। একেবারে নতুন দল এটি। আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছে এমন একজনও এই দলে নেই। তাই আমি মনে করি, ফলাফল পুরোপুরি ভিন্ন হতে পারে।” গত বছর আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়া সুপার টুয়েলভে উঠেছিল। চিরাগের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে নেদারল্যান্ডসের অফ স্পিনার কলিন আকারম্যান বলেন, শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়া বেশি চাপে থাকবে। ২৭ বছর বয়সী চিরাগের মতে, জিততে হলে নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলার কোনো বিকল্প নেই। “আমি মনে করি, যে সব দল এখানে আছে, তারা সবাই ভালো দল। এজন্যই তারা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। সব গ্রুপের সবাই ভালো দল এবং সবার ভালো পারফরমার আছে। তাই মূল বিষয়টা হচ্ছে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। নির্দিষ্ট দিনে যারা আরও ভালো এবং কার্যকর হতে পারবে, স্নায়ু ধরে রাখতে পারবে, তারাই জিতবে।” “আমাদের ভালো একটি দল আছে। বর্তমানে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে আমরা ১২ নম্বরে আছি। এখানে জয়ী হতেই এসেছি আমরা। সেভাবেই আমরা খেলতে চাই।”
বিশ্বকাপে এবার ভিন্ন কিছুর আশায় আমিরাত
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ