ক্রীড়া ডেস্ক : ইতালি জাতীয় দলের অনেকে দানিলোর ক্লাব সতীর্থ। নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচ নিয়ে তাই অনেক আশা ছিল তার। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ইউভেন্তুস সতীর্থদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হয়েছে হতাশা। ইতালির বাছাইয়ের বৈতরণী পেরুতে না পারাটা মেনে নিতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বাছাইয়ে শেষ হয়ে যায় আজ্জুরিদের বিশ্বকাপে ফেরার অভিযান।
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপেও বাছাই পার হতে পারেনি তারা। ইতালিহীন টানা দুটি বিশ্বকাপ নিয়ে হা-হুতাশের অন্ত নেই। গত বছরে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জর্জো কিয়েল্লিনিদের নিয়ে উচ্চাশা ছিল সবার। কিন্তু বাস্তবে উল্টোটা হওয়ার পর ইএসপিএন ব্রাসিলের সঙ্গে আলাপচারিতায় দানিলো জানালেন তার বিস্ময়ের ঘোর না কাটার কথা। “ইতালি বাছাই পেরোতে পারেনি, নিশ্চিতভাবেই এটা একটা বিস্ময় এবং আমি ভাবতে পারিনি এমনটা ঘটবে। এই দলে আমার অনেক ক্লাব সতীর্থ আছে এবং আমি তাদের পক্ষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলাম।” ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে আগামী নভেম্বরে। আসরে কে ফেভারিট, শুরু হয়ে গেছে আলোচনা। দানিলো অবশ্য কাউকে এগিয়ে রাখছেন না। নর্থ মেসিডোনিয়ার চমক আধুনিক ফুটবলের সৌন্দর্য্য বলে মনে করেন ৩০ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। “বিশ্বকাপে আমি কোনো পরিষ্কার ফেভারিট দেখছি না। আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা জিতেছে, ফ্রান্সও আছে। স্পেন ভালো করছে, ইংল্যান্ড দলও জমাট। ফুটবলে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি এবং ঘরানার সবকিছু আছে।” “এটা দেখাচ্ছে যে আধুনিক ফুটবল অননুমেয়। নর্থ মেসিডোনিয়ার শ্রদ্ধা প্রাপ্য। কেননা, তাদের একটা পরিকল্পনা ছিল এবং সেটার সঙ্গেই সেঁটে ছিল তারা।” প্লে-অফের ফাইনালে নর্থ মেসিডোনিকে হারিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল।
বিশ্বকাপে ইতালির না থাকা বিস্ময়কর : দানিলো
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ