ক্রীড়া ডেস্ক : ফরাসি লিগ ওয়ানের এ মৌসুমের শুরুতেই বিধ্বংসী রূপে দেখা দিয়েছে পিএসজি। প্রথম তিন ম্যাচেই ১৭ গোল করেছে তারা। প্যারিসিয়ানদের এমন দুর্দান্ত শুরুর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন নেইমার জুনিয়র। তার দুর্দান্ত ফর্ম ব্রাজিলের জন্যও সুসংবাদ। কারণ দুয়ারে কড়া নাড়ছে কাতার বিশ্বকাপ। লিগে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে যথাক্রমে ক্লেহমোঁ (০-৫), মপেলিয়ের (২-৫) এবং লিলেকে (১-৭) রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি। এই তিন ম্যাচেই ৩-৪-১-২ ফরম্যাটে দল সাজান ফরাসি জায়ান্টদের নতুন কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। আর তাতেই দলটির আক্রমণভাগের বিখ্যাত ‘এমএনএম’ ত্রয়ী জ্বলে ওঠেছেন। এ মৌসুমে লিগে এখন পরযন্ত চার গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিন গোলের পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু বাকি দুই সতীর্থের চেয়েও উজ্জ্বল নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এখন পাঁচ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৬ গোল। অর্থাৎ ১১ গোলে সরাসরি ভূমিকা আছে তার।সর্বশেষ লিলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন নেইমার। সেই সঙ্গে অ্যাসিস্টের হ্যাট্রিক তো আছেই। অমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে ম্যাচ শেষে নেইমারের প্রশংসায় গালতিয়ের বলেন, ‘আক্রমণভাগের তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে ব্যালেন্সড হচ্ছে সে (নেইমার)। সে এমন একজন খেলোয়াড় যার আকাক্সক্ষা প্রবল। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার। এর আগে মৌসুমের শুরুতে ফরাসি সুপার কাপে ৪-০ গোলে জেতা ম্যাচে জোড়া গোল করেন তিনি। ফলে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে চার ম্যাচে নেইমারের মোট গোলসংখ্যা সাতটি। অথচ মৌসুমের শুরুতেও নেইমারের ক্লাব ছাড়া নিয়ে গুঞ্জন শোনা গেছে। তখন তিনি নিজেই বলতে বাধ্য হন, ‘আমি (পিএসজিতেই) থাকতে চাই।’ দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন কোচ গালতিয়েরও তাকে রেখে দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখান। তিনি তখন নেইমারকে ‘বিশ্বমানের খেলোয়াড়’ তকমা দেন। এরপর মাঠেও নেইমারের খেলায় বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। যার ফল পাচ্ছে পিএসজি; এবার আগামী নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল অপেক্ষায় থাকবে নেইমার-ঝলকের।