ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

বিশাল লোকসানের পরও কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এয়ারবিএনবি

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : জাতিসংঘের এক গবেষণা বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে বার্ষিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল আড়াই লাখ, বর্তমানে সেটি ১৪ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের সব দর্শনীয় শহরে গড়ে উঠেছে বিশালকায় হোটেল-রিসোর্ট। হোটেল ব্যবসায় যখন দাম, সেবা, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, তখনই ব্রায়ান চেস্কি ও জো গেবিয়ার মাথায় আসে এক নতুন ‘আইডিয়া’। দুই মার্কিন ব্যবসায়ী ভাবতে শুরু করেন, হোটেল নির্মাণের খরচ, বিনিয়োগ, কর্মীদের বেতন—সবকিছু বাদ দিয়ে কীভাবে ‘হোটেল’ বানানো যায়? তাঁদের এ ধারণাই চিরকালের মতো বদলে দেয় বিশ্বের পর্যটনব্যবস্থাকে।
যেভাবে জন্ম হলো এয়ারবিএনবি ঃ ব্রায়ান চেস্কি ও জো গেবিয়ার গল্পের শুরুটা সংগ্রামের। ২০০৭ সালে সানফ্রান্সিসকো শহর থেকে নিউইয়র্কে গিয়ে তাঁরা দেখলেন, কোনো হোটেলের রুম খালি নেই। হাতে খুব একটা টাকাপয়সা ছিল না বটে। তবে দ্রুতই এই দুই তরুণ তাঁদের দুরবস্থাকে সুযোগ হিসেবে দেখতে শুরু করেন। কতগুলো অস্থায়ী বিছানার ব্যবস্থা করে থাকার জায়গা বানিয়ে ফেলেন অভাগা কিছু পর্যটকের জন্য। প্রতি রাতের জন্য দাম নেন ৮০ ডলার। এখান থেকেই আজকের ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারবিএনবি’র যাত্রা শুরু। পরে আরেক তরুণ নাথান ব্লেচারজকিও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
এয়ারবিএনবির মূল ধারণা হলো বড় কোনো হোটেল নয়, মানুষ তার নিজের বাড়িকেই এয়ারবিএনবির মাধ্যমে ভাড়া দিতে পারবে পর্যটকদের থাকার জায়গা হিসেবে। যাঁদের কিছু অতিরিক্ত আয়ের প্রয়োজন, তাঁরা ঘরে বসেই সহজভাবে উপার্জন করতে পারবেন। আবার বাড়ি থেকে বহু দূরে পর্যটকেরাও পাবেন ঘরোয়া আমেজ। তবে আজকের অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য অনেক চড়াই–উতরাই পেরোতে হয়েছে দুই তরুণ উদ্যোক্তাকে। কোম্পানির ক্রান্তিকালে টাকার অভাবে হোটেল ব্যবসা থেকে সরে গিয়ে খাবারদাবার বেচাকেনায়ও যোগ দেন কয়েক দিনের জন্য। ২০০৯ সাল থেকে তাঁদের পরিকল্পনাটা অবশেষে সাফল্যের চেহারা দেখতে শুরু করে।
এখানেই শেষ নয় ঃ ‘এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি’—সফল মানুষের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত এ বাক্য ব্রায়ান চেস্কির ক্ষেত্রে খাটে না। করোনা মহামারি শুরুর পর হাজার কোটি টাকার পর্যটনশিল্পে ধস নামল রাতারাতি। ১০ বছর ব্যাপক সাফল্যের সঙ্গে কোম্পানি চালানোর পর হঠাৎই প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েন ব্রায়ান। সম্প্রতি একটা পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘নিজেকে হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসে পড়া জাহাজের ক্যাপ্টেন মনে হতো তখন।’ মাত্র আট সপ্তাহে এয়ারবিএনবির আয় ৮০ শতাংশ কমে যায়। এ সময় ব্রায়ান কী ভাবছিলেন? পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘মানুষ সংকটকালকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ভেবে বেশি সময় ধরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাস্তবে এই সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয় দ্রুত। যত দ্রুত পরিবর্তন আসবে, তত দ্রুত সংকট লগ্ন কেটে উঠবে।’
প্রতিষ্ঠান হিসেবে এয়ারবিএনবি আবার আগের অবস্থানে ফিরবে, সেই প্রত্যাশা সবারই ছিল। কিন্তু কবে, কীভাবে জানত না কেউ। তাই প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা সাময়িকভাবে ছোট পরিসরে কার্যক্রম চালিয়ে যান। নতুনভাবে অনেক উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল, যা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চলতে থাকে করোনাকালের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার প্রস্তুতি। কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয় ২৫ শতাংশে। তবে চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা যেন অন্য জায়গায় সহজেই চাকরি পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এয়ারবিএনবি কর্তৃপক্ষ। ব্রায়ান চেস্কি বলেন, ‘ব্যবসায় একটা শব্দ ব্যবহার করা নিষেধ, সেই শব্দটাই আমি আমার কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবহার করেছি—ভালোবাসা। আমি আমার সব কর্মচারীকেই জানাতে চাই যে আমি তাঁদের ভালোবাসি।’
নতুনভাবে অনেক উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল, যা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চলতে থাকে করোনাকালের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার প্রস্তুতি। কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয় ২৫ শতাংশে। তবে চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা যেন অন্য জায়গায় সহজেই চাকরি পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এয়ারবিএনবি কর্তৃপক্ষ।
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এয়ারবিএনবি ডেটা বিশেষজ্ঞরা মানুষের ইন্টারনেট সার্চ থেকে বুঝতে পারেন, ব্যবসা আবার আগের অবস্থায় ফিরছে। যদিও ঘর থেকে বের হওয়াই যেখানে জীবনের ঝুঁকি, সেখানে ঘুরতে যাওয়া ছিল অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা। তবে কাছের মানুষের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনীয়তাটা থেকেই যায়। গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ দূরদূরান্তে বেড়াতে না গেলেও আপনজনের সঙ্গে দেখা করার স্বার্থে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিকই করছে। এই সময়ে প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাপকভাবে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হয়। আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও ‘হোস্ট’দের আলাদাভাবে টাকা দেওয়া হয় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘হোস্টরাই আমাদের প্রাণশক্তি।’
ব্রায়ান বলেন, সাইকেল চালানোর সময় পড়ে যেতে না চাইলে একটাই সমাধান—এগিয়ে যেতে হবে। এয়ারবিএনবির যাত্রাটাও সে রকম। ৮০ শতাংশ ক্ষতি দেখেও তাঁরা হাল ছাড়েননি, যুদ্ধ করে গেছেন।
প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ব্রায়ান চেস্কির বক্তব্যও মনে রাখার মতো। তিনি বলেন, ‘এয়ারবিএনবি আমাদের সন্তানের মতো। ১৩ বছর বয়সের সন্তানকে আমরা সুস্থ সুন্দর প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। সমাজের চাহিদাগুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে হলে প্রতিনিয়তই মানিয়ে নিতে হয়, যেন পরবর্তী প্রজন্ম সামনে একজন পথিকৃৎ পায়।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশাল লোকসানের পরও কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এয়ারবিএনবি

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : জাতিসংঘের এক গবেষণা বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে বার্ষিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল আড়াই লাখ, বর্তমানে সেটি ১৪ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের সব দর্শনীয় শহরে গড়ে উঠেছে বিশালকায় হোটেল-রিসোর্ট। হোটেল ব্যবসায় যখন দাম, সেবা, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, তখনই ব্রায়ান চেস্কি ও জো গেবিয়ার মাথায় আসে এক নতুন ‘আইডিয়া’। দুই মার্কিন ব্যবসায়ী ভাবতে শুরু করেন, হোটেল নির্মাণের খরচ, বিনিয়োগ, কর্মীদের বেতন—সবকিছু বাদ দিয়ে কীভাবে ‘হোটেল’ বানানো যায়? তাঁদের এ ধারণাই চিরকালের মতো বদলে দেয় বিশ্বের পর্যটনব্যবস্থাকে।
যেভাবে জন্ম হলো এয়ারবিএনবি ঃ ব্রায়ান চেস্কি ও জো গেবিয়ার গল্পের শুরুটা সংগ্রামের। ২০০৭ সালে সানফ্রান্সিসকো শহর থেকে নিউইয়র্কে গিয়ে তাঁরা দেখলেন, কোনো হোটেলের রুম খালি নেই। হাতে খুব একটা টাকাপয়সা ছিল না বটে। তবে দ্রুতই এই দুই তরুণ তাঁদের দুরবস্থাকে সুযোগ হিসেবে দেখতে শুরু করেন। কতগুলো অস্থায়ী বিছানার ব্যবস্থা করে থাকার জায়গা বানিয়ে ফেলেন অভাগা কিছু পর্যটকের জন্য। প্রতি রাতের জন্য দাম নেন ৮০ ডলার। এখান থেকেই আজকের ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারবিএনবি’র যাত্রা শুরু। পরে আরেক তরুণ নাথান ব্লেচারজকিও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
এয়ারবিএনবির মূল ধারণা হলো বড় কোনো হোটেল নয়, মানুষ তার নিজের বাড়িকেই এয়ারবিএনবির মাধ্যমে ভাড়া দিতে পারবে পর্যটকদের থাকার জায়গা হিসেবে। যাঁদের কিছু অতিরিক্ত আয়ের প্রয়োজন, তাঁরা ঘরে বসেই সহজভাবে উপার্জন করতে পারবেন। আবার বাড়ি থেকে বহু দূরে পর্যটকেরাও পাবেন ঘরোয়া আমেজ। তবে আজকের অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য অনেক চড়াই–উতরাই পেরোতে হয়েছে দুই তরুণ উদ্যোক্তাকে। কোম্পানির ক্রান্তিকালে টাকার অভাবে হোটেল ব্যবসা থেকে সরে গিয়ে খাবারদাবার বেচাকেনায়ও যোগ দেন কয়েক দিনের জন্য। ২০০৯ সাল থেকে তাঁদের পরিকল্পনাটা অবশেষে সাফল্যের চেহারা দেখতে শুরু করে।
এখানেই শেষ নয় ঃ ‘এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি’—সফল মানুষের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত এ বাক্য ব্রায়ান চেস্কির ক্ষেত্রে খাটে না। করোনা মহামারি শুরুর পর হাজার কোটি টাকার পর্যটনশিল্পে ধস নামল রাতারাতি। ১০ বছর ব্যাপক সাফল্যের সঙ্গে কোম্পানি চালানোর পর হঠাৎই প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েন ব্রায়ান। সম্প্রতি একটা পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘নিজেকে হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসে পড়া জাহাজের ক্যাপ্টেন মনে হতো তখন।’ মাত্র আট সপ্তাহে এয়ারবিএনবির আয় ৮০ শতাংশ কমে যায়। এ সময় ব্রায়ান কী ভাবছিলেন? পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘মানুষ সংকটকালকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ভেবে বেশি সময় ধরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাস্তবে এই সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয় দ্রুত। যত দ্রুত পরিবর্তন আসবে, তত দ্রুত সংকট লগ্ন কেটে উঠবে।’
প্রতিষ্ঠান হিসেবে এয়ারবিএনবি আবার আগের অবস্থানে ফিরবে, সেই প্রত্যাশা সবারই ছিল। কিন্তু কবে, কীভাবে জানত না কেউ। তাই প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা সাময়িকভাবে ছোট পরিসরে কার্যক্রম চালিয়ে যান। নতুনভাবে অনেক উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল, যা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চলতে থাকে করোনাকালের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার প্রস্তুতি। কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয় ২৫ শতাংশে। তবে চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা যেন অন্য জায়গায় সহজেই চাকরি পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এয়ারবিএনবি কর্তৃপক্ষ। ব্রায়ান চেস্কি বলেন, ‘ব্যবসায় একটা শব্দ ব্যবহার করা নিষেধ, সেই শব্দটাই আমি আমার কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবহার করেছি—ভালোবাসা। আমি আমার সব কর্মচারীকেই জানাতে চাই যে আমি তাঁদের ভালোবাসি।’
নতুনভাবে অনেক উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল, যা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চলতে থাকে করোনাকালের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার প্রস্তুতি। কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয় ২৫ শতাংশে। তবে চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা যেন অন্য জায়গায় সহজেই চাকরি পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এয়ারবিএনবি কর্তৃপক্ষ।
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এয়ারবিএনবি ডেটা বিশেষজ্ঞরা মানুষের ইন্টারনেট সার্চ থেকে বুঝতে পারেন, ব্যবসা আবার আগের অবস্থায় ফিরছে। যদিও ঘর থেকে বের হওয়াই যেখানে জীবনের ঝুঁকি, সেখানে ঘুরতে যাওয়া ছিল অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা। তবে কাছের মানুষের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনীয়তাটা থেকেই যায়। গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ দূরদূরান্তে বেড়াতে না গেলেও আপনজনের সঙ্গে দেখা করার স্বার্থে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিকই করছে। এই সময়ে প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাপকভাবে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হয়। আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও ‘হোস্ট’দের আলাদাভাবে টাকা দেওয়া হয় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘হোস্টরাই আমাদের প্রাণশক্তি।’
ব্রায়ান বলেন, সাইকেল চালানোর সময় পড়ে যেতে না চাইলে একটাই সমাধান—এগিয়ে যেতে হবে। এয়ারবিএনবির যাত্রাটাও সে রকম। ৮০ শতাংশ ক্ষতি দেখেও তাঁরা হাল ছাড়েননি, যুদ্ধ করে গেছেন।
প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ব্রায়ান চেস্কির বক্তব্যও মনে রাখার মতো। তিনি বলেন, ‘এয়ারবিএনবি আমাদের সন্তানের মতো। ১৩ বছর বয়সের সন্তানকে আমরা সুস্থ সুন্দর প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। সমাজের চাহিদাগুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে হলে প্রতিনিয়তই মানিয়ে নিতে হয়, যেন পরবর্তী প্রজন্ম সামনে একজন পথিকৃৎ পায়।’