ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

বিল গেটস-মেলিন্ডার ডিভোর্সের আসল রহস্য ফাঁস!

  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিল গেটস-মেলিন্ডা ২৭ বছর ঘর করার পর হঠাৎ বিচ্ছেদের ঘোষণায় অবাক করেছে বিশ্ববাসীকে। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এর ডিভোর্স নিয়ে এবার প্রকাশ্যে এল কিছু বিস্ফোরক তথ্য৷ কাজের জায়গার বাইরেও বেশ কিছু ‘সম্পর্ক’ ছিল বলেই উঠে এসেছে বেশ কিছু প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিল গেটসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা তার পরিচিত মহলে প্রায় অনেকেই জানত। তাই তাদের কাছে এটি কোনও সিক্রেট ছিল না। এমনকি এও জানা গিয়েছে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতার বন্ধু মহলের মধ্যে থেকেই প্রাইভেট গোয়েন্দা লাগিয়ে তা বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বাইরে সম্পর্কের কারণে দুজন কেউ কাউকে সময় দিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। বছর দুয়েক আগে মেলিন্ডা বলেছিলেন, তাদের বিয়েটা বেশ কঠিন পর্যায়ে ঠেকেছে। যদিও গেটস-এর তরফে বলা হয়, “বিল কিংবা মেলিন্ডা কেউই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর ভাড়া করেননি”৷ ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এই তথ্য নিয়ে বিল গেটস এর মুখপাত্র জানান, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে এই ঘটনা নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে।”
মুখপাত্র এও বলেন, “গুজব এবং জল্পনাগুলো একেবারেই অযৌক্তিক। দুর্ভাগ্যজনক এটাই যে পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব কম জ্ঞান রয়েছে, এমন লোকদের সূত্র হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। “
যদিও মাইক্রোসফটের প্রাক্তন কর্মীদের অনেকেই জানিয়েছেন যে গাড়ি নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও ধোঁকা দিতেন ধনকুবের৷ একাধিক গাড়ি ব্যবহার করে সেই কাজ করতেন তিনি। এই দম্পতি ২০০০ সালে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন, যেটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী দারিদ্রমোচন, রোগ প্রতিরোধ এবং অসাম্য দূরীকরণ। এই সংস্থা কোন মুনাফা অর্জন করে না। এক কর্মী জানিয়েছেন, “আমরা সকলেই জানি এসব কাজ তিনি তখনই করতেন যখন উনি কোনও মহিলার সঙ্গে থাকতেন। এমন অনেক মিটিং থাকত যেগুলো তার বৈঠক তলিকায় থাকত না।” যদিও এসব যুক্তির পিছনে বিল গেটস জানিয়েছিলেন, ‘তিনি পৃথিবীর সেই ব্যক্তি যিনি সময়ের শক্ত শিডিউলে থেকে কাজ করতেন।”
উল্লেখ্য, বিল গেটস মাাইক্রোসফট কোম্পানি সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য সফটওয়্যার তৈরির ব্যবসা থেকেই তিনি বিপুল আর্থিক সম্পদের মালিক হন। ২০০৮ সালে তিনি এই প্রযুক্তি কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অবসর গ্রহণ করেন। মেলিন্ডা যখন ১৯৮০র দশকে মাইক্রোসফট কোম্পানিতে যোগ দেন তখন দুজনের প্রথম পরিচয়। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, বিল গেটস এ মুহূর্তে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি এবং তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৪ বিলিয়ন ডলার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

বিল গেটস-মেলিন্ডার ডিভোর্সের আসল রহস্য ফাঁস!

আপডেট সময় : ১২:৪৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিল গেটস-মেলিন্ডা ২৭ বছর ঘর করার পর হঠাৎ বিচ্ছেদের ঘোষণায় অবাক করেছে বিশ্ববাসীকে। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এর ডিভোর্স নিয়ে এবার প্রকাশ্যে এল কিছু বিস্ফোরক তথ্য৷ কাজের জায়গার বাইরেও বেশ কিছু ‘সম্পর্ক’ ছিল বলেই উঠে এসেছে বেশ কিছু প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিল গেটসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা তার পরিচিত মহলে প্রায় অনেকেই জানত। তাই তাদের কাছে এটি কোনও সিক্রেট ছিল না। এমনকি এও জানা গিয়েছে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতার বন্ধু মহলের মধ্যে থেকেই প্রাইভেট গোয়েন্দা লাগিয়ে তা বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বাইরে সম্পর্কের কারণে দুজন কেউ কাউকে সময় দিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। বছর দুয়েক আগে মেলিন্ডা বলেছিলেন, তাদের বিয়েটা বেশ কঠিন পর্যায়ে ঠেকেছে। যদিও গেটস-এর তরফে বলা হয়, “বিল কিংবা মেলিন্ডা কেউই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর ভাড়া করেননি”৷ ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এই তথ্য নিয়ে বিল গেটস এর মুখপাত্র জানান, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে এই ঘটনা নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে।”
মুখপাত্র এও বলেন, “গুজব এবং জল্পনাগুলো একেবারেই অযৌক্তিক। দুর্ভাগ্যজনক এটাই যে পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব কম জ্ঞান রয়েছে, এমন লোকদের সূত্র হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। “
যদিও মাইক্রোসফটের প্রাক্তন কর্মীদের অনেকেই জানিয়েছেন যে গাড়ি নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও ধোঁকা দিতেন ধনকুবের৷ একাধিক গাড়ি ব্যবহার করে সেই কাজ করতেন তিনি। এই দম্পতি ২০০০ সালে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন, যেটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী দারিদ্রমোচন, রোগ প্রতিরোধ এবং অসাম্য দূরীকরণ। এই সংস্থা কোন মুনাফা অর্জন করে না। এক কর্মী জানিয়েছেন, “আমরা সকলেই জানি এসব কাজ তিনি তখনই করতেন যখন উনি কোনও মহিলার সঙ্গে থাকতেন। এমন অনেক মিটিং থাকত যেগুলো তার বৈঠক তলিকায় থাকত না।” যদিও এসব যুক্তির পিছনে বিল গেটস জানিয়েছিলেন, ‘তিনি পৃথিবীর সেই ব্যক্তি যিনি সময়ের শক্ত শিডিউলে থেকে কাজ করতেন।”
উল্লেখ্য, বিল গেটস মাাইক্রোসফট কোম্পানি সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য সফটওয়্যার তৈরির ব্যবসা থেকেই তিনি বিপুল আর্থিক সম্পদের মালিক হন। ২০০৮ সালে তিনি এই প্রযুক্তি কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অবসর গ্রহণ করেন। মেলিন্ডা যখন ১৯৮০র দশকে মাইক্রোসফট কোম্পানিতে যোগ দেন তখন দুজনের প্রথম পরিচয়। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, বিল গেটস এ মুহূর্তে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি এবং তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৪ বিলিয়ন ডলার।