ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

বিরামপুরের রাস্তায় শতাধিক মরাগাছ, আতঙ্কে পথচারী

  • আপডেট সময় : ১০:৩০:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি: ব্যস্ততম পাকাসড়কে পথচারীদের মাথার ওপরে শতাধিক মরাগাছের ছড়ানো ডালপালা। সড়কের দুপাশে অন্তঃসারশুন্য কঙ্কালের দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এসব মরাগাছ। গাছগুলোর নিচ দিয়েই রাতবিরাতে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারী। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের যাত্রীসহ হাজারো মানুষ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। কিন্তু এসব দেখেও না দেখার ভান করে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের নিচ দিয়ে বিভিন্ন অভিযানে যান উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের কর্মকর্তাগণ। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিরামপুর-কাটলা পাকাসড়কের দুপাশে রয়েছে শতাধিক মরাগাছ, আতঙ্কে পথচারীসহ সবাই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুপাশে ছোটবড় শতাধিক রেইন-ট্রি, শিশু, কড়ই ও ইউক্যালিপটাস গাছ মরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কোনো গাছের মরা ডাল সড়কের ওপরে মাঝখানে হেলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। কাটলা ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের বাড়ির সামনে রয়েছে তার রাইস মিল। আর মিলের গা ঘেঁষে দুটি বড় রেইন-ট্রি গাছ দীর্ঘদিন ধরে মরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিন সেখানে ধান ভাঙতে আসেন অনেক মানুষ। তারাও থাকেন অনেক ঝুঁকিতে। এ বিষয়ে কামরুজ্জামান বলেন, আমার বাড়ির দরজার সামনে রাস্তায় দুটি সরকারি রেইন-ট্রি গাছ গত দুইবছর ধরে মরে আছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে গাছ দুটি কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম, কোনো কাজই হচ্ছে না। যখন জোরে বাতাস ওঠে তখন সবাই আতঙ্কে থাকি, এই বুঝি মাথার ওপর মরাগাছ ভেঙে পড়ল।
নিয়মিত যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসা করেন ইজিবাইক চালক মো. দবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি এই পথে মরা গাছের নিচ দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসা করতে অনেক আতঙ্কে থাকি। নিয়মিত যাওয়া-আসা করি। এই বর্ষায় একটু জোরে বাতাস উঠলেই ভয়ে বুক কেঁপে ওঠে না জানি কখন গাছ ভেঙে পড়ে। আমার গাড়ির ওপর মরা গাছ ভেঙে পড়লে গাড়িসহ যাত্রীর বড় ধরনের ক্ষতি হবে। মুকুন্দপুর বাজারের ওষুধের দোকানদার মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, এই বাজারের আনারুল মেম্বারের দোকানের সামনে কৃষ্ণচূড়ার অনেক মোটা একটি গাছ কয়েক বছর ধরে মরে আছে। গাছটির পাশে পল্লীবিদ্যুতের অনেকগুলো লাইন রয়েছে। ঝড়ে গাছটি পড়ে গেলে ৬ থেকে ৭টি দোকানের অনেক ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে কথা হলে বনবিভাগের চরকাই (বিরামপুর) রেঞ্জ কর্মকতা নিশিকান্ত মালাকার বলেন, ফরেস্টি সেক্টর প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৫ সালে এ গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। এরমধ্যে কিছু গাছ মরে গেছে। মরা গাছগুলো কাটার বিষয়ে আমার দপ্তরের একক সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা যদি মরা গাছগুলো কাটার ব্যাপারে বনবিভাগের নিকট আবেদন করেন তাহলে আগামীতে উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বনবিভাগের জেলা দপ্তরকে জানানো হবে। সেখান থেকে অনুমতি পাওয়া গেলে গাছগুলো কাটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিরামপুরের রাস্তায় শতাধিক মরাগাছ, আতঙ্কে পথচারী

আপডেট সময় : ১০:৩০:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দিনাজপুর প্রতিনিধি: ব্যস্ততম পাকাসড়কে পথচারীদের মাথার ওপরে শতাধিক মরাগাছের ছড়ানো ডালপালা। সড়কের দুপাশে অন্তঃসারশুন্য কঙ্কালের দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এসব মরাগাছ। গাছগুলোর নিচ দিয়েই রাতবিরাতে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারী। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের যাত্রীসহ হাজারো মানুষ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। কিন্তু এসব দেখেও না দেখার ভান করে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের নিচ দিয়ে বিভিন্ন অভিযানে যান উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের কর্মকর্তাগণ। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিরামপুর-কাটলা পাকাসড়কের দুপাশে রয়েছে শতাধিক মরাগাছ, আতঙ্কে পথচারীসহ সবাই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুপাশে ছোটবড় শতাধিক রেইন-ট্রি, শিশু, কড়ই ও ইউক্যালিপটাস গাছ মরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কোনো গাছের মরা ডাল সড়কের ওপরে মাঝখানে হেলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। কাটলা ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের বাড়ির সামনে রয়েছে তার রাইস মিল। আর মিলের গা ঘেঁষে দুটি বড় রেইন-ট্রি গাছ দীর্ঘদিন ধরে মরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিন সেখানে ধান ভাঙতে আসেন অনেক মানুষ। তারাও থাকেন অনেক ঝুঁকিতে। এ বিষয়ে কামরুজ্জামান বলেন, আমার বাড়ির দরজার সামনে রাস্তায় দুটি সরকারি রেইন-ট্রি গাছ গত দুইবছর ধরে মরে আছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে গাছ দুটি কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম, কোনো কাজই হচ্ছে না। যখন জোরে বাতাস ওঠে তখন সবাই আতঙ্কে থাকি, এই বুঝি মাথার ওপর মরাগাছ ভেঙে পড়ল।
নিয়মিত যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসা করেন ইজিবাইক চালক মো. দবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি এই পথে মরা গাছের নিচ দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসা করতে অনেক আতঙ্কে থাকি। নিয়মিত যাওয়া-আসা করি। এই বর্ষায় একটু জোরে বাতাস উঠলেই ভয়ে বুক কেঁপে ওঠে না জানি কখন গাছ ভেঙে পড়ে। আমার গাড়ির ওপর মরা গাছ ভেঙে পড়লে গাড়িসহ যাত্রীর বড় ধরনের ক্ষতি হবে। মুকুন্দপুর বাজারের ওষুধের দোকানদার মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, এই বাজারের আনারুল মেম্বারের দোকানের সামনে কৃষ্ণচূড়ার অনেক মোটা একটি গাছ কয়েক বছর ধরে মরে আছে। গাছটির পাশে পল্লীবিদ্যুতের অনেকগুলো লাইন রয়েছে। ঝড়ে গাছটি পড়ে গেলে ৬ থেকে ৭টি দোকানের অনেক ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে কথা হলে বনবিভাগের চরকাই (বিরামপুর) রেঞ্জ কর্মকতা নিশিকান্ত মালাকার বলেন, ফরেস্টি সেক্টর প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৫ সালে এ গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। এরমধ্যে কিছু গাছ মরে গেছে। মরা গাছগুলো কাটার বিষয়ে আমার দপ্তরের একক সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা যদি মরা গাছগুলো কাটার ব্যাপারে বনবিভাগের নিকট আবেদন করেন তাহলে আগামীতে উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বনবিভাগের জেলা দপ্তরকে জানানো হবে। সেখান থেকে অনুমতি পাওয়া গেলে গাছগুলো কাটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।