ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

বিরলদর্শন মহাজাগতিক বস্তুর সন্ধান!

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : একই অঙ্গে দুই রূপ! অদ্ভুতদর্শন এক বস্তুর সন্ধান মিললো মহাজগতে। যে মহাজাগতিক বস্তুটি একটি গ্রহাণু। আবার একটি ধূমকেতুওবটে!
সৌরম-লের যে মুলুকে পাথুরে বস্তু ছাড়া বরফের মতো আর কিছু থাকা সম্ভব নয়, মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে থাকা সেই গ্রহাণুপুঞ্জ, এই সেই বিরলদর্শন মহাজাগতিক বস্তুটির হদিশ মিলল এই প্রথম।
যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোড়িত বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহল। আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি পড়া হয়েছে সোমবার ‘আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (এএএস)’-র ‘ডিভিশন ফর প্ল্যানেটারি সায়েন্সেস’-এর ৫৩ তম বার্ষিক বৈঠকে। প্রকাশের জন্য গবেষণাপত্রটি গৃহীত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই বিরলদর্শন মহাজাগতিক বস্তুটির নাম দিয়েছেন- ‘(২৪৮৩৭০) ২০০৫ ছঘ১৭৩’। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন সূর্যের তাপে মূলত এই পাথুরে বস্তুটিকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখা বরফ গলতে শুরু করেছে। আর সূর্যের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে সেই গলে যাওয়া বরফ বস্তুটি থেকে বেরিয়ে এসে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তার ফলে মহাকাশের এই বিরল মহাজাগতিক বস্তুটির একটি লম্বা লেজও গজিয়েছে। ধূমকেতুর মতো। এমনকি, ধূমকেতুর মাথার মতো বরফে মোড়া তার একটি মাথাও (কোমা) তৈরি হয়েছে সূর্যের তাপে আর অভিকর্ষ বলের টানে।
এ বছরের জুলাইয়ে সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসার সময়েই এই বিরলদর্শন মহাজাগতিক বস্তুটি নজরে আসে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। এটি প্রথম ধরা পড়ে ‘অ্যাটলাস’ টেলিস্কোপে। গত ৭ জুলাই। পরে লাওয়েল ডিসকভারি টেলিস্কোপেও তার হদিশ মেলে। তখনই এর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বিরলদর্শন মহাজাগতিক বস্তুর সন্ধান!

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : একই অঙ্গে দুই রূপ! অদ্ভুতদর্শন এক বস্তুর সন্ধান মিললো মহাজগতে। যে মহাজাগতিক বস্তুটি একটি গ্রহাণু। আবার একটি ধূমকেতুওবটে!
সৌরম-লের যে মুলুকে পাথুরে বস্তু ছাড়া বরফের মতো আর কিছু থাকা সম্ভব নয়, মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে থাকা সেই গ্রহাণুপুঞ্জ, এই সেই বিরলদর্শন মহাজাগতিক বস্তুটির হদিশ মিলল এই প্রথম।
যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোড়িত বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহল। আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি পড়া হয়েছে সোমবার ‘আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (এএএস)’-র ‘ডিভিশন ফর প্ল্যানেটারি সায়েন্সেস’-এর ৫৩ তম বার্ষিক বৈঠকে। প্রকাশের জন্য গবেষণাপত্রটি গৃহীত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই বিরলদর্শন মহাজাগতিক বস্তুটির নাম দিয়েছেন- ‘(২৪৮৩৭০) ২০০৫ ছঘ১৭৩’। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন সূর্যের তাপে মূলত এই পাথুরে বস্তুটিকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখা বরফ গলতে শুরু করেছে। আর সূর্যের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে সেই গলে যাওয়া বরফ বস্তুটি থেকে বেরিয়ে এসে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তার ফলে মহাকাশের এই বিরল মহাজাগতিক বস্তুটির একটি লম্বা লেজও গজিয়েছে। ধূমকেতুর মতো। এমনকি, ধূমকেতুর মাথার মতো বরফে মোড়া তার একটি মাথাও (কোমা) তৈরি হয়েছে সূর্যের তাপে আর অভিকর্ষ বলের টানে।
এ বছরের জুলাইয়ে সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসার সময়েই এই বিরলদর্শন মহাজাগতিক বস্তুটি নজরে আসে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। এটি প্রথম ধরা পড়ে ‘অ্যাটলাস’ টেলিস্কোপে। গত ৭ জুলাই। পরে লাওয়েল ডিসকভারি টেলিস্কোপেও তার হদিশ মেলে। তখনই এর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।