ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ।

  • আপডেট সময় : ১২:১২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

বরগুনা সংবাদদাতা : বিয়ের কথা বলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ওই ছাত্রীর বাবা। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার ডিবি প্রধানকে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান। জানা যায়, স্কুলছাত্রী এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন দুলালের ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য বল প্রয়োগ করে। স্কুলছাত্রীর বাবা তার নাবালক মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি নয়। তারপরও মনোয়ার জোর করে বিয়ে করার হুমকি দিয়ে আসছে। ২৯ জুলাই বাদীর মেয়ে তার বড় বোনের বাড়ি বরগুনা সদরে শিয়ালিয়া গ্রামে বেড়াতে যায়। আসামি মনোয়ার জানতে পেরে রাত ১২টায় স্কুলছাত্রীকে ফোন দিয়ে দেখা করতে চায়। মনোয়ারের অনুরোধে বাদীর মেয়ে দেখা করতে রাজি হয়। রাত ১টার দিকে বাদীর মেয়ে দরজা খুলে দেয়। এ সময় আসামি মনোয়ার ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। স্কুলছাত্রী রাজি না হলে মনোয়ার তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে মনোয়ারকে আটক করে বড় বোন ও ভগিনীপতি। স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, মনোয়ারকে আটক করার পরে তার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন দুলাল, মা মোসা. নাজমা বেগম ও বড় ভাই মো. শাহারিয়া বিশ্বাস ঘটনাস্থলে এসে স্কুলছাত্রীকে মনোয়ার বিয়ে করবে এমন আশ্বাসে নিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও মনোয়ার ও তার পরিবার আমার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি। আমি যোগাযোগ করলে তারা আমার মেয়েকে নিতে রাজি নয়। এ কারণে আমি মনোয়ারকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি ২৫ আগস্ট বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এ ব্যাপাওে মনোয়ার হোসেনের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বরগুনা থানার ওসি মো. দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ।

আপডেট সময় : ১২:১২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

বরগুনা সংবাদদাতা : বিয়ের কথা বলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ওই ছাত্রীর বাবা। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার ডিবি প্রধানকে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান। জানা যায়, স্কুলছাত্রী এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন দুলালের ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য বল প্রয়োগ করে। স্কুলছাত্রীর বাবা তার নাবালক মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি নয়। তারপরও মনোয়ার জোর করে বিয়ে করার হুমকি দিয়ে আসছে। ২৯ জুলাই বাদীর মেয়ে তার বড় বোনের বাড়ি বরগুনা সদরে শিয়ালিয়া গ্রামে বেড়াতে যায়। আসামি মনোয়ার জানতে পেরে রাত ১২টায় স্কুলছাত্রীকে ফোন দিয়ে দেখা করতে চায়। মনোয়ারের অনুরোধে বাদীর মেয়ে দেখা করতে রাজি হয়। রাত ১টার দিকে বাদীর মেয়ে দরজা খুলে দেয়। এ সময় আসামি মনোয়ার ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। স্কুলছাত্রী রাজি না হলে মনোয়ার তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে মনোয়ারকে আটক করে বড় বোন ও ভগিনীপতি। স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, মনোয়ারকে আটক করার পরে তার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন দুলাল, মা মোসা. নাজমা বেগম ও বড় ভাই মো. শাহারিয়া বিশ্বাস ঘটনাস্থলে এসে স্কুলছাত্রীকে মনোয়ার বিয়ে করবে এমন আশ্বাসে নিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও মনোয়ার ও তার পরিবার আমার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি। আমি যোগাযোগ করলে তারা আমার মেয়েকে নিতে রাজি নয়। এ কারণে আমি মনোয়ারকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি ২৫ আগস্ট বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এ ব্যাপাওে মনোয়ার হোসেনের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বরগুনা থানার ওসি মো. দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।