ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বিয়ের অনুষ্ঠানে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী, পুকুরে ভাসল মরদেহ

  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সংবাদদাতা : পাশের বাড়িতে রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া গ্রামের একটি পুকুরে মরদেহটি পায় পুলিশ। মরদেহটি স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ সরদারের ১০ বছরের শিশু সন্তান তাসলিমা আক্তার মাহির। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে একই গ্রামের হেলাল সরদারের স্ত্রী কাজল আক্তার তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে মাহির মরদেহ ভাসতে দেখেন। পরে খবরটি ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। মাহির বাবা সবুজ সরদার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের কিশোর সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে যায় মাহি। আর সেখানে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজ মাহির সন্ধান না পেয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

এরপর আজ মঙ্গলবার প্রতিবেশী হেলাল সরদারের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মাহির মরদেহ পাওয়া যায়। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, পাশবিক নির্যাতনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে শিশু তাসলিমা আক্তার মাহিকে হত্যার পর মরদেহ পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হতে পারে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিয়া জানান, শিশুটির মা নেই। বাবা দিনমজুরি করেন। তাই সে একা একা গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। গত ১৪ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে একটি বিয়ে বাড়িতে যায়। নিখোঁজ হলে ১৬ ডিসেম্বর তার বাবা থানায় জিডি করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে গ্রামের হেলাল সরদারের স্ত্রী কাজল আক্তার তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে তারা গিয়ে মরদেহ তুলে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। ওসি বলেন, শিশুটির মরদেহে পচন ধরেছে। তবে জিহ্বা ও একটি চোখ বের হয়ে গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। মরদেহে পচন ধরায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

বিয়ের অনুষ্ঠানে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী, পুকুরে ভাসল মরদেহ

আপডেট সময় : ০৬:২৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশাল সংবাদদাতা : পাশের বাড়িতে রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া গ্রামের একটি পুকুরে মরদেহটি পায় পুলিশ। মরদেহটি স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ সরদারের ১০ বছরের শিশু সন্তান তাসলিমা আক্তার মাহির। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে একই গ্রামের হেলাল সরদারের স্ত্রী কাজল আক্তার তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে মাহির মরদেহ ভাসতে দেখেন। পরে খবরটি ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। মাহির বাবা সবুজ সরদার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের কিশোর সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে যায় মাহি। আর সেখানে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজ মাহির সন্ধান না পেয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

এরপর আজ মঙ্গলবার প্রতিবেশী হেলাল সরদারের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মাহির মরদেহ পাওয়া যায়। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, পাশবিক নির্যাতনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে শিশু তাসলিমা আক্তার মাহিকে হত্যার পর মরদেহ পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হতে পারে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিয়া জানান, শিশুটির মা নেই। বাবা দিনমজুরি করেন। তাই সে একা একা গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। গত ১৪ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে একটি বিয়ে বাড়িতে যায়। নিখোঁজ হলে ১৬ ডিসেম্বর তার বাবা থানায় জিডি করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে গ্রামের হেলাল সরদারের স্ত্রী কাজল আক্তার তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে তারা গিয়ে মরদেহ তুলে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। ওসি বলেন, শিশুটির মরদেহে পচন ধরেছে। তবে জিহ্বা ও একটি চোখ বের হয়ে গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। মরদেহে পচন ধরায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।