ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বিমা পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে ডিপ্লোমা

  • আপডেট সময় : ০৯:০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ফরহাদ হোসেন : পরিসংখান অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি দুটি বিমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশন, জীবন বিমা করপোরেশনসহ বেসরকারি খাত মোট ৮১টি বিমা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে ছয় লক্ষাধিক কর্মী নিয়োজিত। প্রতি বছর এ খাতে প্রচুর দক্ষ লোকবলের প্রয়োজন হয়।
বিমাশিল্পে খুব সহজেই চাকরির সুযোগ পেতে এবং পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে অ্যাসোসিয়েটশিপ অফ বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি (এবিআইএ) ডিপ্লোমা করতে পারেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই ডিপ্লোমাটি দেয় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি (বিআইএ)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ ডিপ্লোমা অর্জনকারীদের চাহিদা এ শিল্পে ক্রমেই বাড়ছে। অ্যাকাডেমির পরিচালক এস এম ইব্রাহিম হোসাইনের সঙ্গে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন ফরহাদ হোসেন।
বিমা পেশায় কেন এ ডিপ্লোমা
পরিসংখান অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি দুটি বিমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশন, জীবন বিমা করপোরেশনসহ বেসরকারি খাত মোট ৮১টি বিমা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে ছয় লক্ষাধিক কর্মী নিয়োজিত। প্রতি বছর এ খাতে প্রচুর দক্ষ লোকবলের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে মার্কেটিং এবং অফিশিয়াল- দুই ক্ষেত্রেই দক্ষ লোকবল চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। ডিপ্লোমাটিতে এমনভাবে শিক্ষা কারিকুলাম সাজানো হয়েছে, যাতে বিমাশিল্পের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তব কাজে প্রয়োগ করা যায়। এতে প্রতিষ্ঠান দক্ষ লোকবল পায়, বৃদ্ধি পায় প্রডাক্টটিভিটি। কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এসব কারণেই বিআইএর ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগে প্রাধান্য দেয়।
লক্ষ্য যাদের বিমাশিল্পে ক্যারিয়ার গড়ার
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ব্যবসা শাখায় বিমা বিষয়ে পড়ানো হয়। অনেকে তখনই ঠিক করেন এ বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার। আবার অনেকে এ পেশার ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ জেনেও আসেন। তবে যারা এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য এ ডিপ্লোমা খুবই কাজে দেবে। নতুন বা ফ্রেসারদের বেলায় যেমন এ ডিপ্লোমা চাকরি পেতে সহায়তা করবে, তেমনি যারা এ পেশায় বিভিন্ন লেভেলে কর্মরত অথচ অনেকের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তাদেরও কাজের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে। নিজ কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতিতেও এ ডিপ্লোমাটি বেশ কাজে দেবে।
ভর্তি প্রক্রিয়াও খুব সহজ
এবিআইএ ঢাকার মহাখালীতে নিজস্ব ভবনে ভর্তি, ক্লাস, পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। ডিপ্লোমা কোর্সটিতে ভর্তি হতে চাইলে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক বা সমমান পাস হতে হবে। বছরে মে ও অক্টোবর সেশনে ভর্তি নেয়া হয়।
মে সেশনে এবার ভর্তির শেষ তারিখ ১৯ জুন। এতে ভর্তি ও পরীক্ষার ফি একসঙ্গে নেয়া হয়। ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ দিতে হবে ৬০০ টাকা। রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ ন্যূনতম এক বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর।
ডিপ্লোমাটিতে মোট ১০টি বিষয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। প্রতি বিষয়ে কাউন্সিলিং ফি ৪৫০ টাকা এবং প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে ভর্তির সময় জমা দিতে হয়।
নিয়মিত অধ্যয়ন করতে পারলে এতে মোট খরচ হবে মাত্র ১০ হাজার ১০০ টাকা। মে সেশনের কাউন্সিলিং ক্লাস শুরু হবে ২১ জুন থেকে। ভর্তি, পরীক্ষাসহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইট থেকে।
তরুণরাই আসছে বেশি
বিআইএর ডিপ্লোমা শুরু হয়েছে ১৯৮১ সাল থেকে। দেখা যায় তুলনামূলকভাবে এ ডিপ্লোমা কোর্সে তরুণরাই বেশি আসছে। যারা একেবারেই ফ্রেসার। মূলত এখন যারা নবীন, তারাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। এ শিল্পে তাদের এগিয়ে আসাটা ইতিবাচক। নেতৃত্বের ও দক্ষতার ভিতটা শক্ত হলে ভবিষ্যৎও মজবুত হয়। কাজের বা চাকরির ক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মী এটাই চায়।
ক্ষেত্র যেটাই হোক, কাজের যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়াতে পারলে কাজের অভাব হয় না। আমরা অনেকেই জানি, প্রতিটি খাতেই দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। রয়েছে অপ্রতুলতা। আগামীর শক্ত ভিত গড়তে বিমাশিল্পে তরুণদের এগিয়ে আসাটা এ খাতের জন্যই শুভ ফল বয়ে আনবে। অনেকেই এই ডিপ্লোমা নিয়ে বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে টপ লেভেলে কাজ করছেন। এন্ট্রি বা মিড লেভেলেও রয়েছে এ ডিপ্লোমাধারী অসংখ্য কর্মী।
যোগাযোগ: বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি (এবিআইএ), ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি ভবন, ৫৩ মহাখালী বা/এ, ঢাকা।

৫৮০ শিক্ষার্থীর রিডিং রুমে চেয়ার ৬টি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রায় ৫৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য রিডিং রুমে বসে পড়াশোনা করার আসন রয়েছে মাত্র ৬টি। ফলে রিডিং রুমে বসে পড়াশোনা করার মতো জায়গা পাচ্ছেন না হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রিডিং রুমে পড়তে হলে নিজেদের রুম থেকে চেয়ার নিয়ে এসে পড়তে হয়। বসার চেয়ার না থাকায় পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন হলের শিক্ষার্থীরা। এদিকে হলে অবস্থানরত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু চেয়ার সংকটের কারণে তারা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছেন না। এ ছাড়াও, রিডিং রুম অপরিচ্ছন্ন, টেবিল থেকে শুরু করে বই রাখার তাক, ফ্লোর সবকিছু ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এক রুমে পাঁচজন থাকি। পাঁচজনের রুমে থেকে পড়াশোনা হয় না। আমাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই রিডিং রুমে যেতে হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল না থাকায় প্রতিনিয়ত রিডিং রুমে উঁকি দিয়ে ফিরে আসতে হয়। আমি সর্বশেষ একটা ক্লাস টেস্ট দিতে পারিনি এই সমস্যার জন্য।
তিনি আরও বলেন, রিডিং রুমের মধ্যেই নামাজ কক্ষ থাকায় বারবার মেয়েদের আসা-যাওয়ার কারণে যারা নামাজ পড়েন তাদেরও নামাজে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয় আবার যারা পড়াশোনা করেন, তাদেরও পড়ায় মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়। পড়ার জন্য ডেস্ক টাইপ টেবিল বরাদ্দ দিলে ভালো হতো। এতে করে যারা পড়ছেন কেউ কাউকে দেখবেন না। এভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতেও সহজ হবে। হল চালু হওয়ার এতদিন পরেও রিডিং রুম এভাবে পড়ে আছে বিষয়টি হতাশার বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু হলের রিডিং রুমের খুবই করুণ অবস্থা। অল্প পরিসর, সীমিত আসন সংখ্যা এবং অপরিচ্ছন্ন রুমের কারণে শিক্ষার্থীরা রিডিং রুমে গিয়ে পড়াশোনা করতে বেকায়দায় পড়ছেন। ডিপার্টমেন্টগুলোর সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে যখন তারা রিডিং রুমে গিয়ে বসার জায়গা পায় না, তখন তাদের মনের অবস্থা কেমন হয় সেই ব্যাপারটি একটু চিন্তা করা উচিত বলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ এপ্রিল আমার সেমিস্টার পরীক্ষা ছিল, আমি রিডিং রুমে গিয়ে বসার জন্য জায়গা পাইনি। আমার পাশাপাশি আরও অনেক ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা ছিল, এমন পরিস্থিতিতে কেউ রিডিং রুমের এক কোণায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়া চালিয়ে যাচ্ছে আর কেউ একবুক হতাশা নিয়ে রিডিং রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই চাই একটা রিডিং রুমের পরিবেশ পরিষ্কার থাকুক, সুন্দর থাকুক। অথচ কোনোটাই আমাদের রিডিং রুমে নেই।
ফারজানা বলেন, টেবিল থেকে শুরু করে বই রাখার তাক, ফ্লোর সবকিছুতে ময়লা। এসব পরিষ্কার করা কি শিক্ষার্থীদের কাজ? একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিডিং রুমের যদি এই করুণ অবস্থা হয়, তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে পড়াশোনার জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ পাবো? কোথায় আমাদের সুন্দর মানসিকতা গড়ে উঠবে?
এবিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মো. মজনুর রহমান সবুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের কাছে বঙ্গবন্ধু হলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠির আলোকে উপাচার্য স্যারের সঙ্গে গত সপ্তাহে হলের স্টাফ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়ে কথা বলেছি। উপাচার্য স্যার অতি দ্রুত স্টোর অফিসারদের দায়িত্ব দিয়েছেন এবং একটি কমিটি করে দিয়েছেন দ্রুততম সময়ে যাতে চেয়ার-টেবিলগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জন্মশতবার্ষিকীতে তাজউদ্দীন আহমদকে শ্রদ্ধায় স্মরণ

বিমা পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে ডিপ্লোমা

আপডেট সময় : ০৯:০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

ফরহাদ হোসেন : পরিসংখান অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি দুটি বিমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশন, জীবন বিমা করপোরেশনসহ বেসরকারি খাত মোট ৮১টি বিমা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে ছয় লক্ষাধিক কর্মী নিয়োজিত। প্রতি বছর এ খাতে প্রচুর দক্ষ লোকবলের প্রয়োজন হয়।
বিমাশিল্পে খুব সহজেই চাকরির সুযোগ পেতে এবং পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে অ্যাসোসিয়েটশিপ অফ বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি (এবিআইএ) ডিপ্লোমা করতে পারেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই ডিপ্লোমাটি দেয় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি (বিআইএ)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ ডিপ্লোমা অর্জনকারীদের চাহিদা এ শিল্পে ক্রমেই বাড়ছে। অ্যাকাডেমির পরিচালক এস এম ইব্রাহিম হোসাইনের সঙ্গে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন ফরহাদ হোসেন।
বিমা পেশায় কেন এ ডিপ্লোমা
পরিসংখান অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি দুটি বিমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশন, জীবন বিমা করপোরেশনসহ বেসরকারি খাত মোট ৮১টি বিমা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে ছয় লক্ষাধিক কর্মী নিয়োজিত। প্রতি বছর এ খাতে প্রচুর দক্ষ লোকবলের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে মার্কেটিং এবং অফিশিয়াল- দুই ক্ষেত্রেই দক্ষ লোকবল চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। ডিপ্লোমাটিতে এমনভাবে শিক্ষা কারিকুলাম সাজানো হয়েছে, যাতে বিমাশিল্পের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তব কাজে প্রয়োগ করা যায়। এতে প্রতিষ্ঠান দক্ষ লোকবল পায়, বৃদ্ধি পায় প্রডাক্টটিভিটি। কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এসব কারণেই বিআইএর ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগে প্রাধান্য দেয়।
লক্ষ্য যাদের বিমাশিল্পে ক্যারিয়ার গড়ার
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ব্যবসা শাখায় বিমা বিষয়ে পড়ানো হয়। অনেকে তখনই ঠিক করেন এ বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার। আবার অনেকে এ পেশার ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ জেনেও আসেন। তবে যারা এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য এ ডিপ্লোমা খুবই কাজে দেবে। নতুন বা ফ্রেসারদের বেলায় যেমন এ ডিপ্লোমা চাকরি পেতে সহায়তা করবে, তেমনি যারা এ পেশায় বিভিন্ন লেভেলে কর্মরত অথচ অনেকের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তাদেরও কাজের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে। নিজ কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতিতেও এ ডিপ্লোমাটি বেশ কাজে দেবে।
ভর্তি প্রক্রিয়াও খুব সহজ
এবিআইএ ঢাকার মহাখালীতে নিজস্ব ভবনে ভর্তি, ক্লাস, পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। ডিপ্লোমা কোর্সটিতে ভর্তি হতে চাইলে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক বা সমমান পাস হতে হবে। বছরে মে ও অক্টোবর সেশনে ভর্তি নেয়া হয়।
মে সেশনে এবার ভর্তির শেষ তারিখ ১৯ জুন। এতে ভর্তি ও পরীক্ষার ফি একসঙ্গে নেয়া হয়। ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ দিতে হবে ৬০০ টাকা। রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ ন্যূনতম এক বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর।
ডিপ্লোমাটিতে মোট ১০টি বিষয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। প্রতি বিষয়ে কাউন্সিলিং ফি ৪৫০ টাকা এবং প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে ভর্তির সময় জমা দিতে হয়।
নিয়মিত অধ্যয়ন করতে পারলে এতে মোট খরচ হবে মাত্র ১০ হাজার ১০০ টাকা। মে সেশনের কাউন্সিলিং ক্লাস শুরু হবে ২১ জুন থেকে। ভর্তি, পরীক্ষাসহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইট থেকে।
তরুণরাই আসছে বেশি
বিআইএর ডিপ্লোমা শুরু হয়েছে ১৯৮১ সাল থেকে। দেখা যায় তুলনামূলকভাবে এ ডিপ্লোমা কোর্সে তরুণরাই বেশি আসছে। যারা একেবারেই ফ্রেসার। মূলত এখন যারা নবীন, তারাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। এ শিল্পে তাদের এগিয়ে আসাটা ইতিবাচক। নেতৃত্বের ও দক্ষতার ভিতটা শক্ত হলে ভবিষ্যৎও মজবুত হয়। কাজের বা চাকরির ক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মী এটাই চায়।
ক্ষেত্র যেটাই হোক, কাজের যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়াতে পারলে কাজের অভাব হয় না। আমরা অনেকেই জানি, প্রতিটি খাতেই দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। রয়েছে অপ্রতুলতা। আগামীর শক্ত ভিত গড়তে বিমাশিল্পে তরুণদের এগিয়ে আসাটা এ খাতের জন্যই শুভ ফল বয়ে আনবে। অনেকেই এই ডিপ্লোমা নিয়ে বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে টপ লেভেলে কাজ করছেন। এন্ট্রি বা মিড লেভেলেও রয়েছে এ ডিপ্লোমাধারী অসংখ্য কর্মী।
যোগাযোগ: বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি (এবিআইএ), ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি ভবন, ৫৩ মহাখালী বা/এ, ঢাকা।

৫৮০ শিক্ষার্থীর রিডিং রুমে চেয়ার ৬টি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রায় ৫৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য রিডিং রুমে বসে পড়াশোনা করার আসন রয়েছে মাত্র ৬টি। ফলে রিডিং রুমে বসে পড়াশোনা করার মতো জায়গা পাচ্ছেন না হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রিডিং রুমে পড়তে হলে নিজেদের রুম থেকে চেয়ার নিয়ে এসে পড়তে হয়। বসার চেয়ার না থাকায় পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন হলের শিক্ষার্থীরা। এদিকে হলে অবস্থানরত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু চেয়ার সংকটের কারণে তারা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছেন না। এ ছাড়াও, রিডিং রুম অপরিচ্ছন্ন, টেবিল থেকে শুরু করে বই রাখার তাক, ফ্লোর সবকিছু ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এক রুমে পাঁচজন থাকি। পাঁচজনের রুমে থেকে পড়াশোনা হয় না। আমাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই রিডিং রুমে যেতে হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল না থাকায় প্রতিনিয়ত রিডিং রুমে উঁকি দিয়ে ফিরে আসতে হয়। আমি সর্বশেষ একটা ক্লাস টেস্ট দিতে পারিনি এই সমস্যার জন্য।
তিনি আরও বলেন, রিডিং রুমের মধ্যেই নামাজ কক্ষ থাকায় বারবার মেয়েদের আসা-যাওয়ার কারণে যারা নামাজ পড়েন তাদেরও নামাজে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয় আবার যারা পড়াশোনা করেন, তাদেরও পড়ায় মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়। পড়ার জন্য ডেস্ক টাইপ টেবিল বরাদ্দ দিলে ভালো হতো। এতে করে যারা পড়ছেন কেউ কাউকে দেখবেন না। এভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতেও সহজ হবে। হল চালু হওয়ার এতদিন পরেও রিডিং রুম এভাবে পড়ে আছে বিষয়টি হতাশার বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু হলের রিডিং রুমের খুবই করুণ অবস্থা। অল্প পরিসর, সীমিত আসন সংখ্যা এবং অপরিচ্ছন্ন রুমের কারণে শিক্ষার্থীরা রিডিং রুমে গিয়ে পড়াশোনা করতে বেকায়দায় পড়ছেন। ডিপার্টমেন্টগুলোর সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে যখন তারা রিডিং রুমে গিয়ে বসার জায়গা পায় না, তখন তাদের মনের অবস্থা কেমন হয় সেই ব্যাপারটি একটু চিন্তা করা উচিত বলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ এপ্রিল আমার সেমিস্টার পরীক্ষা ছিল, আমি রিডিং রুমে গিয়ে বসার জন্য জায়গা পাইনি। আমার পাশাপাশি আরও অনেক ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা ছিল, এমন পরিস্থিতিতে কেউ রিডিং রুমের এক কোণায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়া চালিয়ে যাচ্ছে আর কেউ একবুক হতাশা নিয়ে রিডিং রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই চাই একটা রিডিং রুমের পরিবেশ পরিষ্কার থাকুক, সুন্দর থাকুক। অথচ কোনোটাই আমাদের রিডিং রুমে নেই।
ফারজানা বলেন, টেবিল থেকে শুরু করে বই রাখার তাক, ফ্লোর সবকিছুতে ময়লা। এসব পরিষ্কার করা কি শিক্ষার্থীদের কাজ? একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিডিং রুমের যদি এই করুণ অবস্থা হয়, তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে পড়াশোনার জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ পাবো? কোথায় আমাদের সুন্দর মানসিকতা গড়ে উঠবে?
এবিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মো. মজনুর রহমান সবুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের কাছে বঙ্গবন্ধু হলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠির আলোকে উপাচার্য স্যারের সঙ্গে গত সপ্তাহে হলের স্টাফ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়ে কথা বলেছি। উপাচার্য স্যার অতি দ্রুত স্টোর অফিসারদের দায়িত্ব দিয়েছেন এবং একটি কমিটি করে দিয়েছেন দ্রুততম সময়ে যাতে চেয়ার-টেবিলগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়।