নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরব ফেরত এক প্রবাসী বাংলাদেশির লাগেজ কাটাছেঁড়া ও মালামাল চুরি হওয়া নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অবশেষে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কাটা লাগেজ নিয়ে যাত্রীরা রাগান্বিত হয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মীদের ওপর চড়াও হচ্ছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভিডিওটি আজ ভাইরাল হলেও ঘটনাটি গত ১৪ নভেম্বরের। সেদিন সৌদি আরব থেকে আউট পাস নিয়ে ৭৮ জন বাংলাদেশি ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ET-618 ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। ইমিগ্রেশনসহ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আগমনী এক নম্বর বেল্ট এলাকায় ব্যাগেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা দেখেন- অধিকাংশ ব্যাগ কাটা, আর ভেতরের মালামাল অনুপস্থিত। এতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করতে করতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের কর্মীদের ওপর চড়াও হন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন কারণে আটক থাকার পর আউট পাসপ্রাপ্ত এসব যাত্রী সৌদি ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থাপনায় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ইটি-৬১৮ ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে আদ্দিস আবাবা হয়ে ঢাকায় পৌঁছান।
বেবিচক জানায়, সম্প্রতি এরকম লাগেজ কাটা ও মালামাল হারানোর ঘটনা বারবার ঘটছে, এবং বিষয়টি তারা ইতোমধ্যে সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। এয়ারলাইন্সের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আউট পাস যাত্রীদের জন্য মাথাপিছু গড়ে ১৫ কেজি হিসেবে সব মালামাল একত্রে বুক করা হয়, ফলে কোন ব্যাগে কার মালামাল ছিল তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। পাশাপাশি সৌদি ইমিগ্রেশন পুলিশ অনেক মালামাল জব্দ করে, যার তালিকাও এয়ারলাইন্সকে দেয় না। ফলে দেশে আসার পর এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লাগেজ হ্যান্ডলিং এলাকাগুলো সিসিটিভির আওতায় আসায় সাধারণ যাত্রীদের ব্যাগেজ চুরির ঘটনা কমেছে। তবে আউট পাস যাত্রীদের ব্যাগেজে মালামাল চুরি বা হারানোর অভিযোগ এখনো বেশি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব ব্যাগ সৌদিতে অবস্থানকালে কোনো ব্যক্তি বা এজেন্সির মাধ্যমে চুরি বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ওআ/আপ্র/২৮/১১/২০২৫





















