ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য শনাক্তের কৌশল

  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য প্রবাহ অত্যন্ত দ্রুতগামী। অনলাইনে পাওয়া অনেক তথ্য সঠিক হলেও অসত্য বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্যও সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভুল তথ্য শনাক্ত করা কঠিন মনে হলেও কিছু কৌশল অনুসরণ করলে তা সহজ হয়। নিচে ভুল তথ্য চেনার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলোÑ
তথ্যের উৎস যাচাই করা: প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তথ্যের উৎস যাচাই করা। কোন সূত্র থেকে তথ্যটি এসেছে তা খুঁজে বের করতে হবে। সাধারণত, বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যম, স্বীকৃত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অপরদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অজানা ব্লগ থেকে পাওয়া তথ্য নির্ভরযোগ্য নাও হতে পারে। কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবেÑ
উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা: উৎসটি কতটা স্বীকৃত ও নির্ভরযোগ্য?
লেখকের পরিচিতি: লেখক বা তথ্য প্রদানকারী কে, এবং তারা কতা নির্ভরযোগ্য?
ওয়েবসাইটের ডোমেইন: .মড়া, .বফঁ, .ড়ৎম ডোমেইনগুলো সাধারণত নির্ভরযোগ্য হয়, তবে সব সময় নয়।
তথ্যের তারিখ দেখে নেওয়া: তথ্যের তারিখ অনেক সময় ভুল তথ্য চেনার জন্য সহায়ক হতে পারে। পুরনো তথ্য বর্তমানের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তাই যে কোনো তথ্যের সময়সীমা যাচাই করা উচিত।
বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা : কোনো একটি তথ্য সঠিক কি না, তা জানার জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে একই তথ্য খুঁজে দেখুন। যদি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য উৎস একই তথ্য দেয়, তাহলে সেটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। উদাহরণস্বরূপ, কোনো তথ্য সংবাদমাধ্যম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বা সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পুনরায় পাওয়া গেলে সেটি সঠিক হতে পারে।
তথ্য যাচাই ওয়েবসাইট ব্যবহার করা: ভুল তথ্য যাচাই করার জন্য ইন্টারনেটে বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে। যেমনÑ
ঝহড়ঢ়বং: এটি বিশ্বব্যাপী বিভ্রান্তিমূলক খবর যাচাই করার জন্য বিখ্যাত।
ঋধপঃঈযবপশ.ড়ৎম: রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ে ভুল তথ্য যাচাই করতে সাহায্য করে।
চড়ষরঃরঋধপঃ: রাজনৈতিক দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করে।
অস্বাভাবিক দাবির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা: যে কোনো অস্বাভাবিক বা চমকপ্রদ দাবি যেগুলো শুনতে বা পড়তে অসম্ভব মনে হয়, সেগুলো নিয়ে সন্দেহ পোষণ করুন। এই ধরনের তথ্য সাধারণত ভুয়া হতে পারে।
চিত্র ও ভিডিও যাচাই করা: চিত্র বা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে এড়ড়মষব জবাবৎংব ওসধমব ঝবধৎপয, ঞরহঊুব ইত্যাদি টুল ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক সময় পুরোনো ছবি বা ভিডিও নতুন ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
ভুল তথ্য চেনার জন্য যাচাই করা, উৎস পর্যবেক্ষণ, এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে ফ্যাক্ট-চেকিং টুলগুলোও এই কাজে সহায়তা করে। সচেতনভাবে তথ্য যাচাই করা আমাদের দায়িত্ব, কারণ ভুল তথ্য আমাদের সমাজে বিভ্রান্তি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য শনাক্তের কৌশল

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক: বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য প্রবাহ অত্যন্ত দ্রুতগামী। অনলাইনে পাওয়া অনেক তথ্য সঠিক হলেও অসত্য বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্যও সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভুল তথ্য শনাক্ত করা কঠিন মনে হলেও কিছু কৌশল অনুসরণ করলে তা সহজ হয়। নিচে ভুল তথ্য চেনার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলোÑ
তথ্যের উৎস যাচাই করা: প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তথ্যের উৎস যাচাই করা। কোন সূত্র থেকে তথ্যটি এসেছে তা খুঁজে বের করতে হবে। সাধারণত, বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যম, স্বীকৃত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অপরদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অজানা ব্লগ থেকে পাওয়া তথ্য নির্ভরযোগ্য নাও হতে পারে। কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবেÑ
উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা: উৎসটি কতটা স্বীকৃত ও নির্ভরযোগ্য?
লেখকের পরিচিতি: লেখক বা তথ্য প্রদানকারী কে, এবং তারা কতা নির্ভরযোগ্য?
ওয়েবসাইটের ডোমেইন: .মড়া, .বফঁ, .ড়ৎম ডোমেইনগুলো সাধারণত নির্ভরযোগ্য হয়, তবে সব সময় নয়।
তথ্যের তারিখ দেখে নেওয়া: তথ্যের তারিখ অনেক সময় ভুল তথ্য চেনার জন্য সহায়ক হতে পারে। পুরনো তথ্য বর্তমানের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তাই যে কোনো তথ্যের সময়সীমা যাচাই করা উচিত।
বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা : কোনো একটি তথ্য সঠিক কি না, তা জানার জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে একই তথ্য খুঁজে দেখুন। যদি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য উৎস একই তথ্য দেয়, তাহলে সেটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। উদাহরণস্বরূপ, কোনো তথ্য সংবাদমাধ্যম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বা সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পুনরায় পাওয়া গেলে সেটি সঠিক হতে পারে।
তথ্য যাচাই ওয়েবসাইট ব্যবহার করা: ভুল তথ্য যাচাই করার জন্য ইন্টারনেটে বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে। যেমনÑ
ঝহড়ঢ়বং: এটি বিশ্বব্যাপী বিভ্রান্তিমূলক খবর যাচাই করার জন্য বিখ্যাত।
ঋধপঃঈযবপশ.ড়ৎম: রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ে ভুল তথ্য যাচাই করতে সাহায্য করে।
চড়ষরঃরঋধপঃ: রাজনৈতিক দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করে।
অস্বাভাবিক দাবির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা: যে কোনো অস্বাভাবিক বা চমকপ্রদ দাবি যেগুলো শুনতে বা পড়তে অসম্ভব মনে হয়, সেগুলো নিয়ে সন্দেহ পোষণ করুন। এই ধরনের তথ্য সাধারণত ভুয়া হতে পারে।
চিত্র ও ভিডিও যাচাই করা: চিত্র বা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে এড়ড়মষব জবাবৎংব ওসধমব ঝবধৎপয, ঞরহঊুব ইত্যাদি টুল ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক সময় পুরোনো ছবি বা ভিডিও নতুন ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
ভুল তথ্য চেনার জন্য যাচাই করা, উৎস পর্যবেক্ষণ, এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে ফ্যাক্ট-চেকিং টুলগুলোও এই কাজে সহায়তা করে। সচেতনভাবে তথ্য যাচাই করা আমাদের দায়িত্ব, কারণ ভুল তথ্য আমাদের সমাজে বিভ্রান্তি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।