ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

বিভাগীয় শহরে গ্রামীণফোন ও রবির ফাইভ জি চালু

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে মোবাইল ফোনের পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বা ‘ফাইভ জি’ সেবা চালু করার কথা জানিয়েছে শীর্ষ দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি।

দুটো কোম্পানিই বলছে, ফোর জি প্যাকেজের দামেই গ্রাহকরা ফাইভজির দ্রুত গতির ইন্টারনেট পাবেন। সে জন্য তাদের লাগবে ফাইভ জি সাপোর্টেড হ্যান্ডসেট। এর মধ্যে গ্রামীণফোন দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ফাইভ জি সেবা চালু করার কথা জানিয়েছে। আর রবি বলছে, তারা তিনটি বিভাগীয় শহরের সাতটি জায়গায় সোমবার থেকে ফাইভ জি সেবা দিচ্ছে। দুটো কোম্পানিই বলছে, দেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে তারা ফাইভ জি সেবা চালু করল। বর্তমান ফোর জি ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের যে গতি, তার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ গুণ গতি পাওয়া যাবে ফাইভ জিতে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রবির তেজগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইভ জি সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান এমদাদুল বারী, আইসিটি সচিব শীষ মোহাম্মদসহ রবির কর্মকর্তারা। একই সময়ে গ্রামীণফোনের ফেসবুক পেইজে ভিডিও পোস্ট করে ফাইভ জি চালুর ঘোষণা দেন কোম্পানির সিইও ইয়াসির আজমান।

রবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই সেবা যেন কেবলমাত্র শহরকেন্দ্রিক এলিটদের জন্য না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। দ্রুত এই সেবা প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে যেতে হবে, যাতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা এবং কৃষকরাও এই উচ্চগতির প্রযুক্তির সুযোগটা নিতে পারেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান এমদাদুল বারী বলেন, ফাইভ জির জন্য একটা শক্তপোক্ত শেয়ার্ড অবকাঠামোর প্রয়োজন। প্রস্তাবিত টেলিকম নীতিমালায় আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে এসেছি। সারা দেশে ফাইভ জি পৌঁছে দিতে গেলে আমাদের পাঁচ লাখ কিলোমিটারের বেশি ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক দরকার। সেখানে আমাদের আছে দুই লাখ কিলোমিটারের কম।

অনুষ্ঠানে রবির চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সাতটি জায়গায় ফাইভ জি সেবা শুরু করেছেন। ফাইভ জি সাপোর্টেড হ্যান্ডসেটের সংখ্যার ভিত্তিতে নভেম্বরের মধ্যেই তারা ২০০টি সাইটে এই সেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। যেখানেই ‘ফাইভ জি এনাবেলড’ হ্যান্ডসেটের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মত দেখা যাবে, সেখানে তারা এই সেবা নিয়ে যাবেন।

দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ফাইভ জি সেবা চালু করতে ২০২২ এর মার্চে তরঙ্গ বরাদ্দের নিলাম হয়। দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর সে সময় ১২৩ কোটি মার্কিন ডলারে ১৯০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে।

দেশের প্রধান দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আলাদাভাবে তিন হাজার ৩৬১ কোটি টাকা খরচ করে ২৬০০ ব্যান্ডের ৬০ মেগাহার্জ করে তরঙ্গ কেনে। বাংলালিংক ২৩০০ ব্যান্ডের ৪০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে দুই হাজার ২৪১ কোটি টাকায়। আর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টেলিটক এক হাজার ৬৮১ কোটি টাকায় ২৩০০ ব্যান্ডের ৩০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে সে সময়। নিলামের সময় বিটিআরসি বলেছিল, অপারেটরদের ছয় মাসের মধ্যে ফাইভ জি সেবা চালু করতে হবে। তবে এ সেবার জন্য প্রযোজ্য নীতিমালা প্রণয়ন করতেই বিটিআরসি প্রায় দুই বছর সময় নিয়ে নেয়। সেই নীতিমালা প্রকাশ করা হয় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে বলা হয়, ৫জি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটরগুলো এক বছরের মধ্যে এই সেবা চালু করতে পারবে। দ্বিতীয় বছরের শুরু থেকে সব ধরনের ৫জি সেবা চালু করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে চার অপারেটরকে। এসব সেবার মধ্যে আছে স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম, স্মার্ট গ্রিডসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেবা। সেই নীতিমালা প্রকাশের দেড় বছরের মাথায় দুই অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ জি সেবা চালুর কথা জানাল।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বিভাগীয় শহরে গ্রামীণফোন ও রবির ফাইভ জি চালু

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে মোবাইল ফোনের পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বা ‘ফাইভ জি’ সেবা চালু করার কথা জানিয়েছে শীর্ষ দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি।

দুটো কোম্পানিই বলছে, ফোর জি প্যাকেজের দামেই গ্রাহকরা ফাইভজির দ্রুত গতির ইন্টারনেট পাবেন। সে জন্য তাদের লাগবে ফাইভ জি সাপোর্টেড হ্যান্ডসেট। এর মধ্যে গ্রামীণফোন দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ফাইভ জি সেবা চালু করার কথা জানিয়েছে। আর রবি বলছে, তারা তিনটি বিভাগীয় শহরের সাতটি জায়গায় সোমবার থেকে ফাইভ জি সেবা দিচ্ছে। দুটো কোম্পানিই বলছে, দেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে তারা ফাইভ জি সেবা চালু করল। বর্তমান ফোর জি ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের যে গতি, তার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ গুণ গতি পাওয়া যাবে ফাইভ জিতে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রবির তেজগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইভ জি সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান এমদাদুল বারী, আইসিটি সচিব শীষ মোহাম্মদসহ রবির কর্মকর্তারা। একই সময়ে গ্রামীণফোনের ফেসবুক পেইজে ভিডিও পোস্ট করে ফাইভ জি চালুর ঘোষণা দেন কোম্পানির সিইও ইয়াসির আজমান।

রবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই সেবা যেন কেবলমাত্র শহরকেন্দ্রিক এলিটদের জন্য না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। দ্রুত এই সেবা প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে যেতে হবে, যাতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা এবং কৃষকরাও এই উচ্চগতির প্রযুক্তির সুযোগটা নিতে পারেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান এমদাদুল বারী বলেন, ফাইভ জির জন্য একটা শক্তপোক্ত শেয়ার্ড অবকাঠামোর প্রয়োজন। প্রস্তাবিত টেলিকম নীতিমালায় আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে এসেছি। সারা দেশে ফাইভ জি পৌঁছে দিতে গেলে আমাদের পাঁচ লাখ কিলোমিটারের বেশি ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক দরকার। সেখানে আমাদের আছে দুই লাখ কিলোমিটারের কম।

অনুষ্ঠানে রবির চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সাতটি জায়গায় ফাইভ জি সেবা শুরু করেছেন। ফাইভ জি সাপোর্টেড হ্যান্ডসেটের সংখ্যার ভিত্তিতে নভেম্বরের মধ্যেই তারা ২০০টি সাইটে এই সেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। যেখানেই ‘ফাইভ জি এনাবেলড’ হ্যান্ডসেটের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মত দেখা যাবে, সেখানে তারা এই সেবা নিয়ে যাবেন।

দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ফাইভ জি সেবা চালু করতে ২০২২ এর মার্চে তরঙ্গ বরাদ্দের নিলাম হয়। দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর সে সময় ১২৩ কোটি মার্কিন ডলারে ১৯০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে।

দেশের প্রধান দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আলাদাভাবে তিন হাজার ৩৬১ কোটি টাকা খরচ করে ২৬০০ ব্যান্ডের ৬০ মেগাহার্জ করে তরঙ্গ কেনে। বাংলালিংক ২৩০০ ব্যান্ডের ৪০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে দুই হাজার ২৪১ কোটি টাকায়। আর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টেলিটক এক হাজার ৬৮১ কোটি টাকায় ২৩০০ ব্যান্ডের ৩০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে সে সময়। নিলামের সময় বিটিআরসি বলেছিল, অপারেটরদের ছয় মাসের মধ্যে ফাইভ জি সেবা চালু করতে হবে। তবে এ সেবার জন্য প্রযোজ্য নীতিমালা প্রণয়ন করতেই বিটিআরসি প্রায় দুই বছর সময় নিয়ে নেয়। সেই নীতিমালা প্রকাশ করা হয় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে বলা হয়, ৫জি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটরগুলো এক বছরের মধ্যে এই সেবা চালু করতে পারবে। দ্বিতীয় বছরের শুরু থেকে সব ধরনের ৫জি সেবা চালু করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে চার অপারেটরকে। এসব সেবার মধ্যে আছে স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম, স্মার্ট গ্রিডসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেবা। সেই নীতিমালা প্রকাশের দেড় বছরের মাথায় দুই অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ জি সেবা চালুর কথা জানাল।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ