ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

বিবিসির দুই কর্মকর্তার পদত্যাগকে স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প -ফাইল ছবি রয়টার্স

প্রত্যাশা ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির ‘খুব অসৎ’ কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভির পদত্যাগকে স্বাগত জানান। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর গত রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে টিম ডেভি পদত্যাগ করেন।

টিম ডেভির পদত্যাগের কারণ হচ্ছে বিবিসির প্যানোরামা তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তৃতার একটি অংশ সম্পাদনা করা। এটি এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে, যাতে দর্শক বিভ্রান্ত হতে পারেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্যচিত্র দেখে মনে হয়েছিল, ট্রাম্প ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বক্তৃতায় তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনে ‘তুমুল লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্প্রচারমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিতর্ক ও তাদের কেলেঙ্কারির সর্বশেষ ঘটনা ছিল। এই একই কারণে টিম ডেভির পাশাপাশি নিউজ বিভাগের সিইও ডেবোরা টারনেসও পদত্যাগ করেছেন।

গত রোববার সন্ধ্যায় ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, বিবিসির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা, বস টিম ডেভিসহ সবাই পদত্যাগ করছেন বা বরখাস্ত হচ্ছেন। কারণ, তাঁরা ৬ জানুয়ারির আমার খুব ভালো বক্তৃতাটিকে বিকৃত করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। ট্রাম্প আরো যোগ করেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য দ্য টেলিগ্রাফ সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এরা খুব অসৎ লোক, যাঁরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
পদত্যাগের পরে এক বিবৃতিতে টিম ডেভি বলেন, কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে আমাকেই চূড়ান্ত দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি আরো যোগ করেন, এই পদত্যাগ সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।

বিবিসির বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস ও মহাপরিচালক টিম ডেভি -ছবি বিবিসি

ট্রাম্পের তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে বিতর্কে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধানের পদত্যাগ: ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন-বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বিবিসির বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস পদত্যাগ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্র নিয়ে সমালোচনার পর তারা পদত্যাগ করেন। রোববার (৯ নভেম্বর) পদত্যাগ করেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে টিম ডেভি বলেন, সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিবিসিও নিখুঁত নয়। আমাদের সবসময় খোলা, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, যদিও এটিই একমাত্র কারণ নয়। বিবিসি নিউজকে ঘিরে বর্তমান বিতর্ক আমার সিদ্ধান্তে যুক্তিসঙ্গত ভূমিকা রেখেছে।

পাঁচ বছর ধরে দায়িত্বে থাকা টিম ডেভি একাধিক বিতর্ক ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে ছিলেন। টিম ডেভি আরো বলেন, সামগ্রিকভাবে বিবিসি ভালো কাজ করছে, তবে কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে সেই ভুলের চূড়ান্ত দায় আমাকেই নিতে হবে।

ব্রিটেনের রাজনৈতিক নেতারা এই পদত্যাগের ঘটনায় পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। একই দিনে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধানের পদত্যাগের ঘটনা অভূতপূর্ব। রোববার রাতেই এক বিবৃতিতে টারনেস বলেন, প্যানোরামা বিতর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা বিবিসির ক্ষতি করছে। চূড়ান্ত দায়িত্ব আমারই। তিনি আরো বলেন, জনজীবনে নেতাদের সম্পূর্ণভাবে জবাবদিহি করতে হয়, তাই আমি পদত্যাগ করছি। যদিও কিছু ভুল হয়েছে, আমি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে বলতে চাই-সম্প্রতি যে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে বিবিসি নিউজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট, তা সম্পূর্ণ ভুল। টারনেস গত তিন বছর ধরে নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ফাঁস হওয়া বিবিসির একটি অভ্যন্তরীণ মেমো প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, প্যানোরামা তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তৃতার দুটি অংশ সম্পাদনা করে এমনভাবে একত্রিত করা হয়েছে, যাতে মনে হয় তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা উসকে দিয়েছেন। সম্পাদনার পর ট্রাম্পের বক্তব্য দাঁড়ায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে যাচ্ছি এবং আমি সেখানে আপনাদের সঙ্গে থাকব এবং আমরা লড়াই করব। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করব।’

ট্রাম্পের ভাষণে এ কথাগুলো থাকলেও সেগুলোর মধ্যে আরো অনেক কথা ছিল। তার বক্তব্যের অংশবিশেষ এভাবে জোড়া লাগানোর বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর বিবিসির সমালোচনায় সোচ্চার হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। তিনি বিবিসিকে ‘১০০ শতাংশ ভুয়া খবর’ এবং একটি ‘অপপ্রচারের যন্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এছাড়া বিবিসির বিরুদ্ধে গাজা ও ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকারের মতো বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনে ‘গুরুতর ও সামগ্রিক পদ্ধতিগত’ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে।

সানা/আপ্র/১০/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বিবিসির দুই কর্মকর্তার পদত্যাগকে স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির ‘খুব অসৎ’ কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভির পদত্যাগকে স্বাগত জানান। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর গত রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে টিম ডেভি পদত্যাগ করেন।

টিম ডেভির পদত্যাগের কারণ হচ্ছে বিবিসির প্যানোরামা তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তৃতার একটি অংশ সম্পাদনা করা। এটি এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে, যাতে দর্শক বিভ্রান্ত হতে পারেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্যচিত্র দেখে মনে হয়েছিল, ট্রাম্প ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বক্তৃতায় তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনে ‘তুমুল লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্প্রচারমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিতর্ক ও তাদের কেলেঙ্কারির সর্বশেষ ঘটনা ছিল। এই একই কারণে টিম ডেভির পাশাপাশি নিউজ বিভাগের সিইও ডেবোরা টারনেসও পদত্যাগ করেছেন।

গত রোববার সন্ধ্যায় ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, বিবিসির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা, বস টিম ডেভিসহ সবাই পদত্যাগ করছেন বা বরখাস্ত হচ্ছেন। কারণ, তাঁরা ৬ জানুয়ারির আমার খুব ভালো বক্তৃতাটিকে বিকৃত করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। ট্রাম্প আরো যোগ করেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য দ্য টেলিগ্রাফ সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এরা খুব অসৎ লোক, যাঁরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
পদত্যাগের পরে এক বিবৃতিতে টিম ডেভি বলেন, কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে আমাকেই চূড়ান্ত দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি আরো যোগ করেন, এই পদত্যাগ সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।

বিবিসির বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস ও মহাপরিচালক টিম ডেভি -ছবি বিবিসি

ট্রাম্পের তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে বিতর্কে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধানের পদত্যাগ: ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন-বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বিবিসির বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস পদত্যাগ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্র নিয়ে সমালোচনার পর তারা পদত্যাগ করেন। রোববার (৯ নভেম্বর) পদত্যাগ করেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে টিম ডেভি বলেন, সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিবিসিও নিখুঁত নয়। আমাদের সবসময় খোলা, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, যদিও এটিই একমাত্র কারণ নয়। বিবিসি নিউজকে ঘিরে বর্তমান বিতর্ক আমার সিদ্ধান্তে যুক্তিসঙ্গত ভূমিকা রেখেছে।

পাঁচ বছর ধরে দায়িত্বে থাকা টিম ডেভি একাধিক বিতর্ক ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে ছিলেন। টিম ডেভি আরো বলেন, সামগ্রিকভাবে বিবিসি ভালো কাজ করছে, তবে কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে সেই ভুলের চূড়ান্ত দায় আমাকেই নিতে হবে।

ব্রিটেনের রাজনৈতিক নেতারা এই পদত্যাগের ঘটনায় পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। একই দিনে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধানের পদত্যাগের ঘটনা অভূতপূর্ব। রোববার রাতেই এক বিবৃতিতে টারনেস বলেন, প্যানোরামা বিতর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা বিবিসির ক্ষতি করছে। চূড়ান্ত দায়িত্ব আমারই। তিনি আরো বলেন, জনজীবনে নেতাদের সম্পূর্ণভাবে জবাবদিহি করতে হয়, তাই আমি পদত্যাগ করছি। যদিও কিছু ভুল হয়েছে, আমি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে বলতে চাই-সম্প্রতি যে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে বিবিসি নিউজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট, তা সম্পূর্ণ ভুল। টারনেস গত তিন বছর ধরে নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ফাঁস হওয়া বিবিসির একটি অভ্যন্তরীণ মেমো প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, প্যানোরামা তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তৃতার দুটি অংশ সম্পাদনা করে এমনভাবে একত্রিত করা হয়েছে, যাতে মনে হয় তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা উসকে দিয়েছেন। সম্পাদনার পর ট্রাম্পের বক্তব্য দাঁড়ায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে যাচ্ছি এবং আমি সেখানে আপনাদের সঙ্গে থাকব এবং আমরা লড়াই করব। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করব।’

ট্রাম্পের ভাষণে এ কথাগুলো থাকলেও সেগুলোর মধ্যে আরো অনেক কথা ছিল। তার বক্তব্যের অংশবিশেষ এভাবে জোড়া লাগানোর বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর বিবিসির সমালোচনায় সোচ্চার হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। তিনি বিবিসিকে ‘১০০ শতাংশ ভুয়া খবর’ এবং একটি ‘অপপ্রচারের যন্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এছাড়া বিবিসির বিরুদ্ধে গাজা ও ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকারের মতো বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনে ‘গুরুতর ও সামগ্রিক পদ্ধতিগত’ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে।

সানা/আপ্র/১০/১১/২০২৫