ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

বিবাহবিচ্ছেদের পরের সময়টা উপভোগ করছেন সাবা

  • আপডেট সময় : ১২:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: ভালোবেসে ২০০৯ সালে নির্মাতা মুরাদ পারভেজকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। কিন্তু বিয়ের মাত্র ৬ বছরের মাথায় ভাঙন ধরে সেই সংসারের। ২০১৫ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটে এই জুটি। এরপর গত ৮ বছর ধরে সিঙ্গেল জীবনই উপভোগ করছেন সাবা। নতুন করে আর কোনো সম্পর্কে জড়াননি। গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ছিল অভিনেত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের ৮ বছর পূর্তি। ফেসবুকে এক পোস্টে বিচ্ছেদের পরের এই ৮ বছরকে সোহানা সাবা স্বাধীনতার বছর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি শুরুতেই লেখেন, ‘মিডিয়ায় কাজ করা মানুষদের সংসার টেকে না’। এই কথাটা কিন্তু তার নয়। কিন্তু বারবার এই কথাটাই তাকে শুনতে হতো। কে বলত এই কথা? কারো নাম উল্লেখ না করলেও বুঝা যাচ্ছে বিচ্ছেদের কারনে পরিবার, কাছের মানুষ বা সমাজের মানুষের কাছ থেকে এই কথা শুনে যাচ্ছেন। স্মৃতিচারণ করে সোহানা সাবা লেখেন, ‘এই কথা শুনে শুনে কান পঁচে যাওয়ার কারণেই প্রায় ১০ বছর দাঁত চেপে পড়েছিলাম। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত পৌনে বারোটায় একা একটা রিকশা নিয়ে পুরান ঢাকায় খালামণির বাসায় যখন যাচ্ছিলাম, তখন বাসায় আবার অত্যাচারিত হওয়ার চেয়ে রাস্তায় অজানা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে যাওয়ার ভয়কে তুচ্ছ মনে হচ্ছিল। অথচ ভেবেছিলাম বড় করে এক দশক সেলিব্রেট করব। সবাইকে চমকে দেব আমরাও পারি! থাক না সে ডিকেডে সবার অজানা রক্তাক্ত ইতিহাস।’
বিবাহবিচ্ছেদের পর জীবনকে উপভোগ করছেন সাবা। তা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘যে কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ভাবনাটা সমান্তরাল দুই পাশ থেকেই আসতে হয়। আজকে যখন নিজেকে দেখি অবাক লাগে। কত চড়াই-উতরাই পাড় করে আজ কি সুন্দর জীবন। অলমোস্ট ৯ বছরের ছেলের মা। যে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে যে, তার কোনো ভয় নেই। তার আশেপাশে শক্ত আরামের দেয়াল। তার মানে কিন্তু এই নয়, আমি আমার জীবন উপভোগ করি না। আমি আমার জীবন পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করি।’ প্রতিনিয়ত নিজেকে ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান সাবা। তা স্মরণ করে সাবা বলেন, ‘যা হবার ছিল বা হতে পারতাম না ভেবে, প্রতিদিন নিজেকে ভেঙে গড়ি, প্রতিদিন আমি আরো সুন্দর, শক্ত, আধুনিক, পিওর হই। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।’ হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেন, ‘আমার স্বাধীনতার ৮ বছর।’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর পুত্র সন্তানের মা হন সাবা। নাম রাখেন স্বরবর্ণ। বর্তমানে ছেলেকে নিয়েই সময় কাটছে তার।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বিবাহবিচ্ছেদের পরের সময়টা উপভোগ করছেন সাবা

আপডেট সময় : ১২:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক: ভালোবেসে ২০০৯ সালে নির্মাতা মুরাদ পারভেজকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। কিন্তু বিয়ের মাত্র ৬ বছরের মাথায় ভাঙন ধরে সেই সংসারের। ২০১৫ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটে এই জুটি। এরপর গত ৮ বছর ধরে সিঙ্গেল জীবনই উপভোগ করছেন সাবা। নতুন করে আর কোনো সম্পর্কে জড়াননি। গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ছিল অভিনেত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের ৮ বছর পূর্তি। ফেসবুকে এক পোস্টে বিচ্ছেদের পরের এই ৮ বছরকে সোহানা সাবা স্বাধীনতার বছর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি শুরুতেই লেখেন, ‘মিডিয়ায় কাজ করা মানুষদের সংসার টেকে না’। এই কথাটা কিন্তু তার নয়। কিন্তু বারবার এই কথাটাই তাকে শুনতে হতো। কে বলত এই কথা? কারো নাম উল্লেখ না করলেও বুঝা যাচ্ছে বিচ্ছেদের কারনে পরিবার, কাছের মানুষ বা সমাজের মানুষের কাছ থেকে এই কথা শুনে যাচ্ছেন। স্মৃতিচারণ করে সোহানা সাবা লেখেন, ‘এই কথা শুনে শুনে কান পঁচে যাওয়ার কারণেই প্রায় ১০ বছর দাঁত চেপে পড়েছিলাম। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত পৌনে বারোটায় একা একটা রিকশা নিয়ে পুরান ঢাকায় খালামণির বাসায় যখন যাচ্ছিলাম, তখন বাসায় আবার অত্যাচারিত হওয়ার চেয়ে রাস্তায় অজানা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে যাওয়ার ভয়কে তুচ্ছ মনে হচ্ছিল। অথচ ভেবেছিলাম বড় করে এক দশক সেলিব্রেট করব। সবাইকে চমকে দেব আমরাও পারি! থাক না সে ডিকেডে সবার অজানা রক্তাক্ত ইতিহাস।’
বিবাহবিচ্ছেদের পর জীবনকে উপভোগ করছেন সাবা। তা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘যে কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ভাবনাটা সমান্তরাল দুই পাশ থেকেই আসতে হয়। আজকে যখন নিজেকে দেখি অবাক লাগে। কত চড়াই-উতরাই পাড় করে আজ কি সুন্দর জীবন। অলমোস্ট ৯ বছরের ছেলের মা। যে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে যে, তার কোনো ভয় নেই। তার আশেপাশে শক্ত আরামের দেয়াল। তার মানে কিন্তু এই নয়, আমি আমার জীবন উপভোগ করি না। আমি আমার জীবন পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করি।’ প্রতিনিয়ত নিজেকে ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান সাবা। তা স্মরণ করে সাবা বলেন, ‘যা হবার ছিল বা হতে পারতাম না ভেবে, প্রতিদিন নিজেকে ভেঙে গড়ি, প্রতিদিন আমি আরো সুন্দর, শক্ত, আধুনিক, পিওর হই। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।’ হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেন, ‘আমার স্বাধীনতার ৮ বছর।’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর পুত্র সন্তানের মা হন সাবা। নাম রাখেন স্বরবর্ণ। বর্তমানে ছেলেকে নিয়েই সময় কাটছে তার।