ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিপৎসীমার ওপরে ৫ নদ-নদী, নতুন এলাকা প্লাবিত

  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। জেলা সদর, রাজনগর, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মৌলভীবাজারের মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে রাজনগর উপজেলার নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকটি ইউনিয়নে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোরে রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকায় মনু নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যার ঝুঁকিতে থাকা পৌর শহরে মাইকিং করে সতর্ক করছে জেলা প্রশাসন।
যেকোনো সময় ভাঙতে পারে শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ। তাই শহরের দোকানগুলোর পণ্য সামগ্রী নিরাপদ স্থানে নিতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে যারা বাসাবাড়ির নিচ তলায় অবস্থান করছেন তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে ওঠার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
প্লাবিত হয়ে মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বন্যা। এরইমধ্যে পানিবন্দি হয়ে আছে কয়েক লাখ মানুষ। এদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি নদ-নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নিয়মিত বুলেটিনে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকাল ৯টায় জুড়ী নদ বিপৎসীমার প্রায় ১৯০ সেন্টিমিটার ওপর, ধলাই নদ বিপদৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ও মনু নদীর চাঁদনীঘাটে ১১৫ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজে ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও মৌলভীবাজারের শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চারদিনের দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে হাওর ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়িঘরও প্লাবিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ভয়াবহভাবে পানি বাড়ছে। নদ-নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা জিও ব্যাগ ফেলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। নদ-নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও এলাকায় মনু নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাজনগর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, নদ-নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে কতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত

বিপৎসীমার ওপরে ৫ নদ-নদী, নতুন এলাকা প্লাবিত

আপডেট সময় : ১২:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। জেলা সদর, রাজনগর, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মৌলভীবাজারের মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে রাজনগর উপজেলার নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকটি ইউনিয়নে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোরে রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকায় মনু নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যার ঝুঁকিতে থাকা পৌর শহরে মাইকিং করে সতর্ক করছে জেলা প্রশাসন।
যেকোনো সময় ভাঙতে পারে শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ। তাই শহরের দোকানগুলোর পণ্য সামগ্রী নিরাপদ স্থানে নিতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে যারা বাসাবাড়ির নিচ তলায় অবস্থান করছেন তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে ওঠার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
প্লাবিত হয়ে মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বন্যা। এরইমধ্যে পানিবন্দি হয়ে আছে কয়েক লাখ মানুষ। এদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি নদ-নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নিয়মিত বুলেটিনে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকাল ৯টায় জুড়ী নদ বিপৎসীমার প্রায় ১৯০ সেন্টিমিটার ওপর, ধলাই নদ বিপদৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ও মনু নদীর চাঁদনীঘাটে ১১৫ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজে ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও মৌলভীবাজারের শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চারদিনের দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে হাওর ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়িঘরও প্লাবিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ভয়াবহভাবে পানি বাড়ছে। নদ-নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা জিও ব্যাগ ফেলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। নদ-নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও এলাকায় মনু নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাজনগর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, নদ-নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে কতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।