ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

বিপৎসীমার ওপরে ধরলার পানি

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট সংবাদদাতা: লালমনিরহাটে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফের বন্যার কবলে পড়েছে জেলার সদর উপজেলাসহ নি¤œাঞ্চল। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানের ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি বেড়েছে ৭০ সেন্টিমিটার। ফলে গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে লালমনিরহাটের শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী ইউনিয়নে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোয় বন্যার পানি ঢুকছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। এসব এলাকার পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও সবজি ডুবে গেছে। সড়কে পানি ওঠায় চলাচল করতে পারছে না মানুষ। ভেলা ও নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, উজান থেকে পাহাড়ি ঢল আসা অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও হচ্ছে। এসব কারণে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। তিনি বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দিকে নজর আছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশে এখনও মৌসুমি বায়ুর প্রভাব রয়েছে। ফলে বৃষ্টিপাত হবে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলে নদনদীর পানি বাড়বে, এটা স্বাভাবিক। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানিও বেড়েছে ৬৫ সেন্টিমিটার। ফলে বুধবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। ধরলা ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামের তিস্তা অববাহিকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও অন্যান্য নদ-নদী তথা ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। পাউবো জানায়, ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা অববাহিকা বন্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিপৎসীমার ওপরে ধরলার পানি

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

লালমনিরহাট সংবাদদাতা: লালমনিরহাটে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফের বন্যার কবলে পড়েছে জেলার সদর উপজেলাসহ নি¤œাঞ্চল। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানের ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি বেড়েছে ৭০ সেন্টিমিটার। ফলে গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে লালমনিরহাটের শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী ইউনিয়নে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোয় বন্যার পানি ঢুকছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। এসব এলাকার পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও সবজি ডুবে গেছে। সড়কে পানি ওঠায় চলাচল করতে পারছে না মানুষ। ভেলা ও নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, উজান থেকে পাহাড়ি ঢল আসা অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও হচ্ছে। এসব কারণে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। তিনি বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দিকে নজর আছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশে এখনও মৌসুমি বায়ুর প্রভাব রয়েছে। ফলে বৃষ্টিপাত হবে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলে নদনদীর পানি বাড়বে, এটা স্বাভাবিক। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানিও বেড়েছে ৬৫ সেন্টিমিটার। ফলে বুধবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। ধরলা ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামের তিস্তা অববাহিকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও অন্যান্য নদ-নদী তথা ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। পাউবো জানায়, ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা অববাহিকা বন্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।