দিনাজপুর সংবাদদাতা : দিনাজপুরে ক্রমেই বাড়ছে নদ-নদীর পানি। উজান থেকে নেমে আসা পানির ফলে ইতোমধ্যে জেলার প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে একটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার কিছু নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, পঞ্চগড় জেলায় আরও বৃষ্টিপাত হলে দিনাজপুর জেলার প্রধান আরও দু’টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে আশার কথা হলো দিনাজপুর জেলায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জানা গেছে, বুধবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে জেলার প্রধান তিনটি নদী পুনর্ভবা, আত্রাই ও ছোট যমুনার পানি উজান থেকে নেমে আসা পানির ফলে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এদিন সন্ধ্যায় আত্রাই নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এতে আত্রাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর দুই তীরে ভাঙন দেখা দেয়। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে অসংখ্য গাছপালা। এছাড়াও ভাঙনের ঝুঁকিতে বহু বসতবাড়ি। জেলার নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে ইতোমধ্যে জেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আত্রাই নদী বিপৎসীমা অতিক্রমের ফলে চিরিরবন্দর উপজেলার তালপুকুর বানিয়াপাড়া নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০টিরও বেশি পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহমান পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে শহরের পূর্ব দপ্তরীপাড়ার কয়েকটি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রস্থলে ছুটছেন এই এলাকার পানিবন্দীরা। দিনাজপুর পাউবোর পানি সার্ভেয়ার মাহাবুব আলম জানান, পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ দশমিক ৫০০ মিটার থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৩২ দশমিক ০৬০ মিটার। বুধবার যার পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ৫১০ মিটার। আত্রাই নদীর বিপৎসীমা ৩৯ দশমিক ৫০০ মিটার থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৪০ দশমিক ১৯০ মিটার। যা ২৯ জুন ছিল ৩৯ দশমিক ৫০ মিটার। এছাড়া আরেক প্রধান নদী ছোট যমুনার বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৬৫০ মিটার থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ২৬ দশমিক ৩৬০ মিটার। যা ২৯ জুন ছিল ২৬ দশমিক ২৪০ মিটার। তিনি আরও জানান, পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টিপাত বেশি হলে দিনাজপুর জেলার নদ-নদীগুলোর পানি আরও বাড়বে। তবে বৃষ্টিপাত কম হলে নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করবে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা নেই।