ক্রীড়া প্রতিবেদক : কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আগে থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা সাফের সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের থাকাটা নিশ্চিতই ছিল। সাফের কংগ্রেসে সেটাই আনুষ্ঠানিক রূপ পেল। রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার সাফের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিনের ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাফের প্রধানের পদে থাকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রথম সাফের সভাপতি হন সালাউদ্দিন। ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন আয়োজন করেছে ৬টি সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, মেয়েদের ৫টি সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপসহ বয়সভিত্তিক মিলিয়ে ২৭টি প্রতিযোগিতা। বিগত সময়ের কাজ নিয়ে খুশি সালাউদ্দিন সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানান। তুলে ধরেন নিজের সময়ের কাজগুলোর সাফল্যও। আড়াল করেননি বৈশ্বিক ফুটবলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে থাকার বিষয়টিও। “আমরা বিশ্বের সেরা ফুটবল অঞ্চলের মধ্যে নেই, কিন্তু এই অঞ্চলের ফুটবলকে উপরে তুলতে আমাদেরকে একটা পরিবার এবং ভাতৃত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে হবে।”
“২০০৯ সালে যখন আমি সভাপতি হয়েছিলাম, তখন আমাদের কেবল ছিল সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (ছেলেদের)। কিন্তু এখন আমরা ২৭টি প্রতিযোগিতা করেছি এবং এটা গত বছরগুলোতে আমাদের উন্নতি দেখাচ্ছে।” সাফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ছেলে ও মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ। উভয় বিভাগে অনূর্ধ্ব ১৭-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপও আয়োজন করে সংস্থাটি। অনূর্ধ্ব-১৭ ও ১৮ এর আলাদা আলাদা প্রতিযোগিতা অবশ্য নেই। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) টুর্নামেন্টের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কখনও অনূর্ধ্ব-১৭, কখনও অনূর্ধ্ব-১৮ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে তারা। কংগ্রেসে বাংলাদেশসহ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ‘ভিসা জটিলতা’র কারণে পাকিস্তান এবং নিজেদের ফেডারেশনের সমস্যার কারণে ভারতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন না। আলোচনায় উঠে আসে ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ ইস্যুও। বেশ কিছু দিন ধরে সাফের সদস্য দেশগুলোর ক্লাব নিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা শোনা যাচ্ছিল। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। ২০২৩-২৪ মৌসুম বা ২০২৪ সাল থেকে এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের ‘প্রাথমিক পরিকল্পনা’ রয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও সাফের সভাপতি সালাউদ্দিন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ


























