ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

বিনা উসকানিতে হামলা করেছে পুলিশ, অভিযোগ ফখরুলের

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই বলেই বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জিয়াউর রহমান কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনে যাওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাধা এবং পরে সংঘর্ষের প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ বিনা উস্কানিতে ঢাকা মহানগরীর নবগঠিত কমিটির একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বানচাল করবার জন্যে অতর্কিতে নেতাকর্মীদের ওপর গোলাগুলি, লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয়েছেন। আমরা পুলিশের এহেন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “এই সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্যই তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে, গুলি করে, লাঠিচার্জ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করে রাখতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করা সম্ভব হবে এবং আমাদের উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে এই প্রত্যাশা আমরা করি।”
সংঘর্ষের পরও নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
চন্দ্রিমা উদ্যানে সকালে দুই দফা সংঘর্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে গাড়িও ভাঙচুর করেন। সে সময় পরিকল্পনা কমিশনের সচিবের গাড়িও হামলার শিকার হয়।
পুলিশের অভিযোগ, বিএনপির নেতা-কর্মীরাই প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের নেতাকর্মীরা ফুল দিতে এসেছে, তারা জিয়ারত করবেন। এখানে উস্কানির তো প্রশ্নই উঠতে পারে না।”
সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নবগ্যিঠত কমিটির শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগরের নবগঠিত দুই কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, শামীমুর রহমান শামীম, আমিরুজ্জামান শিমুল, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গত ২ আগস্ট চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে উত্তরের ৪৭ সদস্য এবং আবদুস সালামের নেতৃত্বে দক্ষিণে ৪৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিনা উসকানিতে হামলা করেছে পুলিশ, অভিযোগ ফখরুলের

আপডেট সময় : ০২:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই বলেই বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জিয়াউর রহমান কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনে যাওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাধা এবং পরে সংঘর্ষের প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ বিনা উস্কানিতে ঢাকা মহানগরীর নবগঠিত কমিটির একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বানচাল করবার জন্যে অতর্কিতে নেতাকর্মীদের ওপর গোলাগুলি, লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয়েছেন। আমরা পুলিশের এহেন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “এই সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্যই তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে, গুলি করে, লাঠিচার্জ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করে রাখতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করা সম্ভব হবে এবং আমাদের উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে এই প্রত্যাশা আমরা করি।”
সংঘর্ষের পরও নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
চন্দ্রিমা উদ্যানে সকালে দুই দফা সংঘর্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে গাড়িও ভাঙচুর করেন। সে সময় পরিকল্পনা কমিশনের সচিবের গাড়িও হামলার শিকার হয়।
পুলিশের অভিযোগ, বিএনপির নেতা-কর্মীরাই প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের নেতাকর্মীরা ফুল দিতে এসেছে, তারা জিয়ারত করবেন। এখানে উস্কানির তো প্রশ্নই উঠতে পারে না।”
সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নবগ্যিঠত কমিটির শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগরের নবগঠিত দুই কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, শামীমুর রহমান শামীম, আমিরুজ্জামান শিমুল, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গত ২ আগস্ট চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে উত্তরের ৪৭ সদস্য এবং আবদুস সালামের নেতৃত্বে দক্ষিণে ৪৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।