ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
সারাদেশে টিকা পাবে প্রায় ৫ কোটি শিশু

বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর

  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম। এতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে এক ডোজের ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। এরইমধ্যে ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং চলবে টিকাদান শুরুর আগ পর্যন্ত।

সোমবার (১১ আগস্ট) ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

ডা. আবুল ফজল বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কর্মদিবস স্কুলে ক্যাম্প করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এরপর আট দিন ইপিআই সেন্টারে গিয়ে স্কুলে না যাওয়া বা ক্যাম্পে অনুপস্থিত শিশুদের টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকবে।

তিনি বলেন, যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বাবা–মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে এবং তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণের তথ্য কাগজে লিখে দেওয়া হবে।

ইপিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, এক ডোজের ইনজেকটেবল এই টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। ভ্যাকসিনটি এসেছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায়।

সূত্র জানিয়েছে, যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা পাবে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইট https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv-এ প্রবেশ করে তথ্য পূরণ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করলে সঙ্গে সঙ্গেই ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত সিস্টেমিক সংক্রমণ। সাধারণত দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে এটি ছড়ায়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ অস্পষ্ট থাকায় অনেক সময় এটি অন্যান্য জ্বরজনিত রোগ থেকে আলাদা করা কঠিন হয়।

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইতিহাস গড়েই দেশে ফিরেছে নারী ফুটবল দল

সারাদেশে টিকা পাবে প্রায় ৫ কোটি শিশু

বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর

আপডেট সময় : ০৪:৪১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম। এতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে এক ডোজের ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। এরইমধ্যে ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং চলবে টিকাদান শুরুর আগ পর্যন্ত।

সোমবার (১১ আগস্ট) ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

ডা. আবুল ফজল বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কর্মদিবস স্কুলে ক্যাম্প করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এরপর আট দিন ইপিআই সেন্টারে গিয়ে স্কুলে না যাওয়া বা ক্যাম্পে অনুপস্থিত শিশুদের টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকবে।

তিনি বলেন, যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বাবা–মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে এবং তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণের তথ্য কাগজে লিখে দেওয়া হবে।

ইপিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, এক ডোজের ইনজেকটেবল এই টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। ভ্যাকসিনটি এসেছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায়।

সূত্র জানিয়েছে, যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা পাবে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইট https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv-এ প্রবেশ করে তথ্য পূরণ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করলে সঙ্গে সঙ্গেই ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত সিস্টেমিক সংক্রমণ। সাধারণত দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে এটি ছড়ায়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ অস্পষ্ট থাকায় অনেক সময় এটি অন্যান্য জ্বরজনিত রোগ থেকে আলাদা করা কঠিন হয়।

এসি/