ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন, সমস্যা সবসময় থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান বিদ্যুৎ সংকট সবসময় থাকবে না বলেও জানান তিনি। গতকাল বুধবার সকালে ২৪০০ মেগাওয়াট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) ইউনিট-২-এ রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (আরপিভি) স্থাপন কাজ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে পাবনার ঈশ্বরদীতে আরএনপিপির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা চলছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের সবাইকে আরও মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হতে হবে। কে, কী বললো তাতে কান দেওয়া যাবে না।’ সরকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সালে প্রথম ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে।’
উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
প্রকল্পটির প্রায় ৫৩ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি এবং ৫৫ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি হয়েছে। তবে প্রথম ইউনিটের সার্বিক অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
রূপপুর প্রকল্পটি রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বাস্তবায়ন করছে। জনশক্তি প্রশিক্ষণসহ প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ১২৬৫ কোটি ডলার এবং এর ৯০ শতাংশ রাশিয়া অর্থায়ন করে। এর আগে, গত বছরের ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী আরএনপিপির প্রথম ইউনিটে আরপিভি উদ্বোধন করেছিলেন, যা পারমাণবিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
পুতিনকে ধন্যবাদ জানালেন শেখ হাসিনা
এদিকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য রাশিয়া ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লিপত্র) স্থাপন উদ্বোধন করে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র না। পরমাণু ব্যবহার করা খুবই কঠিন। পরমাণু মানুষের কল্যাণের জন্য। বাংলাদেশ শান্তির জন্য এটা ব্যবহার করছে। এ প্রকল্প নির্মাণকালে সার্বিক নিরাপত্তার দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্যসহ সবকিছু মাথায় রেখেই নির্মাণ কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির সময়ও রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করেনি। নিরাপত্তাসহ সব বিভাগই কাজ অব্যাহত ছিল। সবার আন্তরিকতার কারণেই অত্যন্ত কঠিন এই কাজ আমরা করতে পেরেছি। এ কারণেই আজকের অগ্রগতি হয়েছে। আজকে সত্যিকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। যদিও ২০২১ সালে ১০ অক্টোবর প্রথম ইউনিটে প্রেসার ভেসেল স্থাপন। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই আজ দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করা হলো। এজন্য আমি রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশের কর্মকর্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ যারা কাজ করছেন সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। বাংলাদেশ আর অন্ধকারে থাকবে না। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু করার আশা রাখি।
এর মাধ্যমে জলবায়ু সম্মেলনের যে সিদ্ধান্তটা ছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের যে ঝুঁকিটা এতে পরিবেশের কোনো ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে না। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে মানুষকে দিতে পারব। আমরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করে যাচ্ছি। এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ হবে। এটা আমাদের কোনো ক্ষতিই করবে না বরং মানুষ স্বচ্ছ একটা বিদ্যুৎ পাবে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি বড় অবদান রেখে যাবে। সে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হয়ে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মানুষই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। শিল্প কারখানা এবং সেচ কাজ অথবা নিজের ঘরসহ সব কাজেই প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এই বিদ্যুৎ কাজে লাগাতে পারবে। প্রথম ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ইউনিটে আরও ১২০০ মেগাওয়াটসহ মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, এটা মোটেই কম কথা নয়। যা আমাদের দারিদ্র্য মুক্তি ও মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিরাট অবদান রাখবে। আমরা ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিয়েছি তা বাস্তবায়নে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর জন্য আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ রাশিয়াকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানাই। রোসাটমকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকে এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরাট অর্জনের দিন হিসেবে শনাক্ত হয়ে থাকবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ মুজিব জাতির পিতা নন, স্বাধীনতা অর্জনে তার ত্যাগকে স্বীকার করি

বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন, সমস্যা সবসময় থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান বিদ্যুৎ সংকট সবসময় থাকবে না বলেও জানান তিনি। গতকাল বুধবার সকালে ২৪০০ মেগাওয়াট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) ইউনিট-২-এ রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (আরপিভি) স্থাপন কাজ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে পাবনার ঈশ্বরদীতে আরএনপিপির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা চলছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের সবাইকে আরও মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হতে হবে। কে, কী বললো তাতে কান দেওয়া যাবে না।’ সরকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সালে প্রথম ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে।’
উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
প্রকল্পটির প্রায় ৫৩ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি এবং ৫৫ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি হয়েছে। তবে প্রথম ইউনিটের সার্বিক অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
রূপপুর প্রকল্পটি রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বাস্তবায়ন করছে। জনশক্তি প্রশিক্ষণসহ প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ১২৬৫ কোটি ডলার এবং এর ৯০ শতাংশ রাশিয়া অর্থায়ন করে। এর আগে, গত বছরের ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী আরএনপিপির প্রথম ইউনিটে আরপিভি উদ্বোধন করেছিলেন, যা পারমাণবিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
পুতিনকে ধন্যবাদ জানালেন শেখ হাসিনা
এদিকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য রাশিয়া ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লিপত্র) স্থাপন উদ্বোধন করে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র না। পরমাণু ব্যবহার করা খুবই কঠিন। পরমাণু মানুষের কল্যাণের জন্য। বাংলাদেশ শান্তির জন্য এটা ব্যবহার করছে। এ প্রকল্প নির্মাণকালে সার্বিক নিরাপত্তার দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্যসহ সবকিছু মাথায় রেখেই নির্মাণ কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির সময়ও রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করেনি। নিরাপত্তাসহ সব বিভাগই কাজ অব্যাহত ছিল। সবার আন্তরিকতার কারণেই অত্যন্ত কঠিন এই কাজ আমরা করতে পেরেছি। এ কারণেই আজকের অগ্রগতি হয়েছে। আজকে সত্যিকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। যদিও ২০২১ সালে ১০ অক্টোবর প্রথম ইউনিটে প্রেসার ভেসেল স্থাপন। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই আজ দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করা হলো। এজন্য আমি রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশের কর্মকর্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ যারা কাজ করছেন সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। বাংলাদেশ আর অন্ধকারে থাকবে না। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু করার আশা রাখি।
এর মাধ্যমে জলবায়ু সম্মেলনের যে সিদ্ধান্তটা ছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের যে ঝুঁকিটা এতে পরিবেশের কোনো ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে না। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে মানুষকে দিতে পারব। আমরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করে যাচ্ছি। এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ হবে। এটা আমাদের কোনো ক্ষতিই করবে না বরং মানুষ স্বচ্ছ একটা বিদ্যুৎ পাবে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি বড় অবদান রেখে যাবে। সে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হয়ে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মানুষই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। শিল্প কারখানা এবং সেচ কাজ অথবা নিজের ঘরসহ সব কাজেই প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এই বিদ্যুৎ কাজে লাগাতে পারবে। প্রথম ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ইউনিটে আরও ১২০০ মেগাওয়াটসহ মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, এটা মোটেই কম কথা নয়। যা আমাদের দারিদ্র্য মুক্তি ও মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিরাট অবদান রাখবে। আমরা ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিয়েছি তা বাস্তবায়নে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর জন্য আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ রাশিয়াকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানাই। রোসাটমকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকে এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরাট অর্জনের দিন হিসেবে শনাক্ত হয়ে থাকবে।