ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মুরগির খামার

  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মুরগির খামার গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বেগম প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শ্রেণি কক্ষের সংখ্যা কম। তাই পাঠদানের সমস্যা হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ের মাঠে টিনের ঘর স্থাপন করতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুর রহিম ও তার ছেলে এবং ভাইয়েরা বাধা দেয়। পরবর্তীকালে তারা বিদ্যালয়ের সীমানায় খড়ের ঢিবি, মুরগির খামার ও গরু রাখার বাথান স্থাপন করে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে একাধিকবার বিদ্যালয়ের জায়গাটি মাপজোখ করলেও আব্দুর রহিম ও তার লোকজন তা মানেননি। তারা বিদ্যালয়ের জমি নিজেদের জায়গা দাবি করে দীর্ঘদিন থেকে দখল করে আসছেন।
এ ব্যাপারে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বেগম জানান, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের কোনো জায়গাই নেই। যেটুকু আছে তাতে প্রভাবশালী একটি মহল খড়ের ঢিবি, মুরগির খামার ও গরু রাখার বাথান স্থাপন করেছে। স্কুলের মাঠে ভ্যান-রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা হয়। এমনকি মাটি কাটার ভেকুও রাখা হয় মাঠে। যানবাহনের কারণে প্রতিনিয়তই স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে দুর্ঘটনার আঙ্কায় থাকতে হয়। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে খুবই সমস্যার মধ্যে আছি। দখলকারীদের মৌখিকভাবে একাধিকবার বিদ্যালয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। এ অবস্থায় প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো সুরহা হয়নি।
মুরগির খামারের মালিক রফিক হাসান রানা বলেন, সার্ভেয়ার কয়েকবার জায়গাটি মেপেছেন ঠিক আছে; কিন্তু সঠিক মাপ হয় নাই। সঠিকভাবে মাপজোখ করে যদি বিদ্যালয়ের জায়গার মধ্যে আমাদের জায়গা পড়ে তাহলে আমরা অবশ্যই জায়গাটি ছেড়ে দেব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী মুঠোফোনে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে মুরগির খামার বা গরু রাখার বাথান স্থাপনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করব।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মুরগির খামার

আপডেট সময় : ১২:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মুরগির খামার গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বেগম প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শ্রেণি কক্ষের সংখ্যা কম। তাই পাঠদানের সমস্যা হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ের মাঠে টিনের ঘর স্থাপন করতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুর রহিম ও তার ছেলে এবং ভাইয়েরা বাধা দেয়। পরবর্তীকালে তারা বিদ্যালয়ের সীমানায় খড়ের ঢিবি, মুরগির খামার ও গরু রাখার বাথান স্থাপন করে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে একাধিকবার বিদ্যালয়ের জায়গাটি মাপজোখ করলেও আব্দুর রহিম ও তার লোকজন তা মানেননি। তারা বিদ্যালয়ের জমি নিজেদের জায়গা দাবি করে দীর্ঘদিন থেকে দখল করে আসছেন।
এ ব্যাপারে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বেগম জানান, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের কোনো জায়গাই নেই। যেটুকু আছে তাতে প্রভাবশালী একটি মহল খড়ের ঢিবি, মুরগির খামার ও গরু রাখার বাথান স্থাপন করেছে। স্কুলের মাঠে ভ্যান-রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা হয়। এমনকি মাটি কাটার ভেকুও রাখা হয় মাঠে। যানবাহনের কারণে প্রতিনিয়তই স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে দুর্ঘটনার আঙ্কায় থাকতে হয়। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে খুবই সমস্যার মধ্যে আছি। দখলকারীদের মৌখিকভাবে একাধিকবার বিদ্যালয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। এ অবস্থায় প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো সুরহা হয়নি।
মুরগির খামারের মালিক রফিক হাসান রানা বলেন, সার্ভেয়ার কয়েকবার জায়গাটি মেপেছেন ঠিক আছে; কিন্তু সঠিক মাপ হয় নাই। সঠিকভাবে মাপজোখ করে যদি বিদ্যালয়ের জায়গার মধ্যে আমাদের জায়গা পড়ে তাহলে আমরা অবশ্যই জায়গাটি ছেড়ে দেব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী মুঠোফোনে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে মুরগির খামার বা গরু রাখার বাথান স্থাপনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করব।