ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

বিদেশে উচ্চশিক্ষা, দেশে ফিরে ভয়ংকর মাদক ব্যবসা

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে প্রথমবারের মতো ভয়ংকর মাদক ডাইমেথাইলট্রিপটামিন বা ‘ডিএমটি’ উদ্ধার হয়েছে। ইংল্যান্ড ও থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফেরা দুই যুবক এই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তারা বিদেশ থেকে এসব মাদক দেশে এনে বিক্রি ও সেবন করতেন।
ভয়ংকর এই মাদক সেবনের জন্য সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, রিসোর্ট, কোনো বিনোদন স্পট অথবা প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে এমন জায়গা নির্ধারণ করা হয়। এটি সেবনের পর দ্রুত হ্যালুসিনেশন হয় এবং তারা কল্পনার জগতে প্রবেশ করে। মূলত এ থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনা হতে পারে, এমনকি জীবননাশও হতে পারে।
গতকাল রোববার ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার লাভ রোডে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারা হলেন- সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ ওরফে শাদাব, আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের, স্বপ্নীল হোসেন, সিমিয়ন খন্দকার। এরমধ্যে শাবাব থাইল্যান্ডে এবং তাহের ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। তাদের কাছ থেকে নতুন মাদক ডিএমটি ৬০০ মিলিগ্রাম, আলোচিত মাদক এলএসডি ৪০ ব্লট, আমেরিকান ক্যানাবিজ ৬২ গ্রাম ও মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব বলছে, বিদেশে পড়ালেখা করার সময় উচ্চবিত্ত পরিবারের এই সন্তানেরা জড়িয়ে পড়েন ভয়ংকর এসব মাদক সেবনে। কেউ থাইল্যান্ডে গিয়ে নতুন মাদক ‘ডিএমটি’তে আবার কেউ লন্ডনে ‘এলএসডি’ সেবনে আসক্ত হয়েছেন। পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরলেও আসক্তি থেকে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বই কিংবা জরুরি পার্সেলের আড়ালে দেশে আনছে ‘এলএসডি’ ও ‘ডিএমটি’। অনেক সময় বিটকয়েনের মাধ্যমে এসব মাদক কেনাকাটা হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, ইদানীং মাদক কারবারি ও সেবীরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে দেশে নতুন নতুন মাদক আনছে। বিশেষ করে দেশে প্রচলিত নয় কিন্তু উন্নত দেশে প্রচলিত এমন কিছু মাদকের ব্যবহার দেশে বেড়েছে। এতে যুবসমাজও আসক্ত হচ্ছে। এবিষয়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-২ এর বিশেষ দল কাজ শুরু করে। পরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘এলএসডি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এটি বিদেশ থেকে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হয় এবং উচ্চমূল্য হওয়ায় মূলত এর ব্যবহারকারী উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অপরদিকে উদ্ধার নতুন মাদক ‘ডিএমটি’ যার চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় নাম উরসবঃযুষ ঞৎুঢ়ঃধসরহব। এটি একটি হ্যালুসিনোজেনিক ট্রিপটামাইন ড্রাগ। মূলত এটি মুখে এলএসডি সেবনের মতো, যা ধোঁয়ার মাধ্যমে শ্বাস নিয়ে বা ইনজেকশনের সাথে নেওয়া যায়। এটি সেবনের পরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট গভীর আসক্তি তৈরি করে।’
যেভাবে ‘ডিএমটি’ মাদকে আসক্ত তারা : র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ শাদাব রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ‘ও লেভেল’ শেষ করে ভারতের দার্জিলিং এ ২০১৩ সালে ‘এ লেভেল’ পড়াশোনা করে। এরপর ২০১৫ সালে বিবিএ পড়ার জন্য থাইল্যান্ডে যায়। এক বছর থাইল্যান্ডে বিবিএ পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে ‘এলএসডি’ ও ‘ডিএমটি’ মাদকে আসক্ত হয়। দেশে এসেও ওই মাদক গ্রহণ ও সংগ্রহ অব্যাহত রাখে। শাদাব মূলত এই ড্রাগ বিদেশ থেকে বিভিন্ন পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়ে আসে এবং নিজে গ্রহণ ও বিক্রি করত।’
অপরদিকে আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের রাজধানীর এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ও লেভেল শেষ করে মালয়েশিয়া যায়। ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত পড়ালেখার জন্য সেখানে অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যায়। তিনিও সেখানে নিয়মিত ‘এলএসডি’ ও ‘ডিএমটি’ গ্রহণ করতেন। সেখান থেকে এমবিএ শেষ করে গতবছর দেশে আসেন এবং নিয়মিত ‘এলএসডি’ ও ‘ডিএমটি’ সেবন ও বিক্রি করতেন। অপর দুই আটক ব্যক্তিরা স্বপ্নীল হোসেন এবং সিমিয়ন খন্দকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারাও এই চক্রের সদস্য। নতুন এসব মাদক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে কি-না এমন প্রশ্নে লে. কর্নেল সাইফুল আলম বলেন, এর আগেও এলএসডি সেবনকারী ও ব্যবহারকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে ‘ডিএমটি’ নামক এই মাদক আগে কখনো জব্দ হয়নি। এই মাদক প্রকৌশল বা রাসায়নিক গবেষণাগারেও তৈরি করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত এই দুই শ্রেণির মাদক বিশেষ শ্রেণির হাতেই রয়েছে। তারা নিজেরা পরিচিতদের মাধ্যমে ডিএমটি ও এলএসডি আমদানি করে। কখনো নিজেরা গিয়েও নিয়ে আসে। কুরিয়ার বা পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে চিঠি বা বইয়ের মাধ্যমে এগুলো সহজে নিয়ে আসা সম্ভব। এসব মাদক সহজলভ্য বা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে র‌্যাব নজরদারি বাড়িয়েছে। র‌্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, তারা (গ্রেপ্তারকৃতরা) নিজেরা মাদক সেবন ও বিক্রয় করে এবং নতুন নতুন মাদক গ্রহীতা তৈরি করছিল; যা সমাজের জন্য খুবই শঙ্কাজনক।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিদেশে উচ্চশিক্ষা, দেশে ফিরে ভয়ংকর মাদক ব্যবসা

আপডেট সময় : ০১:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে প্রথমবারের মতো ভয়ংকর মাদক ডাইমেথাইলট্রিপটামিন বা ‘ডিএমটি’ উদ্ধার হয়েছে। ইংল্যান্ড ও থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফেরা দুই যুবক এই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তারা বিদেশ থেকে এসব মাদক দেশে এনে বিক্রি ও সেবন করতেন।
ভয়ংকর এই মাদক সেবনের জন্য সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, রিসোর্ট, কোনো বিনোদন স্পট অথবা প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে এমন জায়গা নির্ধারণ করা হয়। এটি সেবনের পর দ্রুত হ্যালুসিনেশন হয় এবং তারা কল্পনার জগতে প্রবেশ করে। মূলত এ থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনা হতে পারে, এমনকি জীবননাশও হতে পারে।
গতকাল রোববার ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার লাভ রোডে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারা হলেন- সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ ওরফে শাদাব, আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের, স্বপ্নীল হোসেন, সিমিয়ন খন্দকার। এরমধ্যে শাবাব থাইল্যান্ডে এবং তাহের ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। তাদের কাছ থেকে নতুন মাদক ডিএমটি ৬০০ মিলিগ্রাম, আলোচিত মাদক এলএসডি ৪০ ব্লট, আমেরিকান ক্যানাবিজ ৬২ গ্রাম ও মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব বলছে, বিদেশে পড়ালেখা করার সময় উচ্চবিত্ত পরিবারের এই সন্তানেরা জড়িয়ে পড়েন ভয়ংকর এসব মাদক সেবনে। কেউ থাইল্যান্ডে গিয়ে নতুন মাদক ‘ডিএমটি’তে আবার কেউ লন্ডনে ‘এলএসডি’ সেবনে আসক্ত হয়েছেন। পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরলেও আসক্তি থেকে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বই কিংবা জরুরি পার্সেলের আড়ালে দেশে আনছে ‘এলএসডি’ ও ‘ডিএমটি’। অনেক সময় বিটকয়েনের মাধ্যমে এসব মাদক কেনাকাটা হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, ইদানীং মাদক কারবারি ও সেবীরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে দেশে নতুন নতুন মাদক আনছে। বিশেষ করে দেশে প্রচলিত নয় কিন্তু উন্নত দেশে প্রচলিত এমন কিছু মাদকের ব্যবহার দেশে বেড়েছে। এতে যুবসমাজও আসক্ত হচ্ছে। এবিষয়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-২ এর বিশেষ দল কাজ শুরু করে। পরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘এলএসডি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এটি বিদেশ থেকে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হয় এবং উচ্চমূল্য হওয়ায় মূলত এর ব্যবহারকারী উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অপরদিকে উদ্ধার নতুন মাদক ‘ডিএমটি’ যার চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় নাম উরসবঃযুষ ঞৎুঢ়ঃধসরহব। এটি একটি হ্যালুসিনোজেনিক ট্রিপটামাইন ড্রাগ। মূলত এটি মুখে এলএসডি সেবনের মতো, যা ধোঁয়ার মাধ্যমে শ্বাস নিয়ে বা ইনজেকশনের সাথে নেওয়া যায়। এটি সেবনের পরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট গভীর আসক্তি তৈরি করে।’
যেভাবে ‘ডিএমটি’ মাদকে আসক্ত তারা : র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ শাদাব রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ‘ও লেভেল’ শেষ করে ভারতের দার্জিলিং এ ২০১৩ সালে ‘এ লেভেল’ পড়াশোনা করে। এরপর ২০১৫ সালে বিবিএ পড়ার জন্য থাইল্যান্ডে যায়। এক বছর থাইল্যান্ডে বিবিএ পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে ‘এলএসডি’ ও ‘ডিএমটি’ মাদকে আসক্ত হয়। দেশে এসেও ওই মাদক গ্রহণ ও সংগ্রহ অব্যাহত রাখে। শাদাব মূলত এই ড্রাগ বিদেশ থেকে বিভিন্ন পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়ে আসে এবং নিজে গ্রহণ ও বিক্রি করত।’
অপরদিকে আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের রাজধানীর এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ও লেভেল শেষ করে মালয়েশিয়া যায়। ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত পড়ালেখার জন্য সেখানে অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যায়। তিনিও সেখানে নিয়মিত ‘এলএসডি’ ও ‘ডিএমটি’ গ্রহণ করতেন। সেখান থেকে এমবিএ শেষ করে গতবছর দেশে আসেন এবং নিয়মিত ‘এলএসডি’ ও ‘ডিএমটি’ সেবন ও বিক্রি করতেন। অপর দুই আটক ব্যক্তিরা স্বপ্নীল হোসেন এবং সিমিয়ন খন্দকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারাও এই চক্রের সদস্য। নতুন এসব মাদক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে কি-না এমন প্রশ্নে লে. কর্নেল সাইফুল আলম বলেন, এর আগেও এলএসডি সেবনকারী ও ব্যবহারকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে ‘ডিএমটি’ নামক এই মাদক আগে কখনো জব্দ হয়নি। এই মাদক প্রকৌশল বা রাসায়নিক গবেষণাগারেও তৈরি করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত এই দুই শ্রেণির মাদক বিশেষ শ্রেণির হাতেই রয়েছে। তারা নিজেরা পরিচিতদের মাধ্যমে ডিএমটি ও এলএসডি আমদানি করে। কখনো নিজেরা গিয়েও নিয়ে আসে। কুরিয়ার বা পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে চিঠি বা বইয়ের মাধ্যমে এগুলো সহজে নিয়ে আসা সম্ভব। এসব মাদক সহজলভ্য বা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে র‌্যাব নজরদারি বাড়িয়েছে। র‌্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, তারা (গ্রেপ্তারকৃতরা) নিজেরা মাদক সেবন ও বিক্রয় করে এবং নতুন নতুন মাদক গ্রহীতা তৈরি করছিল; যা সমাজের জন্য খুবই শঙ্কাজনক।