নারী ও শিশু ডেস্ক: বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের বিদেশি লিগে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে সাবিনা খাতুনকে দিয়ে । ওই বছর তিনি খেলেছিলেন মালদ্বীপের ডিফেন্স ফোর্স ক্লাবে। সেই থেকে সাবিনা বেশ কয়েকবার খেলেছেন বিদেশি ক্লাবে। মালদ্বীপের আর্মি ফুটবল ক্লাবে খেলেছেন দুইবার, ভারতীয় লীগে সেথু এফসি ও কিকস্টার্ট এফসিতে খেলেছেন। সাবিনা ছাড়াও বিদেশি লীগে খেলেছেন গোলরক্ষক সাবিনা আক্তার, মিরোনা খাতুন, মাৎসুশিমা সুমাইয়া। তারা সবাই খেলেছেন মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবলে। কৃষ্ণা রানী সরকার ভারতে সেথু এফসিতে এবং সানজিদা আক্তার ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন। গত বছর আগস্টে সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা মালদ্বীপের ক্লাব থিম্পু কলেজ এফসিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ খেলতে গিয়েছিলেন।
এ বছর একযোগে ছয় নারী ফুটবলার সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, রূপনা চাকমা, মাৎসুশিমা সুমাইয়া, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা খেলতে গেলেন ভুটানের ঘরোয়া ফুটবলে অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে সাবিনা, সুমাইয়া, মনিকা ও ঋতুপর্ণা খেলবেন ভুটানের পারো এফসিতে।
ওই ছয়জনের মধ্যে মাসুরা ও রূপনারই আগে ভুটানে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল। পরে আমন্ত্রণ পেয়েছেন সাবিনা খাতুনসহ বাকি চারজন। আর বয়স সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় ডাক পেয়েও যাওয়া হচ্ছে না সাগরিকার। তার পরিবর্তে সিনিয়র ফুটবলার কৃষ্ণা রাণী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে ভুটানের ক্লাবটি। কৃষ্ণার বিষয়টি চূড়ান্ত হলে মাসুরা, রুপনা একসঙ্গে ভুটানে রওনা হবেন।
কৃষ্ণা ছাড়াও সানজিদা, সিনিয়র শামসুন্নাহারেরও ভুটানের লীগে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। বাফুফে তাদেরও ছাড়পত্র দিয়েছে। জুনের শেষ সপ্তাহে মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাই। সেই লক্ষ্যে বাফুফে ৫৫ নারী ফুটবলারকে ক্যাম্পে ডেকেছে। কৃষ্ণা রানী সরকারসহ অনেক ফুটবলার যোগ দিয়েছেন।
ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে বয়কট করে চলছিলেন ১৮ জন। তাদের মধ্যে ছয়জন ভুটান গেছেন। আরো যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যারা ভুটান যাবেন না বা পরে যাবেন, তারা ভুটান যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাটলারের অধীনে অনুশীলন করবেন কিনা সেটিই দেখার বিষয়। কোচিং স্টাফ ও ফেডারেশনের ধারণা, ভুটান যাওয়ার আগ পর্যন্ত রুপনা, মাসুরা, কৃষ্ণারা বাটলারের অনুশীলনে থাকবেন। যারা ভুটানে যাবেন না তারাও এই কোচের অধীন থাকবেন। ফুটবলাররা খানিকটা নমনীয় হলেও কেউ এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাননি।